মহানগর ডেস্ক: বাংলা সহ ৬ রাজ্যের ৭ কেন্দ্রে বিধানসভা উপ-নির্বাচন আজ। উপনির্বাচন খুব একটা গুরুত্বপূর্ন নয়। পরের বছর লোকসভা নির্বাচন। তাই লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে এবারের উপ নির্বাচন ইন্ডিয়া জোটের কাছে প্রথম পরীক্ষা, একথা বলাই বাহুল্য। ৬ রাজ্যের ৭ কেন্দ্রে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করতে মরিয়া প্রচেষ্টা ইন্ডিয়া জোটের। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ি-সহ উত্তরপ্রদেশের ঘোসি, উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর, কেরলের পুথুপল্লি, ঝাড়খণ্ডের দুমরি এবং ত্রিপুরার ধানপুর ও বক্সানগরে আজ বিধানসভা উপ নির্বাচন। বাংলার ধূপগুড়ি, ঝাড়খণ্ডের দুমরি, কেরলের পুথুপল্লি, ত্রিপুরার ধানপুর ও উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ২ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। তাই ওই কেন্দ্রগুলো যেহেতু ফাঁকা ছিল, সেই কারণেই আজ উপনির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: তৈরী হচ্ছে নিম্নচাপ, একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
এই উপনির্বাচন এক কথায় ইন্ডিয়া জোটের কাছে শক্তি প্রদর্শনের লড়াই। ঝাড়খণ্ডের দুমরি কেন্দ্রের বিধায়ক জগরনাথ মাথোর মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রী বেবী দেবী ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আগেরবার পরাজিত হওয়া যশাদাদেবী এনডিএ প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে কেরলের পুথুপল্লির বিধায়ক কংগ্রেস নেতা তথা দু-বারের মুখ্যমন্ত্রী উম্মেন চণ্ডী। এবার তাঁর ছেলে কুনজুননু এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী। এই দুটি কেন্দ্র ইন্ডিয়া জোটের এগিয়ে থাকায় স্বাভাবিক। পথুপল্লি কেন্দ্রে জোটের বাইরে প্রার্থী দিয়েছে আপ।
ত্রিপুরার দুটি কেন্দ্রেই বিজেপি এগিয়ে। যদিও সিপিআইএমকে আবার সমর্থন করছে ত্রিপরা মোখা। উত্তরাখণ্ডে চন্দন দাসের মৃত্যুর পর বিধায়কের স্ত্রীকে দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিকে তাঁর বিপরীতে এসপি প্রার্থী ভগবতী দাসকে সমর্থন করেছেন ইন্ডিয়া জোট। এটি নিঃসন্দেহে ইন্ডিয়া জোটের কাছে পরীক্ষা স্বরূপ। উত্তরপ্রদেশের ঘোসি কেন্দ্রের বিধায়ক দারা সিং চৌহান এসপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেখানে বিজেপি এগিয়ে বলাই চলে।
পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী তাপসী রায়কে প্রার্থীপদ দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পৃথক প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল ও সিপিআইএম। এখানেও বিজেপি এগিয়ে রয়েছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ৭টি কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হলেই বোঝা যাবে কার দৌড় কত দূর।