Congress
রয়েছে কমল নাথ অশোক গেহলটের ছেলের নাম, দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস
মহানগর ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। এখনেই রয়েছে চমক। দ্বিতীয় তালিকায় নাম রয়েছে কমলনাথের ছেলে নকুল নাথ, অশোক গেহলটের ছেলে বৈভব গেহলটের। কমল নাথ এবং তাঁর ছেলের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার চর্চার মধ্যেই এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ৪৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে ।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য কমলনাথের ছেলে নকুল নাথ, অশোক গেহলটের ছেলে বৈভব গেহলট এবং কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের নাম তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেসি ভেনুগোপাল নাম ঘোষণা করে, “আমরা ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রার্থীদের প্রথম তালিকা ঘোষণা করেছি। আজ, আমরা দ্বিতীয় তালিকা ঘোষণা করতে যাচ্ছি। গতকাল সিইসি আসাম, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে প্রায় ৪৩ টির মতো নামের তালিকা সাফ করেছেন।” কেসি ভেনুগোপাল বলেছেন যে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ অসমের যোরহাট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, নকুল নাথ মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, রাহুল কাসওয়া রাজস্থানের চুরু থেকে এবং বৈভব গেহলট জালোর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কংগ্রেস জানিয়েছে, “এই তালিকায়, ৪৩ জন প্রার্থীর মধ্যে, ১০ জন সাধারণ প্রার্থী, ১৩ জন ওবিসি প্রার্থী, ১০জন এসসি প্রার্থী, ৯ জন এসটি প্রার্থী এবং ১ জন মুসলিম প্রার্থী।”
নকুল নাথ মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া থেকে বর্তমান সাংসদ। তিনি জানুয়ারিতে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি তার পারিবারিক কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তালিকায় আসাম, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলটি সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকার এবং দরিদ্রদের অধিকারের জন্য লড়াইয়ের উপর জোর দিয়েছে। তালিকাটি এসসি, এসটি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ প্রার্থী রয়েছন।”
মহানগর ডেস্ক : ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে বেসুরো গাইছেন। সোমবার তিনি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন, তৃণমূল বাইরে থেকে বহরমপুরে প্রার্থী উড়িয়ে এনে ঠিক করেনি, এর মূল্য তৃণমূলকে দিতে হবে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “বাইরে থেকে খেলোয়ার বা কলকাতা থেকে গায়ক উড়িয়ে এনে অধীর চৌধুরীকে পরাজিত করা যাবে না, এটা প্রমাণিত।” অর্থাৎ হুমায়ুন কবীর তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বহরমপুরে দল যাঁকে প্রার্থী করেছে সেই ভারতীয় ক্রিকেটার প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে তাঁর পছন্দ নয়। এমনিতেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবেই কংগ্রেসে থাকাকালীন হুমায়ুন কবীরের পরিচিতি ছিল। অধীরের বিরোধীতা করেই হুমায়ুন কবীর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। তবে তৃণমূলে এসে তিনি হালে পানি পাচ্ছেন না। এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজেয়ার যাত্রার সময় বেসুরো গাইছিলেন হুমায়ুন কবীর। তবে তাঁর সেই ক্ষোভ প্রশমন হয়েছে। তবে ফের বহরমপুরে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করার পর হুমায়ুনের নিজেকে বঞ্চিত মনে হচ্ছে, তাই তিনি এক অধীর রঞ্জন চৌধুরীর জয়কে নিশ্চিত বলে আগাম মুখ খুললেন।
এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “তৃণমূল দলটা এমন যে বহরমপুরে দলের কাউকে প্রার্থী হিসাবে নির্ভর করতেই পারল না। হুমায়ুন কবীর যা বলেছেন সেটা সত্যি, তিনি মাটির সঙ্গে কাজ করেন। তাই তিনি জানেন বহরমপুরের মাটি কি চাইছে। তাই তিনি ঠিকই বলেছেন। আসলে তৃণমূল তার দলের কর্মীদের বিশ্বাস করে না, তাই বাইরে থেকে খেলোয়ার এনে অধীরবাবুর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে। কেন অধীরবাবুতো বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিম্মত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ান। অধীরবাবু নলেছিলেন তাঁকে পরাজিত করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সেটা করলেন না। আসলে অধীরবাবুর বিরুদ্ধে প্রার্থী না পেয়ে ইউসুফ পাঠানকে বাইরে থেকে বহরমপুরে এনে প্রার্থী করা হয়েছে।” এখন দেখার, বহরমপুর নিজের হাতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ধরে রাখতে পারেন কি না।
