central government
কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প চালু রাখতে বাজেটের বাইরে গিয়ে ধার করেছে মমতার সরকার, নতুন দাবি সিএজি রিপোর্টে
মহানগর ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজকোষে ঋণের সমস্যা নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর জন্য একটি জরুরি তহবিল সব সময় নবান্ন তৈরি রাখছে। তার পরেও বাজার থেকে ঋণ করা টাকা সুদে-আসলে শোধ করতেই রাজ্যের কোষাগার শূন্য হয়ে যাচ্ছে। এ বার রাজ্যের আয়-ব্যয়ের হিসেব-নিকেশ পরীক্ষা করে নতুন অভিযোগ তুলেছে সিএজি। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বিধানসভা ভোটের আগে ২০২০-২০ অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প চালাতে গিয়ে বাজেটের বাইরেও গিয়েও ঋণ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
সিএজি-র ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে এই ধরনের প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার নিজে ধার না করে বাজেটের হিসাব খাতের বাইরে গিয়ে ঋণ নিয়েছে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মাধ্যমে। এই ঋণের অঙ্ক প্রায় ৪৩১২ কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে, বাজেটের হিসেব-নিকেশে এই দেনার তথ্য উল্লেখ না থাকলেও, তার দায় গিয়ে পড়েছে সেই রাজ্যের কোষাগারেই, যেটা হওয়ার কথা ছিলই। সিএজি রিপোর্টে বলা ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ এই পাঁচটি অর্থবর্ষে রাজ্যের আয়, ব্যয়, ঘাটতি, ঋণ ইত্যাদি হিসাব পরীক্ষা করে সিএজি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে । সেই রিপোর্টে সিএজি লিখেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজকোষ ঘাটতি বা আয়-ব্যয়ের ফারাকের মোট টাকার পরিমাণ বাড়ছে। রাজ্যের জিডিপি বা জিএসডিপি-র তুলনাতেও ওই ঘাটতির হার অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। সেই ঘাটতি মেটাতে প্রতি বছরই বিরাট পরিমাণ অর্থ রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বাজার থেকে ধার করতে হচ্ছে ঘাটতি মেটাতে। তবে এই ধারের টাকারও সিংহভাগ চলে যাচ্ছে পুরনো ধার সুদে-আসলে শোধ করার জন্য। এর ফলে পরিকাঠামো উন্নয়ন, যেমন সড়ক, সেতু-সহ নতুন পরিকাঠামো বা স্থায়ী সম্পদ তৈরির জন্য রাজ্যের হাতে বিশেষ টাকা আর অবশিষ্ট থাকছে না। সিএজি বলছে, এ ভাবে ধার করা টাকা দিয়েই পুরনো ঋণ শোধ করে বেশিদিন সরকার চলতে পারে না।
২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১— এই পাঁচটি অর্থবর্ষে রাজ্যের আয়, ব্যয়, ঘাটতি, ঋণের হিসাব পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিএজি। সেই রিপোর্টে সিএজি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজকোষ ঘাটতি বা আয়-ব্যয়ের ফারাক মোট অঙ্কের হিসেবে বাড়ছে। রাজ্যের জিডিপি বা জিএসডিপি-র তুলনাতেও ওই ঘাটতির হার ঊর্ধ্বমুখী। সেই ঘাটতি মেটাতে প্রতি বছরই বিরাট পরিমাণ অর্থ রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বাজার থেকে ধার করতে হচ্ছে। কিন্তু তারও সিংহভাগ চলে যাচ্ছে পুরনো ধার সুদে-আসলে শোধ করতে। ফলে সড়ক, সেতু-সহ নতুন পরিকাঠামো বা স্থায়ী সম্পদ তৈরির জন্য রাজ্যের হাতে বিশেষ টাকা বেঁচে থাকছে না। সিএজি বলছে, এ ভাবে ধার করা টাকা দিয়েই পুরনো ঋণ শোধ করা বেশিদিন চলতে পারে না। বাজেটের বাইরে ঋণ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিএজি। ২০২১-এর মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের রাজকোষের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ সালে রাজ্যের ছ’টি সরকারি সংস্থার মাধ্যমে রাজ্য সরকার ৪৩১২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের সংস্থা স্বাস্থ্যসাথী সমিতির মাধ্যমে ৭২০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। তা খরচ হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। পশ্চিমবঙ্গ মহিলা উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে ১১২২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের খাতে। একই ভাবে রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য ৪৮৫ কোটি টাকা ধার নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি-জনজাতি-ওবিসি উন্নয়ন ও অর্থ নিগমের মাধ্যমে ৪৯১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা ব্যয় করা হয়েছে তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার পেনশন প্রকল্পে। চাষিদের জন্য বাংলা স্বাস্থ্য বিমা যোজনা, আদিবাসীদের জয় বাংলা প্রকল্প, লোকপ্রসার প্রকল্পের জন্যও একই ভাবে ধার করা হয়েছে।
