বিক্রম ব্যানার্জী: সংসারে নিদারুণ অভাবের কারণে মাত্র 25 দিন বয়সী শিশু কন্যাকে 30 হাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল অসমের ধেমাজি জেলা। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শিশু কল্যাণ কমিটির সহযোগিতায় অসমের এক স্থানীয় চিকিৎসকের বাড়ি থেকে কন্যা সন্তানটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। নবজাতককে বিক্রির ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছ গোটা এলাকায়।
মেয়েকে 30 হাজারে বিক্রি করতে বাধ্য বাবা!
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অসমের ধেমাজির বাসিন্দা ওই বাবা পেশায় দিনমজুর। প্রতিদিন যা রোজগার করতেন তাতে কোনওমতে চলত অভাবের সংসার। গত 4 অক্টোবর অসম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ফুটফুটে শিশু কন্যার জন্ম হলে 25 দিনের মাথায় স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে কন্যাকে বিক্রি করে দেন দম্পতি। যেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হস্তক্ষেপ করে জেলা শিশু কল্যাণ কমিটি। এরপরই স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একরত্তিকে।
প্রসঙ্গত, কন্যা সন্তান বিক্রির ঘটনা সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। চাইল্ড হেলপ্লাইন ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় শিশুর বাবা-মায়ের খোঁজ। অবশেষে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অসমের ধেমাজি জেলার স্থানীয় চিকিৎসকের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। এরপরই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নবজাতককে। যদিও পুলিশ আগেই অনুমান করেছিল যে, মূলত অভাবের তাড়নায় মাত্র 30 হাজারের ওই কন্যা সন্তানকে বিক্রি করেছে তার মা- বাবা। পরবর্তীতে চিকিৎসককে গ্রেফতার করার পাশাপাশি শিশু বিক্রি চক্রের সাথে যুক্ত আরও দুই দালালকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হাসিনার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লিগের কোনও জায়গা নেই: মোহম্মদ ইউনূস