মহানগর ডেস্ক : দিল্লিতে আপ সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এক পরিসংখ্যানে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, গত এক বছরে ৬১ কোটি বোতল মদ বিক্রি করেছে দিল্লি সরকার। সেখানে ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সরকার।
২০২২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে আবগারি নীতি কার্যকর হয়েছে। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এমনকি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তার পরেও রাজ্যে রেকর্ড হারে মদ বিক্রি হয়েছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত দিল্লি সরকার মদ বিক্রয় করে মোট ৭ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যার মধ্যে ভ্যাট ২০১৩ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। আপ সরকার ২০২১-২২ সালের জন্য যেই নতুন আবগারি নীতি পরিকল্পনা করেছিল তা প্রয়োগ করলে হিসাব মত এই বছর মদ থেকে ৫৪৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়া যেত বলে আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেজরিওয়াল সরকার চেয়েছিল রাজধানীর ৩২ টি অঞ্চলে ৮৪৯টি নতুন মদের দোকান খোলা হবে। এই নতুন আবগারি নীতিতে মদের কালো বাজারি বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলেও দাবি করেছিল সরকার। নতুন আবগারি নীতিতে রাজধানীতে মদ কেনাবেচার পদ্ধতিতে অনেক রদবদল আনা হয়েছিল। যে নীতিতে বলা হয়েছিল সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে দিয়ে বেসরকারি মদের দোকানগুলিতে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গিয়েছে , আগের দিল্লিতে মোট ৮৬৪ টি মদের দোকান ছিল। তারমধ্যে ৪ টি সরকারি সংস্থা ৪৭৫ টি মদের দোকান চালাত। আর বাকি ৩৮৯ টি বেসরকারি সংস্থার মালিকদের হাতে ছিল। এই নতুন নীতি কার্যকর করার সময় আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেনিয়ম এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ঠিক এই কারণেই এই নতুন আবগারি নীতি চালু হওয়ার ৮ মাস পরেই তা তুলে নেওয়া হয়। এবং সেখানে দাবী করা হয় এই নতুন নীতিতে কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে। গত ৩১ শে জুলাই এর মধ্যে সরকার আবার পুরনো আবগারি নীতিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লির আবগারি দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে, এই দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কবিতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।