সিএজি জানিয়েছে, ২০২০-২১ সালে যে ৪৩১২ কোটি টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে অনেকখানি শোধ করা হলেও ১০৮৫ কোটি টাকা এখনও বকেয়া। ফলে তা রাজ্য সরকারের ধার শোধের দায়ের খাতায় যোগ হয়েছে। সিএজির বক্তব্য, এ ভাবে ঋণ নেওয়া হলে, বাজেটে তার হিসাব দেখানো হয় না। ফলে বিধানসভার নজরদারিও থাকে না। বিরেধীরা প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি এই ফাঁক আছে বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন সিএজি রিপোর্ট মিথ্যা, সব ফেক!
মহানগর ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদী সরকারের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির জেরে।সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা এই পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। তারা পেট্রল ও ডিজেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। জল্পনা ছড়িয়েছে,বিশ্ব বাজারে ক্রমাগত অশোধিত তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় নতুন বছরের শুরু থেকেই জ্বালানির দর কমতে পারে।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, সম্ভাবনা রয়েছে বছরের প্রথম তিন মাসেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির রেকর্ড লাভের। মনে করা হচ্ছে,লাভের অংক ৭৫ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি মূল্যবৃদ্ধি থেকে আম জনতাকে স্বস্তি দিতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, জ্বালানির দাম কমলে তা ফেব্রুয়ারিতে বাজেটের পর থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, লোকসভা ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে। জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়বে BJP বাজেটের পরই। ফেব্রুয়ারিতে দাম কমলে তা হাতিয়ার করে গেরুয়া শিবির প্রচারের ঝাঁঝ বাড়াতে পারবে।
কতটা কমতে পারে সেই দিকেই নজর রয়েছে গোটা দেশের। জ্বালানির দাম যেভাবে সকলের নাভিশ্বাস তুলেছে তাতে দাম কিছুটা কমলে স্বাস্তি মিলবে। সেই আশাতেই রয়েছে বহু মানুষ। পেট্রোল-ডিজেলের উপরে বহু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নির্ভর করে। তাই জ্বালানির দাম কমলে সেই সমস্ত জিনিসের দামও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মহানগর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উজ্জ্বলা যোজনার কল্যানে এখন দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গ্যাসের কানেকশন রয়েছে । এবার গ্যাস ডিলাররা গ্রাহকদের জন্য এবার দারুণ খুশির খবর নিয়ে এল। সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, গ্যাসের ডেলিভারিতে মিলবে আকর্ষণীয় ছাড় নতুন বছর থেকে। এবার থেকে এলপিজি সিলিন্ডারগুলি গ্যাস এজেন্সির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বাড়িগুলিতে গ্রাহকদের কোনও ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না সরবরাহের জন্য।
গ্রাহকদের কাছ থেকে এই সিদ্ধান্তের ফলে অতিরিক্ত টাকার জন্য এজেন্সিগুলির অনুরোধের যে বদ অভ্যাস রয়েছে,আশা করা যাচ্ছে তার অবসান ঘটবে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ডেলিভারির জন্য গ্রাহককে ২০ টাকা, ১০-১৫ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য ৩৫ টাকা, ১৫-২০ কিলোমিটারের জন্য ৪৫ টাকা এবং ২০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গ্যাস ডেলিভারির জন্য গ্রাহকদের ৬০ টাকা করে ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে। যদি এর চেয়ে বেশি টাকা কোনো এজেন্সি দাবি করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকরা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন তালুক সাপ্লাই অফিসারের কাছে। পাশাপাশি,এলপিজি ভরা সিলিন্ডারের ওজন সম্পর্কিত কোনও অনিশ্চয়তা যদি গ্রাহকের মনে থাকে তবে গ্রাহকের অনুরোধে এটি ওজন করে দেখিয়ে দিতে হবে সরবরাহকারীকে।
