মহানগর ডেস্ক : বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সেই তালিকায় রয়েছে ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহার নামও। আর এতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এরা কি বাংলার ভূমিপুত্র? উঠেছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, রবিবার ব্রিগেডে যখন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে সভা করছিল তৃণমূল, অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে পাল্টা সভা করে বিজেপি। সেখান থেকেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমজার। তার সাফ কথা, ”টিএমসি-র তালিকা ঘোষণার মাত্র আধ ঘণ্টা আগে, অভিষেক ব্যানার্জি বিবৃতি দিয়েছিলেন যে বিজেপি বাংলা বিরোধী। তখন এটা স্পষ্ট হয়ে যায় য়ে টিএমসি বাইরে থেকে লোক আনেছে। আমি জানি না কীর্তি আজাদ এবং ইউসুফ পাঠান বাঙালি কিনা, ইউসুফ পাঠান গুজরাটের, এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীও গুজরাটের। কিন্তু টিএমসির কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদী একজন বহিরাগত। না তাদের কোন প্রার্থী নেই এবং তাই তারা একজন বর্তমান মন্ত্রীকে টিকিট দিয়েছে। ইন্ডি জোট হল ক্যাপ্টেন ছাড়া জাহাজের মতো। এটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল এবং তিনি ভয়ে আছেন যে অন্য কোনও নেতা যেন এতটা গুরুত্ব না পান যে তাকে ছাপিয়ে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে বড় নেতা নেই, তাই তারা অভিনেত্রীদের টিকিট দেয় যাতে তার ভাগ্নে রাজনীতিবিদ হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই একের পর এক তীর ছুঁড়তে শুরু করেছে বিরোধীরা। তৃণমূলের প্রর্থী তালিকায় বহিরাগতরা কেন, উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, রাজনীতির ময়দানে অভিষেক হল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে তাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ফলে লোকসভায় নজর থাকছেই হুগলির ওপরে।