সাম্প্রতিক ইউপি বিধায়ক ‘কেনার’ মামলায়, দিল্লি পুলিশ শনিবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। কেজরীর অভিযোগ মুলত বিজেপি কে কেন্দ্র করে। তার মতে দল ছাড়ার মুল্য হিসাবে এক এক জন বিধায়ক কে ২৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির।এই পদক্ষেপটি শুক্রবারের ঘটনাগুলি অনুসরণ করে, যা পরিস্থিতির দ্রুত বিকাশের ইঙ্গিত দেয়। নোটিশটি সম্ভবত উত্তর প্রদেশের বিধায়কদের কথিত এই মামলায় কেজরিওয়ালের জড়িত থাকার অভিযোগ, সম্ভাব্য আইনি প্রভাব সহ একটি গুরুতর অভিযোগ।
বিজেপির বিরুদ্ধে আপ বিধায়কদের ‘কেনার চেষ্টা’ র যে অভিযোগ তুলেছিলেন কেজরী এবং তাঁর সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আতিশী, সেই মামলা তদন্তে সহযোগিতা করতে তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সেই নোটিস তিনি গ্রহণ করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।এই একই মামলায় নোটিসদিতে কেজরীর বাসভবনে শুক্রবার রাতেও গিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। শুধু কেজরী নন, আপের পরিষদীয় মন্ত্রী আতিশীর বাড়িতেও নোটিস দিতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু আপের দুই নেতাই সেই নোটিস গ্রহণ করেননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই নোটিসনিতে অস্বীকার করায় দিল্লি পুলিশ শুক্রবারই জানিয়েছিল যে, শনিবার আবার কেজরীকে এই নোটিস দিতে যাবে তারা। এই ধরনের নোটিশগুলি সাধারণত আইনি বিষয়ে জড়িত ব্যক্তিদের জারি করা হয়, তাদের একটি চলমান তদন্ত বা আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের জড়িত থাকার তথ্য প্রদান করে। নোটিশের সময়, কথিত ঘটনাগুলির পর সকালে অবিলম্বে বিতরণ করা, বিষয়টির জরুরীতা এবং গুরুতরতাকে বোঝায়।
কেজরীওয়ালের অভিযোগ ছিল, আপের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার একটা চক্রান্ত করছে বিজেপি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “আমাদের সাত বিধায়কের সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমাদের বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা চলছে।২১ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ওরা এটা দাবি করলেও, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সাত জন বিধায়কের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকলেই তা অস্বীকার করেছেন।” সাংবাদিক বৈঠকে আতিশী দাবি করেন, দিল্লিতে ‘অপারেশন লোটাস ২.০’ – চেষ্টা করছে বিজেপি। গত বারের মতো এ বারও আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কেজরী এবং আতিশীর এই অভিযোগের পরই তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি অভিযোগ করে বিজেপি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির সত্যতা কতটা তার তদন্ত চেয়ে পাল্টা অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগ নিয়েই এখন যুযুধান দু’পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে কেজরীওয়ালকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য নোটিস দিতে তাঁর বাসভবনে শুক্রবার হাজির হয় দিল্লি পুলিশ। সেই নোটিস তাঁর তরফে গৃহীত না হওয়ায়, শনিবার আবার আপ প্রধানের বাসভবনে যায় পুলিশ।আগামী দিনগুলি অভিযোগের সুনির্দিষ্ট বিষয়ে এবং কেজরিওয়াল এবং তার আইনি দলের প্রতিক্রিয়ার উপর আরও আলোকপাত করতে পারে।