কিছুদিন আগেই গ্যাস সিলিন্ডারের বিতরণ এবং সিলিন্ডারের ওজন সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছিলেন আবাসিক সমিতি এবং ভোক্তা সংস্থার প্রতিনিধিরা । এরপরই,বিধানসভার অধিবেশনে খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ মন্ত্রী জি আর অনিল স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, যদি গ্রাহকের বাড়ি থেকে এজেন্সির দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে তাহলে ডেলিভারি ব্যক্তিকে কোনও গ্রাহককে অতিরিক্ত কিছু টাকা দেওয়ার দরকার নেই।
নতুন বছর উদযাপনে মধ্য রাতের পার্টিতে জারি নয়া নির্দেশিকা, জেনে নিন কি কি নিয়ম মানতে হবে
মহানগর ডেস্ক: ভারতে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ।দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের উপপ্রজাতি জেএন.১-এ আক্রান্তের হদিস মিলেছে। তার পরেই সজাগ কেন্দ্র। ডিসেম্বর মাস উৎসবের মৌসুম হওয়ায় করোনার উদ্বেগ যেন আরই বেড়ে চলেছে। তবে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে সাতটি বিশেষ নির্দেশিকা। সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে বলা হয়েছে সেগুলি হল:
১. ডিসেম্বর মাস মানেই উৎসবের মরশুম। কিন্তু উৎসবের জেরে ভোলা যাবে না করোনা ভাইরাসকে।নির্দেশিকায় আসন্ন উৎসবের মৌসুমে সতর্ক হতে বলার পাশাপাশি জানানো হয়েছে,রোগ যাতে না ছড়ায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. কোভিড-১৯ নিয়ে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল, তা মেনে চলতে হবে।
৪. ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে যে রোগীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে আসছেন, তাদের উপর নজর রাখার পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে কি না, সেইদিকেও নজর রাখতে হবে। এই নিয়ে জেলাভিত্তিক রিপোর্ট দিতে হবে।
৫. কোভিডের নির্দেশিকা মেনে প্রত্যেক জেলায় পরীক্ষার যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৬. আরটিপিসিআর এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উপর জোর দিতে হবে। কারো রিপোর্ট পজিটিভ এলে নমুনার জিনোম পরীক্ষার জন্য ইন্ডিয়ান সার্স কোভ-২ জেনোমিক কনসর্টিয়ামে পাঠাতে হবে। যাতে দ্রুত নতুন উপপ্রজাতির হদিস মেলে।
৭. সমগ্র দেশবাসীকে মাস্ক পড়ার পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ৩১ শে ডিসেম্বরের জন্য কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে-কোনও রেস্তোরাঁ, বার ইত্যাদি জায়গাতে পঞ্চাশ শতাংশ জায়গা নির্ধারিত হবে জনসাধারণের জন্য। অর্থাৎ রেস্তোরাঁ বা বারের ভিতরে জনসাধারণের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন। পাশাপাশি, রেস্তোরাঁ, বার এবং বিভিন্ন জনবহুল জায়গাগুলি ৩১শে ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি শুধুমাত্র রাত বারোটা অবধিই খোলা থাকবে।
এছাড়াও বলা হয়েছে,সকলকেই মাস্ক পড়তে হবে। আনন্দ করার পাশাপাশি দেখতে হবে রোগ যেন অপরজনের মধ্যে না ছড়িয়ে পড়ে, নিজেদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, খুব বেশি ভিড় বহুল জায়গা এড়িয়ে যেতে হবে। শীতে করোনার প্রভাব অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। ফলে যতটা সম্ভব, সতর্ক থাকতে হবে।পাশাপাশি,ডিডিএমএ আদেশ সভা এবং সম্মেলন, প্রদর্শনী এবং বিবাহ ব্যতীত অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলি করার জন্য ব্যাঙ্কুয়েট হলগুলিতে নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে।