লোকসভার লড়াই এড়িয়ে যেতে পারেন মল্লিকার্জুন খড়গে সহ একাধিক শীর্ষ নেতা, অস্বস্তিতে দল
মহানগর ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই বিজেপি, কংগ্রেস এবং এবং তৃণমূল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নিজেদের পুরানো জায়গা ফিরে পেতে মরিয়া। এর মধ্যেই অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্থানের নেতারা এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এমনটাই সূত্রে শোনা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে চার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম – অশোক গেহলট, কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিং এবং হরিশ রাওয়াত এবং একজন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের নাম তালিকায় নেই। কংগ্রেস প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানেই ঘোষণা করা হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম ছিল। জানিয়ে রাখা ভাল, কর্ণাটকের গুলবার্গা নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি দুবার জিতেছিলেন কিন্তু ২০১৯ সালে হেরে গিয়েছিলেন৷ তবে যাই হোক এবাররে নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন না বলেই শোনা যাচ্ছে। তাঁর জায়গায় তিনি তাঁর জামাই রাধাকৃষ্ণান দোদ্দামনিকে মনোনয়ন দিতে পারেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।
খার্গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার মন্ত্রিসভায় একজন মন্ত্রী । তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী নন বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের মতে, এই প্রবীণরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ছিলেন না এবং পরিবর্তে দলের অন্য নেতাদের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে বৈভবের নাম ঘোষণা করেছিলেন। তবে, বৈঠকে অশোক গেহলটের হোম টাউন যোধপুর নিয়ে আলোচনা হয়নি। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে নকুল নাথ এবং ছিন্দওয়াড়ার বর্তমান সাংসদ, সম্ভবত এই আসন থেকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেই সূত্র জানিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত অসুস্থতার কারণে হরিদ্বার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ছিলেন নাতিনি চেয়েছিলেন তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে বীরেন্দ্র রাওয়াতকে টিকিট দেওয়া হোক। এমনটাই সূত্রের খবর। শচীন পাইলট, যিনি ছত্তিশগড়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ইনচার্জ, তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিবর্তে তিনি রাজস্থানের চারটি লোকসভা আসনে কংগ্রেসের জয়ের দিকে মনোনিবেশ করবেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি দলের সামগ্রিক সংখ্যার উন্নতি করতে ছত্তিশগড়ে কাজ করবেন। সিইসির পরবর্তী বৈঠকটি ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে যেখানে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহানগর ডেস্ক : বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে আগেই। এরপর রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল। এখন প্রশ্ন উঠছে বামেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী কারা তা জানার জন্য কৌতূহলী সব মহলই। এদিকে বঙ্গে হতে পারে জোট। তৃণমূল ইন্ডি জোট থেকে বেরিয়ে এসে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, বাম-কংগ্রেস বাধতে পারে জুটি। এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ার অপেক্ষা সময়ের। এদিকে, দিল্লিতে রয়েছে পলিটব্যুরোর মিটিং। অংশ নিচ্ছেন বঙ্গের শীর্ষ নেতৃত্বরা। যাচ্ছেন মহম্মদ সেলিম।
তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট ভেস্তে গেলেও বাম-কংগ্রেসের জোটেআশা দেখছে বামেরা। সোমবার জোটের আশা নিয়েই দিল্লি যাচ্ছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সোমবার সিপিএমের একদিনের পলিটব্যুরোর বৈঠক রয়েছে। সেখানেই বিষয়টি তুলবেন তিনি। সোমবার বৈঠকের পরেও দিল্লিতেও থাকবেন বাম নেতা। কলকাতায় এদিন তিনি ফিরবেন না বলেই খবর। মঙ্গলে কথা হতে পারে জোটের বিষয়।সিপিএম সূত্রে খবর, পলিটব্যুরোর বৈঠক শেষ করে সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বাংলার বিষয় নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলবেন। যদি কংগ্রেসের আসন সমঝোতা বিষয়ক কমিটির পাঁচ সদস্যের কাউকে পায়, তাহলে সিপিএম নেতৃত্ব নয়াদিল্লিতে মুখোমুখি কথা বলবে। তাই মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে থাকবেন সেলিম।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মহম্মদ সেলিমের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে বামেদের প্রার্থী তালিকা তৈরি রয়েছে বলে। অপেক্ষা এখন কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করার।আগামী বুধবার সিপিএমের সাপ্তাহিক রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক আছে। তার পর বামফ্রন্টের বৈঠক হবে। তার পর প্রার্থী তালিকা ঘোষণার বিষয়। এই প্রক্রিয়া কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আলোচনার আগে একতরফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চান না বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করতে চায় সিপিএম। তবে যে সব আসনে কংগ্রেসের কোনও দাবি নেই সেই আসনগুলির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে চায় সিপিএম। এখন সবটাই নির্ভর করছে মহম্মদ সেলিমের নয়াদিল্লি বৈঠকের ওপর।
মোদী সরকারের ৫ বছরে করা কাজ করতে কংগ্রেসের কত বছর সময় লাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
মহানগর ডেস্ক: শনিবার উত্তর-পূর্বের রাজ্য সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখন থেকেই একাধিক প্রকল্পের সূচনার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেছেন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, সেই যুদ্ধে জয়ী হতেই ময়দানে নেমছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রচারে নেমেই বিরোধীদের বিশেষত কংগ্রেসকে তুলোধনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শনিবার বলেছেন যে তাঁর সরকার গত পাঁচ বছরে উত্তর-পূর্বে যে ধরনের কাজ করেছে, কংগ্রেসের তা করতে ২০ বছর লেগে যেত।
প্রধানমন্ত্রী ৫৫,৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উন্মোচনের পর অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে একটি জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। সেখান থেকেই কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি। নমো বলেছেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের বাণিজ্য, পর্যটন এবং দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার সাথে অন্যান্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী লিঙ্ক হয়ে উঠতে চলেছে। আজ, এখানে ৫৫,০০০ কোটিরও বেশি মূল্যের প্রকল্পগুলি উন্মোচন করা হয়েছে। আমরা উত্তর-পূর্বে গত পাঁচ বছরে যা করেছি তা করতে কংগ্রেসের ২০ বছর লেগে যেত।” এদিন উত্তরপূর্ব ভারত থেকে জোর গলায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অরুণাচল প্রদেশে গেলে “মোদীর গ্যারান্টি” কী তা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে তিনি যখন দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের নেতারা তাকে আক্রমণ করছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী দিন শুরু করেছেন অসমের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে জঙ্গল সাফারি দিয়েই। সেই সঙ্গেই আজ অরুণাচল প্রদেশে বিশ্বের দীর্ঘতম দ্বি-লেনের টানেল (সেলা টানেল) উদ্বোধন করেছেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টানেল তৈরি করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এই টানেলের জন্য চিন সীমান্তের সঙ্গে দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার কমে যাবে। সুরক্ষার কারণে এই টানেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মহানগর ডেস্ক: গত কয়েকমাস ধরে জল্পনা চলছিল, অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হল। কংগ্রেস ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ বাগচী। এতোদিন তিনি বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিতেন সভা-সমিতিতে, বৃহস্পতিবার বিজেপি দফতরে যোগদান অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে গলা মিলিয়ে কৌস্তভ বললেন, “জয় শ্রীরাম। এইবার ৪০০ পার।” আজ থেকে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর নতুন পরিচয় বিজেপি নেতা হিসাবে।
