মহানগর ডেস্ক: ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের পৃথক স্থান হয়ে উঠছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। যুদ্ধের ৮ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে কিন্তু থামছে না রাশিয়া। ক্রমাগত ইউক্রেনের একাধিক এলাকার নিজেদের কুক্ষিগত করে চলেছে রাশিয়া। কখনো সইনে বলে তো কখনো গণতান্ত্রিক ভোটকে কব্জা করে। এমনকি সম্প্রতি পারমাণবিক হামলার শখ কষে ছিল পুতিন রাষ্ট্র। তাঁর এই সর্বগ্রাসা বাহিনীর থেকে এখনো ইউক্রেন সেনাদের শিকদার আর সোজা রাখতে পরোক্ষভাবে মাঠে নেমেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনকে ক্রমাগত অত্যাধুনিক সামরিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা।
আর এরই মাঝে নিয়মিত নিজেদের মধ্যে ফোনআলাপে যোগাযোগ রাখত আমেরিকা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এমনই এক ফোনালাপের সময় জো বাইডেন রীতিমতো জেলেনস্কির উপর তিতি বিরক্ত হয়ে ওঠে বলে দাবি করছে মার্কিন সংবাদ চ্যানেল এনবিসির রিপোর্ট।
তাদের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন মাসে এক ফোনালাপের সময় জেলেনস্কি ইউক্রেনকে বাঁচাতে অসহনীয় হয়ে বাইডেনের থেকে আরও সাহায্য চান। তখনই নিজের বিরক্তি প্রকাশ করে বাইডেন নাকি গলা চড়িয়ে জেলেনস্কিকে বলেন, ‘আরে একটু কৃতজ্ঞতা দেখান।’ এদিকে সূত্রের বরাত দিয়ে এনবিসির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ‘ফোনে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট কে বাইডেন উপযুক্ত সামরিক চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে সমস্যা পরিচালনা করার কথা বলেছিলেন।’ তবে এই ফোনালাপের পরেই বাইডেনের সঙ্গে মনোমালিন্য মেটাতে আসরে নামেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কথা হয়েছে। তিনি তাঁর সমর্থনের জন্য ভীষণ কৃতজ্ঞ। ডনবাসের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই সাহায্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে সবকিছুর জল্পনায় জল ঢেলে আগেই ইউক্রেনকে নতুন করে ২৭৫ মিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করে আমেরিকা। আর তার দুদিনের মধ্যেই এই রিপোর্ট প্রকাশে এসেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১৮.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক সাহায্য করেছে আমেরিকা। আরও এক দফা নতুন প্যাকেজের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের শরণাপন্ন হয়েছেন বাইডেন। কিন্তু এই রিপোর্ট দাবি করছে, বাইডেনের এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেস রিবাপলিকান এবং সেনেটের ডেমোক্র্যাটরাই চূড়ান্ত বিরোধিতা জানিয়েছে।