মহানগর ডেস্ক: আমজনতার জন্য সুখবর বড়দিনের আগেই। ফের LPG গ্যাস সিলিন্ডার সস্তা হল কলকাতায়। তবে তেল কোম্পানিগুলো নতুন বছরের আগে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমানোর রাস্তায় হেঁটেছে।কোনও বদল আসেনি গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের দামে।গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের দাম এই নিয়ে টানা বেশ কয়েক মাস না কমলেও অদল বদল হয়েছে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। এবার কেন্দ্র ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে গ্রাহকদের ক্রিসমাস এবং নববর্ষের আগাম উপহার দিল। নয়া নির্দেশ অনুযায়ী,নতুন দাম প্রযোজ্য হবে ২২ ডিসেম্বর থেকেই।
হোটেল এবং রেস্তোরাঁ মালিকদের অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দামের এই হ্রাস।এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমেছে সাড়ে ৩৯ টাকা।কলকাতায় বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের এর আগে দাম ছিল ১৯০৮ টাকা, সেই দাম কমে হলে ১৮৬৯ টাকা। পাশাপাশি দাম কমানো হয়েছে অন্য শহরেও। দিল্লিতে যেখানে সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৭৯৬.৫০ টাকা, তা কমে হয়েছে ১৭৫৭.৫০ টাকা। মুম্বইতে বাণিজ্যক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১৭৪৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৭১০ টাকা ও চেন্নাইতে ১৯৬৮.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার পাওয়া যাবে ১৯২৯.৫০ টাকায়।
বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এই নিয়ে চলতি মাসেই তিনবার কমানো হল। গত ১ ডিসেম্বরে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করা হয়।বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৬ নভেম্বর কমানো হয়েছিল ৫৭ টাকা। এরপরে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানো হল ২২ ডিসেম্বরে।
মহানগর ডেস্ক: এলপিজি (LPG) সিলিন্ডারের দাম দফায় দফায় কমেছে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে । রান্নার গ্যাসের দাম অগস্টেই এক দফায় কমেছিল। এদিকে অক্টোবরের শুরুতেই উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের জন্য ১০০ টাকা করে ভর্তুকি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মাঝে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও গ্যাসের দাম কমানো নিয়ে আলাদা আলাদা ঘোষণা করছে। তবে ভর্তুকি পেতে হলে গ্রাহকদের করতে হবে একটি বিশেষ কাজ ।
কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থাগুলিকে এক নির্দেশিকা পাঠায়। তাতে বলা হয়, ভর্তুকিযোগ্য রান্নার গ্যাসের সব গ্রাহকের আধার যাচাই করতে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এদিকে সব ক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিষয়ে সরাসরি গ্রাহকদের জানানো হয়নি সরকার বা জ্বালানি সংস্থাগুলির তরফ থেকে। এই সংক্রান্ত কোনও জনস্বার্থমূলক প্রচারও হয়নি। এই আবহে ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেশ কিছু সিলিন্ডার ডিলারদের এই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে জানায়। এমনটাই জানা গিয়েছে রিপোর্ট সূত্রে।যদিও তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের তরফ থেকে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামকে গত ১৮ অক্টোবরই এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে গ্রাহকরা এখনও এই বিষয়ে অন্ধকারে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে,এই আবহে এলপিজি গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে।পাশাপাশি,ডিলাররাও চাপে পড়বেন। প্রশ্ন উঠছে, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত আছে গ্যাস সংযোগও। এই আবহে ফের কেন বায়োমেট্রিক তথ্য চাওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে? সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কোনও এক পরিবারে একাধিক ভর্তুকিযোগ্য গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্যই গ্রহণ করা হচ্ছে এই পদক্ষেপ ।
