মহানগর ডেস্ক : ভূপতিনগর নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন সরগরম। ২০২২- এর ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের পর এনআইএ শনিবার সেখানে তদন্তে গেলে তৃণমূলের তরফে এনআইএর-র উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এবআইএ তৃণমূল নেতা বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা কে গ্রেফতার করে। ঘটনার তদন্তে হাজিরা এড়ানোর পরই এনআইএ আদালতের নির্দেশে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে ভূপতিনগরে আসে। তারপরই এই ঘটনার সূত্রপাত। এনআইএ এই দুই ধৃতকে ৫ দিনের হেফাজতে চায়, আদালত তা মঞ্জুর করে। আদালত রায়দান হোল্ডে রেখেছেন। এদিকে এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। এই আবহে রবিবার ভূপতিনগর যাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষ।
<span;>কুণাল ঘোষ বলেছেন, “ভূপতিনগরের ঘটনা অবাঞ্ছিত তবে যা হয়েছে তা বিজেপির প্ররোচনার ফল। নির্বাচন কমিশনের উচিত এনআইএ-র যে অফিসাররা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে, তাদের সরিয়ে দিক।”
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “২০২২ সালে কোথায় একটা চকলেট বোম ফেটেছিল তার পর রাতের বেলায় বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের সব বুথ এজেন্টদের গ্রেফতার করতে হবে? এই ভাবেই নন্দীগ্রামে লোডশেডিং করে জিতেছিলে, তখন বুঝতে পারিনি। রাতের বেলায় গ্রামে অচেনা-অজানা মানুষ গ্রামে ঢুকে অত্যাচার করলে কি মেয়েরা ঘোমটা দিয়ে থাকবে?”
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উস্কানির ফলেই ভূপতিনগরে এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে।”
এদিকে ভূপতিনগরের ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ভূপতিনগর থানায় ফোন করে পুলিশ এই ঘটনায় কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে।
এদিকে এনআইএ-র উপর হামলার পর দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহে গেলে তাদের বলা হয় কিছু হয়নি, কিছু বলব না।
এনআইএ-র তরফে জানান হয়েছে, ধৃত দুই তৃণমূল নেতা ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এই আবহে রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কুণাল ও চন্দ্রিমা ভূপতিনগরে যাবেন ভোটের মুখে ওই এলাকার রাজনৈতিক সমীকরণ বুঝতে এবং সেখানে কুণাল,চন্দ্রিমা সভা করতে পারেন বলেও তৃণমূল সূূত্রে খবর।