মহানগর ডেস্ক: জমের বাড়ি বললে ভুল কিছু বলা হবে না রাজ্যের এই সরকারি হাপাতালকে। যে খবর সামনে এসেছে তা রীতিমত শিউরে ওঠার মতই। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ শহরের সরকারি হাসপাতাল, যা সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এবং অক্টোবরের শুরুতে ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে ৩১ জন রোগীর মৃত্যুর খবর নিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিল। সেই হাসপাতালেই গত আট দিনে আরও ১০৮ জনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সরকারি হাসপাতালের অবস্থা দেখে রীতিমত আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় একটি শিশুসহ ১১ রোগী হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তবে মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নান্দেদের ডঃ শঙ্কররাও চ্যাভান সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন শ্যাম ওয়াকোদে জানিয়েছেন হাসপাতালে ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। ডিন বলেছেন, “গত ২৪ ঘন্টায়, ডাক্তাররা ১,১০০টিরও বেশি রোগীকে পরীক্ষা করেছেন এবং আমরা ১৯১ জন নতুন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে গড় মৃত্যুর হার আগে ছিল ১৩, যা এখন এ ১১ তে নেমে এসেছে। মৃত্যুর মধ্যে জন্মগত ব্যাধি নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।”
তিনি আরও জানান, আমরা পর্যাপ্ত ওষুধ সংরক্ষণ করেছি এবং কর্মীরা সমস্ত রোগীদের সাহায্য করছে। ওষুধের স্টক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ওয়াকোড বলেন, “আমরা সাধারণত আমাদের বাজেটের উপর নির্ভর করে তিন মাসের জন্য স্টক পরিচালনা করার চেষ্টা করি। ওষুধের ঘাটতির কারণে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি, তাদের অবস্থা অবনতির কারণে মারা গিয়েছেন।” তবে মঙ্গলবার, কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যাভান বলেছেন যে ৬০ টিরও বেশি শিশুকে নন্দেদ হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (NICU) ভর্তি করা হয়েছিল কিন্তু শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য মাত্র জন ৩ নার্স ছিলেন।