উল্লেখ্য,কয়েক মাস আগেই এইপিএস পদ্ধতিতে প্রতারণার বিষয়টি সামনে এসেছিল। রাতারাতি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছিল। প্রতারণার তদন্তে নেমে জানা যায়, বায়োমেট্রিক তথ্যের অপব্যবহার করেই প্রতারণা করা হচ্ছে। জমির রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে রেশন বা সাধারণ ফোনের সিম তোলার ক্ষেত্রেও বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক।
মহানগর ডেস্ক: মধ্যবিত্তেরর জন্য দুঃসংবাদ মাসের প্রথম সপ্তাহেই। ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম । সামনে আসল ঠিক কত টাকা দাম বাড়ল সিলিন্ডার পিছু,সেই তথ্য। গোটা নভেম্বর মাসজুড়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হবে এই বর্ধিত দামেই। ফলে আমজনতার মাথায় হাত। তেল কোম্পানিগুলো প্রতিমাসের ১ তারিখ পেট্রল-ডিজেল, সিএনজি,রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সহ নানান জ্বালানির দাম পর্যালোচনা করে। ফলস্বরূপ ১ নভেম্বরও তাই হয়েছে।
আর তাতেই সরকারি তেল কোম্পানিগুলো রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০৩.৫০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বুধবার মধ্যরাত পড়তেই। যদিও সাধারণ মানুষের হেঁশেলে ততটাও পড়বে না এই মূল্য বৃদ্ধির চাপ! সাধারণ মানুষের ততটাও অসুবিধা হবে না রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লে! কি নিশ্চয়ই আপনি বিস্মিত হচ্ছেন এই বিষয়টি জেনে।আসলে দাম বাড়ানো হয়নি ১৪.২ কেজির লাল রঙের গৃহস্থ রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের।১৯ কেজির নীল রঙের বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের এবার দাম বেড়েছে।বুধবার থেকে এর ফলে ১,৯৪৩ টাকা দরে কলকাতায় রান্নার বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।যা ১,৮৩৯.৫০ টাকা ছিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
খরচ বাড়বে অফিস ক্যান্টিন,ফাস্টফুড সেন্টার,হোটেল, স্কুল-কলেজের ক্যান্টিন,রেস্তোরাঁ ইত্যাদির রান্নার বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়।এদিকে এখনও শেষ হয়নি বাঙালির উৎসবের মরশুম।সামনেই কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছট পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো আছে।ফলে দেদার খাওয়া দাওয়া চলবে বাইরে। তাই সরাসরি বাড়ির হেঁশেলে না পড়লেও ঘুরপথে ভালই প্রভাবিত হবে আমজনতা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির এই প্রভাবে। কারণ বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন, ফাস্টফুড সেন্টার তাদের খাবারের দাম বাড়াতে পারে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বাড়ায়।ক্রেতাদের এর ফলে খরচা ভালই বাড়বে।
এদিকে বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারের দাম গত মাসের মতোই অপরিবর্তিত আছে রান্নার বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দিলেও। প্রসঙ্গত, তেল কোম্পানিগুলো ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডার পিছু ২০০ টাকা করে দাম কমিয়েছিল গত ৩০ আগস্ট। তারপর থেকে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি দামে।সেই ধারা বজায় থাকল নভেম্বর মাসেও।ফলে ৯২৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কলকাতায় বাড়ির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার।
কৃষকদের জন্য দীপাবলিতে রয়েছে ডবল ধামাকা ! কত তারিখে ঢুকছে কিষাণ প্রকল্পের টাকা
মহানগর ডেস্ক: কৃষকদের অন্নদাতা বলা হয়ে থাকে আমাদের দেশে এবং প্রধানমন্ত্রী সকল কৃষক বন্ধুদের বা আমাদের সকলের অন্নদাতাদের জন্য এই কথা মাথায় রেখে নিয়ে এসেছে কিষান সন্মান নিধি প্রকল্প। ভারত সরকারের তরফে এই প্রকল্পে দীপাবলির আগে ঘোষণা করা হল আর্থিক সাহায্য বা ভাতা বৃদ্ধির কথা।এই প্রকল্পে বছরে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় কৃষকদের অ্যাকাউন্টে।
তিনটি কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয় এই টাকা।এই কিস্তির টাকা কৃষকদের একাউন্টে ঢুকে যাবে এবার দীপাবলি বা কালীপুজোর আগেই। তবে কৃষকদের একাউন্টে ঢুকবে এবার আর ২০০০ ঢুকবে না। এবার দেওয়া হবে ৪০০ টাকা।
কিন্তু এই ৪০০০ টাকা দেওয়ার কারণ কি?
