মহানগর ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগেই ডিজিপি পদ থেকে সড়িয়ে দেওয়া হল রাজীব কুমারকে। আর ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমারকে সরানোর নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গেই নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো কাজেও তাঁকে যুক্ত না থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজীব কুমারকে ডিজিপি পদ থেকে সড়ানোর পিছনে বিজেপির মদত আছে বলেই আসরে নেমেছে তৃণমূল।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “বিজেপি বিভিন্ন সংস্থার দখল নিয়েছে। বিজেপি চাইছে এই সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠানও দখল করতে। কমিশনের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিজেপির ওই ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে।” অপরদিকে নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশক নিঃসন্দেহে সদর্থক দাবি করেছেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের বিকাশ ভট্টাচার্যরা।সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এটা খুব স্বাভাবিক ছিল। সারদা মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তবে এবার যিনি দায়িত্বে আসবেন, তিনি কতটা নিরপেক্ষ কাজ করবেন সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। তবু একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ বলাই যায়।”
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন ,“বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত বিষয়ে যুক্ত উনি। এর আগে প্রশাসনিক অনেক কাজকে তিনি বিঘ্নিত করেছেন। তদন্তে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। তিনি মোটেই নির্ভরযোগ্য নন। এরপরও কয়েকজন সিনিয়র অফিসার, ওসিকে সরানো দরকার। গত বিধানসভা ভোটের পর অশান্তিতে তাঁদের ভূমিকা ঠিক ছিল না।”