মহানগর ডেস্কঃ মাসিক আয় ছিল প্রায় লাখ খানেক টাকা। সেই স্বাছন্দ্যের জীবন একেবারে ছেড়ে বোলপুরে বাইপাসের ধারে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে হোটেল খুলেছেন বোলপুরের সুপুরের বিশ্বজিৎ কুমার। হোটেলে এসে কেউ ইংরেজিতে কথা বললে তিনিও তাঁর উত্তর গড়গড়িয়ে ইংরেজিতেই দিচ্ছেন। যা দেখে রীতিমত চমকে উঠছেন হোটেলে খেতে আসা লোকজন। রাস্তার ধারের দোকান থেকেই একদিন তিনি সফল ব্যবসায়ী হবেন, এই আশা নিয়েই রোজ দু-বেলা ভাতের হোটেল চালিয়ে যাচ্ছেন বোলপুরের বিশ্বজিৎ কুমার।
বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে কিছুটা এগোলেই দেখা যাবে ফাঁকা রাস্তার ধারে একটি ত্রিপল খাটানো ছোট দোকান, যেখানে নিত্যদিন তৈরি হচ্ছে সাদারণ মানুষের জন্য ভরপেট খাবার। কাছে গেলেই দেখা যাবে একজন ব্যাক্তি সামলে চলেছেন তাঁর ভাতের হোটেল।সেখানে নিত্যদিন ভির জমান লড়ি চালক থেকে শুরু করে সাধারণ পথচলতি মানুষ। হোটেলটি বর্মানে বুম্বার হোটেল নামেই বেশ পরিচিত। এই বিষয়ে বুম্বা ওরফে বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, “আগে মাসে ১ লক্ষ টাকাও আয় করেছি। কিন্তু ওইভাবে কাজ করতে আর পারছিলাম না। তাই কাজ ছেড়ে দিয়ে হোটেল খুললাম। সকালে টিফিন করছি, থাকছে দুপুরের ভাতও। আমার এখানে ৬০ টাকাতে পাওয়া যায় মাছ, মাংস, ডিমের থালি। তবে যা ভেবে শুরু করেছিলাম, তার থেকে অনেক ভাল বিক্রি হচ্ছে।”
ছোটবেলা থেকে ভিন রাজ্যে পড়াশোনা করা বিশ্বজিৎ বাবু ২০০২ সাল থেকে দীর্ঘদিন ওষুধ কোম্পানির হয়ে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকী একটি নামী ওষুধ কোম্পানিতে বর্ধমান বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট বিজনেস রিজিওনাল ম্যানেজার পদেও ছিলেন তিনি। কিন্তু ইদানীং কাজের চাপ বাড়তে থাকায় অসুবিধা বাড়তে থাকে তাঁর। সঙ্গে বসদের নানান কটু কথা সহ্য করতে না পেরেই তাঁর এই হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত বলেই জানান তিনি।