বেশিরভাগ কৃষকের আর্থিক অবস্থা বর্তমানে ভাল নয়। মোদী সরকার সেই পরিস্থিতি বদলাতেই চালু করেছে ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি প্রকল্প।’ কৃষকরা বছরে এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে 6 হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পান। তবে সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে,কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি এই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়েছে।মোদি সরকার ৪ হাজার টাকা করেছে এর আর্থিক পরিমাণ বাড়িয়ে।
কালীপুজোর বা দিওয়ালির সময় এই অনুদানের ১৫ তম কিস্তির টাকা ঢুকবে।সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, কৃষকদের একাউন্টে এর টাকা ঢুকতে পারে ১৫ নভেম্বর।এখনো পর্যন্ত 14টি কিস্তি ঢুকেছে কৃষকদের একাউন্টে।তারা এখন ১৫ তম কিস্তি পাওয়ার অপেক্ষ করছেন। ২ টো কিস্তির টাকা ঢুকেছে এবছর ২ হাজার করে। আর তৃতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে ৪০০০ টাকা।কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এবার চার হাজার টাকা করে পাবে কৃষক গোষ্ঠীরা।
উল্লেখ্য, E-KYC প্রক্রিয়া যে সকল কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে সম্পূর্ণ করা আছে এই কিস্তির অর্থ পাবেন কেবলমাত্র তারাই। অর্থাৎ,মোবাইল নম্বর এবং আধার নম্বর লিঙ্ক করা থাকতে হবে কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের সঙ্গে। নচেৎ,কিষান যোজনার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও টাকা ঢুকবে না একাউন্টে।
বিশ্বব্যাঙ্ক রাজ্যকে ঋণ দেবে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা, মিললো কেন্দ্রের সম্মতি
মহানগর ডেস্ক: রাজ্য বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে চলেছে আরও ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে পঞ্চায়েতের কাজে ব্যয়ের জন্য। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই এই টাকা ঋণপ্রদানে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে। আইএসজিপি বা ‘ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অফ গ্রাম পঞ্চায়েত’ এই প্রজেক্ট চালুর জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঋণদানে সম্মতি জানানো হয়েছে,এমনটাই জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে।
‘ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের’ অনুমোদন লাগে মূলত বিশ্বব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য। নবান্নের আধিকারিকদের কিছুটা সংশয় থাকলেও নবান্নের কাছে প্রাথমিকভাবে সম্মতি আসায় সংশয় অনেকটাই কেটেছে ।এই টাকা খরচ করা হবে এই প্রজেক্টের তৃতীয় পর্যায়ে বা ফেস-৩ প্রকল্পের জন্য।পঞ্চায়েতের আধুনিকীকরণ, কর্মীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, জিনিসপত্র কেনা-সহ পরিকাঠামো সংক্রান্ত একাধিক কাজ করা হবে এই টাকা দিয়েই। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৯ সালের মধ্যেই।
নবান্ন সূত্রে খবর,কেন্দ্রের কাছ থেকে সম্মতি আসার পর ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর কেন্দ্রকে একটি লিখিত প্রস্তাব পাঠাচ্ছে।এই প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্যের পারফরম্যান্স খুব ভাল হওয়ায় বিশ্বব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে ।
এই প্রকল্প শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে এই আইএসজিপি প্রকল্প বা ‘ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অফ গ্রাম পঞ্চায়েত’। এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয় রাজ্যের মোট এক হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতকে।এরপর বিশ্বব্যাঙ্ক ২০১৭ সালের মাঝামাঝি এই প্রকল্পেরই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ করার জন্য অনুমোদন দেয়।রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে অনলাইন প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে এই প্রকল্পের অধীনেই ।