বৃহস্পতিবার বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে পদ্মপতাকা হাতে তুলে নেন কৌস্তভ। বুধবারই কংগ্রেস ছাড়েন কৌস্তভ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তিন পাতার চিঠি পাঠান তিনি। সেখানেই জানান, কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য পদ ছাড়ছেন তিনি। কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে বহুদিন ধরেই যুক্ত কৌস্তভ। তবে ইদানিং দলের সঙ্গে তাঁর একেবারেই মানসিক মিল হচ্ছিল না। বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যেই দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা প্রকাশ্যে করছিলেন কৌস্তভ। এদিন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন কৌস্তভ। সুকান্ত মজুমদার কৌস্তভের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গত ২০২১ সালে অনেকে অনেক দল থেকে বিজেপিতে এসে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটে প্রার্থীও হয়েছিলেন কেউ কেউ। তাঁরা জিততে না পেরে, সুবিধা করতে না পেরে আবার বিজেপি ছেড়ে পালায়।”
কৌস্তভের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মুহূর্তে শুভেন্দুর এই মন্তব্য কি কৌস্তভকে মনে করিয়ে দেওয়া যে তিনি যেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন সিংরা যে নজির গড়েছেন, তা না করেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় নেতাকে তৃতীয়বার আমরা আবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আনতে চলেছি।” শুভেন্দু এর পর স্লেগান দেন, “এইবার ৪০০ পার”, শুভেন্দুর এই স্লোগানে গলা মেলান কৌস্তভ বাগচী, মঙ্গলবারও যিনি কংগ্রেস ছিলেন, যদিও আজ তিনি বিজেপি। এখন প্রশ্ন একটাই, আগামী দিনে কী এই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হতে চলেছেন কৌস্তভ?
মহানগর ডেস্ক : কংগ্রেস ছাড়লেল কংগ্রেসের প্রতিবাদী নেতা কৌস্তভ বাগচী। তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তাঁর ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন। তিনি দলের প্রাথমিক সদস্য ছিলেন। এখন দেখার কবে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
কেন কৌস্তভ বাগচি কংগ্রেস ছাড়লেন? উত্তরে কৌস্তভ জানিয়েছেন, “প্রদেশ কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসের চাইতে তৃণমূলের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আমার মনে হয়েছে এই দলটা করার আর কোনও প্রয়োজন নেই।”
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় জানিয়েছেন, “ওনার দুটো হাত আর একটা অজুহাত আছে। তিনি যে এই পথে যাচ্ছেন সেটা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। কংগ্রেসের কোনও অনুষ্ঠানে থাকেন না। তাঁর গলায় বিজেপির সুর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তবে ওনার কথায় প্রদেশ কংগ্রেসের অস্তিত্ব নির্ভর করে না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে সম্প্রতি কৌস্তভ বাগচির বাড়ির গণেশ পুজোতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন শুভেন্দুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে ভুয়সী প্রশংসা করেন কৌস্তভ। ওইবদিনই শুভেন্দু কৌস্তভের হাত ধরে বলেন, “আমরা এক সঙ্গে কাজ করব।” শুভেন্দুর ডাকে সাড়া দিয়ে কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ, এবার দেখা ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা মঞ্চে কৌস্তভ বিজেপিতে যোগ দোন কি না!
কৌস্তুভ বাগচির সঙ্গে বরাবরই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সম্পর্ক তিক্ত। অধীরবাবু একাধীকবার কৌস্তভের মুখে প্রদেশ কংগ্রেসের সমালোচনার জবাবে বলেছেন, “কে কোথায় কী বলছে তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
কাজেই বলা যায় অনেকদিন আগে থেকেই কৌস্তভ বাগচি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে ঢোকার রাস্তা খুঁজছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর সিগনাল পেয়ে বাড়ির গণেশ পুজোর দিনই কৌস্তভ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন কংগ্রেস ছাড়ার। এবার সত্যিই তিনি কংগ্রেস ছাড়লেন। এখন দেখার কবে তিনি তাঁর এক সময়ের সমালোচনার প্রধান লক্ষ্য বিজেপিতে যোগ দেন!
