কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অ্যাকশন রীতিমত চোখে পড়ার মত। উপাচার্য বিহীন যেসব বিশ্ববিদ্যালয় গুলি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এবার সেই সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য ডঃ সিভি আনন্দ বোস। রায়গঞ্জ, মালদহ, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের উদ্যোগ নজরকাড়ার মতই।
মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক রজত কিশোর দে-কে অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। ২০০৭ সাল থেকে ২০০৭ সাল থেকে রজত কিশোর দে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করছিলেন। এবার উপাচার্য পদে বসানো হল তাঁকে। অন্যদিকে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক বিজয় কুমার ভারতীকে অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগে অধ্যাপক বিজয় কুমার দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপনা করে আসছিলেন। তাঁকেই এবার আচার্য বোস উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করলেন।
এখানেই শেষ নয়। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য পদে ডক্টর দীপক কুমার রায়কে নিয়োগ করলেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়ভার গ্রহণ করেন। আচার্য নির্দেশ পাওয়ার পরই হিসাবে দায়িত্ব নেন। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুদিন ধরে বাংলা বিভাগীয় অধ্যাপনা করেছেন তিনি। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য পদে স্থায়ীভাবে কেউ ছিলেন না অনেকদিন ধরেই। অতঃপর সোমবার আচার্য cv আনন্দ বাসের সঙ্গে ফোনে কথা হয় দীপক বাবুর। ঐদিনই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় আচার্যের নির্দেশ এসে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার ডঃ দীপক কুমার রায় অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব নেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৃত্যুর পর থেকে যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকার বিষয়টি সামনে এসেছে, তা রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করে। তার ওপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করা নতুন উপাচার্যকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেও তকমা লাগায় রাজনৈতিক দলগুলি। উপাচার্য না থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য সিভি আনন্দ। তাহলে রাজ্য রাজনীতিতে আবারো যে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।