Chopra
‘বহিরাগত নিয়ে অশান্তি করছে’- সন্দেশখালি কান্ডে বহিরাগতদের নিশানা মুখমন্ত্রীর
মহানগর ডেস্কঃ এবার সন্দেশখালি নিয়ে সড়ব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর বক্তব্য সন্দেশখালির অশান্তির পেছনে রয়েছে বহিরাগতদের মদত৷এদিন, বিধানসভার জবাবী ভাষণে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা মুখে মাস্ক পড়েছে৷ যারা বাইরে থেকে অশান্তি পাকিয়েছে৷ তারা অনেকে গ্রেফতার হয়েছে মোট ১৭ জন গ্রেফতার হয়েছে৷ বিজেপির নেতা কর্মীরা গ্রেফতার হয়েছে৷ সন্দেশখালি আজ নতুন নয়৷ ওখানে আরএসএস-এর একটা শাখা আছে৷ বহিরাগত নিয়ে অশান্তি করছে৷ আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ আমাদের পুলিশ ঘরে-ঘরে যাচ্ছে৷ কথা শুনছে৷’
উত্তপ্ত সন্দেশখালি কান্ডকে ইস্যু করে পথে প্রচারে নেমেছেন বিভিন্ন বিরধী দলগুলি। বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় চলে রাস্তা অবরোধ, কোথাও আবার রাস্তায় বসেই চলে বিক্ষোভ কর্মসূচী। রাস্তায় টায়ার টিউব জ্বালিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পাশাপাশি, এ দিন সুকান্তের পরে সন্দেশখালির উদ্দেশ্য রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বাসে করে সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই তাঁকে সরবেড়িয়ায় তাঁকে আটকে দেওয়ায়, সেখানেই ধরনায় বসে পড়েন তিনি৷
অন্য দিকে আবার চোপড়া কান্ড নিয়ে সড়ব হয়েছে তৃণমূল।রাজ্যপালকে চোপড়ায় যাওয়ার আর্জি জাবিয়ে একটি ডেপুটেশন জমা দেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিএসএফের কাজ তো সীমান্তে পাহারা দেওয়া? শিশুদের জীবনের কোনও মূল্য নেই? চার শিশু মারা গিয়েছে৷ যাদের কারণে চারটি শিশু মারা গেল, আমি তাদের শাস্তি চাই। আমরা আজ রাজ্যপালের কাছে গিয়েছি। তোমার কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া৷ বিজেপির প্রচার করা নয়৷’
উত্তপ্ত সন্দেশখালির ঘটনার মধ্যেই চোপড়া নিয়ে সড়ব তৃণমূল, ডেপুটেশন পৌছাল রাজভবনে
মহানগর ডেস্কঃ একদিকে যখন সন্দেশখালির উত্তাপে সড়গড়ম রাজ্য-রাজনীতি, তখনই চোপড়া কান্ড নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরকে। তাঁদের দাবি সন্দেশখালি গেলে, চোপড়া নয় কেন? এই মর্মেই রাজ্যপালের কাছে দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল নেতৃ্ত্বেরা। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি নিয়ে রাজভবনে ডেপুটেশন জমা করার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য নয় নেতা-নেত্রী।
বৃহস্পতিবার ডেপুটেন জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমুলের প্রতিনিধি দল। এদিন তাঁরা বলেন, “যে মর্মান্তিক ঘটনা চোপড়ায় ঘটেছে তা হৃদয় বিদারক। রাজ্যপালকে আমাদের অনুরোধ, একবার আপনি যান। কথা বলুন। বিএসএফ এই কনস্ট্রাকশন বেআইনি ভাবে করছিল।”
সেই সঙ্গেই সন্দেশখালি নিয়েও সড়ব হতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বদের। তাঁদের বক্তব্য “আমরা দেখেছি আপনি সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। আপনি একবার আসুন চোপড়ায়।” এদিন অবশ্য তাঁদের এই আর্জিতে সাড়া দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তিনি জানিয়েছেন, তিনি কথা দিচ্ছেন, তিনি যাবেন চোপড়ায়।
এই বিষয় নিয়ে কুণাল ঘোষের মন্তব্য, “আমরা দেখব তিনি কবে যাবেন। আমরা বলেছি সন্দেশ খালিতে একতরফা রিপোর্ট এসেছে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে থেকে রিপোর্ট নিন। যদি কিছু ঘটে থাকে দল দেখবে।
চোপড়ার ঘটনা নিয়ে এদিন ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, চোপড়ার ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপির দুর্বৃত্তরা রাজ্য জুড়ে নানা রকম কাণ্ড করছেন। এটা যেন তৃণমূল পরিষদীয় দল মাঝে মাঝে অবহিত করেন।” অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে বলেছি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন সেটি ভিত্তিহীন রিপোর্টের উপর দাঁড়িয়ে। রাজ্যপাল বলেছেন রাজ্য সরকারের কাছেই এ বিষয়ে রিপোর্ট চাইবেন তিনি।” অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, “লাগাতার নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠত নিরাপদ সর্দার, বিকাশ সিংদের। এত দিন ধরে বলল না কেন? সাজিয়ে আনছে, মিথ্যে কথা বলাচ্ছে।”