মহানগর ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি একদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি অন্যদিকে দল ভাঙার রাজনীতি, এই দুইয়ের সাড়াশি চাপে রেখে বিরোধীদের বিপর্যস্ত করতে মরিয়া। এই আবহেই এবার হিমাচল প্রদেশে পতনের মুখে কংগ্রেসের সরকার। সে রাজ্যের একটি মাত্র রাজ্যসভা আসনের ভোটে মঙ্গলবার জিতেছেন বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজন। তিনি হারালেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। কংগ্রেসের ছ’জন-সহ অন্তত ন’জন বিধায়কের ক্রস ভোটিংয়ের জেরেই এই ফলাফল বলে অভিযোগ। তবে কংগ্রেস-বিজেপিনসমান সমান ভোট পাওয়ায় লটারিতে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন।
রাজ্যসভার নিবাচনে ৬৮ জন সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেস-বিজেপি উভয় পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পায়। তার ফলে ভোটের ফল সমান সমান হওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় এবং হিমাচলে বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন জয়ী হন। হিমাচলে রাজ্যসভার একটি আসনে সরাসরি লড়াই ছিল শাসক কংগ্রেস এবং বিরোধীদল বিজেপির মধ্যে। ফলে ক্রস ভোটিংয়ের কারণে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি হেরে যাওয়ায় এবার সরাসরি প্রশ্ন উঠল মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। লোকসভা ভোটের আগেই সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে বলে মঙ্গলবারই দাবি তুলে দিয়েছে বিজেপি। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কংগ্রেস বিধায়কদের অপহরণের অভিযোগ তুলেছেন।
তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাদের পাঁচ-ছ’জন বিধায়ককে অপহরণ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং বিজেপি শাসিত হরিয়ানার পুলিশ।’’ তাঁদের হরিয়ানা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সুখবিন্দর সিং সুখু। ভোটের ফল প্রকাশের পরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেছেন, ‘‘হিমাচলে গণতন্ত্রকে খুন করল বিজেপি।’’ শুধু হিমাচলেই নয় বিজেপি ক্রস ভোটিং-এর ফলে সুবিধা পেয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। সেখানে ১০টি আসনের মধ্যে আটটিতে জিতেছে বিজেপি। সমাজবাদী পার্টির এক প্রার্থী পরাস্ত হয়েছেন। জিতেছেন জয়া বচ্চন-সহ দুই প্রার্থী। অন্য দিকে, দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে শাসক কংগ্রেসের তরফে ক্রস ভোটিং করেন বিরোধী বিজেপির এক বিধায়ক। সেখানে চারটির মধ্যে তিনটি রাজ্যসভা আসনে এর ফলে জিতেছে কংগ্রেস।
আগামী এপ্রিলে ১৫টি রাজ্যের ৫৬ জন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নিতে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ, উত্তরপ্রদেশের ১০, অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, বিহারের ছয়, ছত্তীসগঢ়ের এক, গুজরাতের চার, রাজস্থানের তিন, হরিয়ানার এক, হিমাচল প্রদেশের এক, কর্নাটকের চার, মধ্যপ্রদেশের পাঁচ, মহারাষ্ট্রের ছয়, তেলঙ্গানার তিন, উত্তরাখণ্ডের এক এবং ওড়িশা থেকে তিন জন নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪১ আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বিধায়ক সংখ্যার অনুপাতে প্রার্থী দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ভোটপর্ব মিটে যায়। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হয় উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং হিমাচলের মোট ১৫টি আসনে।
মঙ্গলবার বিকেলে ৫টায় হিমাচল প্রদেশের রাজ্যসভা ভোটের গণনা শুরু হলেও বিধানসভা ভবনে বিজেপি এবং কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে তুমুল গন্ডগোলের জেরে গণনা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়। অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয় বিধানসভা অধিবেশন। তবে সন্ধ্যায় কঠোর নিরাপত্তায় গণনা শুরু হয়। হিমাচলের পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভা ভোটের গণনা নিয়েও শাসক বিজেপি এবং বিরোধী সমাজবাদী পার্টির মধ্যে অশান্তির জেরে সাময়িক ভাবে গণনা মুলতুবি রাখা হয়। পরে ওই রাতেই গণনা শুরু হয় এবং ফল প্রকাশ হয়।