মহানগর ডেস্ক : কালীঘাটের ‘কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপ ক্রমেই বাড়ছে। ইডি-র তদন্তে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে যাওয়ার পর এবার সুজয়কৃষ্ণকে জেলে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে গিয়ে জেরার আবেদন করেছে সিবিআই। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে জেরা করতে চায় সিবিআই। শুধু সুজয়ই নয়, একই মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলকেও জেরা করতে চেয়েছে সিবিআই।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালূঘাটের কাকু’র কন্ঠস্বর নিয়ে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই টানাপোড়েনের ছেদ পড়ল। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট জমা করে ইডি জানিয়ে দেয়, অডিয়ো ক্লিপে পাওয়া কন্ঠস্বরই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। ফরেন্সিক রিপোর্টেও এই একই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ওই অডিয়ো কিল্পে ‘কাকু’কে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। কন্ঠস্বর সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরও হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি-সিবিআই। কেন তদন্তের অগ্রগতি এত শ্লথ, তা জানতে চান বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ জুন হবে। তার মধ্যে মামলার পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডি-সিবিআইকে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর তৎপর সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা এবার জেলে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করতে চাইছেন।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে জানতে চেয়েছেন, “লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আয় ও সম্পত্তির উৎস কী? তার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিরই বা কী যোগ রয়েছে?” উল্লেখ্য এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সরাসরি যোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণের। ইডি সে বিষয়টি আগেই আদালতে জানিয়েছিল। এবার এই তদন্তের অগ্রগতির জন্য সুজয়কৃষ্ণকে আরও একবার জেরা করতে চায় সিবিআই। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণকে কবে সিবিআই জেরা করতে যায়।