মহানগর ডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে করোনা টীকার পর এবার করোনা প্রতিরোধী নাকে দেওয়ার টিকা বা ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। সেই গবেষণা উদ্ভুত ভারত বায়োটেকের তৈরি নাকে টানার স্প্রে-তে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল। এবার সেই পথে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রজেনেকা একটি করোনার প্রতিষেধক ন্যাজাল ভ্যাকসিন (Oxford nasal vaccine) নিয়ে ট্রায়াল শুরু করে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই টিকার ট্রায়ালে ভরাডুবি হয়েছে সংস্থার। মানুষের শরীরে কোনও প্রভাব ফেলেনি এই টিকা বলে জানা যাচ্ছে ই-বায়োমেডিসিন নামক মেডিক্যাল জার্নালে ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের একটি প্রতিবেদন থেকে।
উল্লেখ্য নাকে দেওয়ার টিকা সাধারণ ডোজ এর থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ এই টিকার ওষুধ গলা দিয়ে সরাসরি পৌঁছয় ফুসফুসে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফুসফুস অবধি পৌঁছতেই পারবে না। যার অর্থ নাক থেকে ফুসফুস অবধি শ্বাসযন্ত্রের এই পথটাই সুরক্ষিত রাখবে ন্যাজাল স্প্রে। আপার রেসপিরেটারি ট্র্যাক্টে সংক্রমণ আটকে দিয়ে নাক, গলা, ফুসফুসে ভাইরাসের বিভাজনকে প্রতিহত করবে।
অক্সফোর্ডের ডিএনএ ভ্যাকসিনের ফর্মুলাতেই ভারতে কোভিশিল্ড টিকা তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। কোভিশিল্ডের ডোজ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এখন সূঁচ না ফুটিয়ে টিকা দেওয়ার নানা পদ্ধতি অনুসন্ধান করতে গিয়ে যেমন করোনার প্রতিষেধক পিল বেরিয়েছে। ঠিক তেমন কোভিডের সংক্রমণ এর পথ স্বরূপ নাক থেকে গলা ও সেখান থেকে ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করার প্রবণতাকে মাথায় রেখে নাকেই ভাইরাল স্ট্রেনের বিভাজন বন্ধ করতে ন্যাজাল ভ্যাকসিন আনার কথা ভেবেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই মতোই বিশ্বের বড় বড় ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থাগুলি গবেষণা শুরু করে কোভিডের ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিয়ে ট্রায়াল শুরু করেছে। অক্সফোর্ডও ছিল সেই সারিতে। কিন্তু তাদের তৈরি ভ্যাকসিন এই কাজে ব্যর্থ হওয়ার সঙ্গে শরীরে যাওয়া ওষুধ মিউকোসাল অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। যার ফলে ভ্যাকসিনের ডোজে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে মানুষের শরীরে। তাই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।