চোপড়ায় ৪ শিশুর মৃত্যু, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সময় দিলেন রাজ্যপাল
মহানগর ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার চেতনাগাছে বিএসএফ-এর এলাকায় মাটি চাপা পড়ে চার শিশুর মৃত্যু, তৃণমূলের অভিযোগ, বিএসএফ-এর গাফিলতিতেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ৪ শিশুর মৃত্যু ঘিরে রাজ্য রাজনীতি এখন উত্তাল। এই ঘটনার প্রতিবাদে চোপড়া সহ রাজ্য জুড়ে মঙ্গলবার আন্দোলনে নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
মঙ্গলবারই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চায় তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজপালের কাছে চোপড়ায় যাওয়ার আবেদন জানাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের শাসকদলের প্রশ্ন, অশান্তির অভিযোগে রাজ্যপাল যদি সন্দেশখালি যেতে পারেন, তা হলে বিএসএফের গাফিলতিতে ৪টি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কেন চোপড়া পরিদর্শনে যাবেন না রাজ্যপাল? এদিকে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে যাবেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, উদয়ন গুহ, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, বিরবাহা হাসদা, গৌতম দেব, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়া এবং কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগাছ এলাকায় একটি নর্দমা কাটছিল বিএসএফ। সোমবার ওই জায়গায় খেলা করছিল শিশুরা। আচমকাই ওই জায়গায় ধস নেমে দুর্ঘটনা ঘটে। মাটির নীচে চাপা পড়ে ৪টি শিশু। বিএসএফ জওয়ানেরা তাঁদের উদ্ধার করে চোপড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই চার শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে বিএসএফের গাফিলতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমে পড়েছে তৃণমূল। রাজ্যপালের কাছে বৃহস্পতিবার বিএসএফের বিরুদ্ধে নালিশ জানাবে তৃণমূল। তাঁকে চোপড়া যেতেও আবেদন জানাবে তৃণমূল। মঙ্গলবার চোপড়াতে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি করছে তৃণমূল। এদিকে সোমবারই এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেছিলেন, ‘‘বিএসএফের লোকেরা দেখতে পেলেন না, চারটে বাচ্চা খেলতে খেলতে পড়ে গেল!’’
মহানগর ডেস্ক: মাটিচাপা পড়ে মৃত্যু হল চার শিশুর। ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তের দাসপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সীমান্ত এলাকায় ড্রেন কাটার কাজ চলছিল। আচমকা সেখানে মাটিতে ধস নামে। সেই সময় কয়েকজন বাচ্চা খেলছিল। মাটির ধসে চাপা পড়ে যায় চারজন।
বিএসএফ জওয়ানরাই ওই শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গ্রামপঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। চোপড়ার দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। গ্রামবাসীদের দাবি, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে এই ড্রেন কাটার কাজ চলছিল। পাল্টা উদ্ধারকারী বিএসএফের বক্তব্য, এখানে তাদের কোনও ভূমিকাই নেই। মানুষ বিপদে পড়েছে শুনে ছুটে আসে তারা। বাচ্চাদের তাড়াতাডি করে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর আলি বলেন, “সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ হাইড্রেন খুঁড়ছিল। মাটিটা অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ৬-৭টা বাচ্চা ওখানে খেলতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।” অন্যদিকে উদ্ধারকারী একবিএসএফ জওয়ান জানান, “ওখানে যে মাটিতা আমাদের নয়। সাধারণ মানুষের।”