মহানগর ডেস্ক: ইডির হাতে ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হেফাজতে পেয়েই রেশন দুর্নীতি মামলায় জেরা শুরু করলেন তদন্তকারীরা।সোমবার রাতে বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিনি ছাড়া পাওয়ার পরই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ১০ দিন তিনি এখানেই থাকবেন। মন্ত্রীর জন্য ইডি দপ্তরে আলাদা সেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসকরা ক্লিনচিট দেওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁকে জেরা শুরু করেছেন ইডি তদন্তকারীরা।তবে,সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে তাঁর আপ্ত সহায়ক ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার।
রাত সাড়ে ১০টার কিছু পরে সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দপ্তরে ঢোকেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। তবে বাবার সঙ্গে তেমন কথা হয়নি তাঁর। ইডি অফিসারদের ঘেরাটোপেই নির্দিষ্ট সেলে পৌঁছন মন্ত্রী। সূত্রের খবর, ইডি দপ্তরে জ্যোতিপ্রিয়র থাকার জন্য আলাদা সেলের ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে তাঁর নিরাপত্তায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল। নৈশভোজে তাঁকে বাড়ির খাবারই দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর খাবার আগে পরীক্ষা করে দেখেন মেয়ে প্রিয়দর্শিনী।লিকার চা ও পাঁউরুটি দিয়ে তিনি মঙ্গলবার সকালে প্রাতরাশ করেছেন বলে খবর।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, ইডির তদন্তকারী দল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেরা শুরু করেছেন মঙ্গলবার সকাল থেকেই। রেশন বণ্টনে অব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। তাঁর দুই আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস ও অমিত দে-কে টানা জেরায় যেসব তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা, তার ভিত্তিতেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেরা করা হতে পারে। তাঁদের বয়ানের সঙ্গে মন্ত্রীর বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। মূলত তিন জনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে তাঁর বয়ান – দুই আপ্ত সহায়ক ও ইডির হাতে ইতিমধ্যে ধৃত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান।জ্যোতিপ্রিয়কে আগামী ১০ দিনই ইডির ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।