DGP
৩ মার্চ ফুল বেঞ্চ আসার আগে শনিবার ডিএম,এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন আরিজ আফতাব
মহানগর ডেস্ক : আগামী ৩ মার্চ রাজ্যে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগে রাজ্যের সমস্ত জেলার ডিএম, এসপিদের সঙ্গে কলকাতায় বৈঠকে বসেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত জেলার সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতেই আরিজ আফতাব এই বৈঠক করছেন।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার আগে রাজ্যের সবকটি জেলার ডিএম, এসপিদের নিয়ে বৈঠক করে হোমওয়ার্ক সেরে নিচ্ছেন আরিজ আফতাব। ৩ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে এলে রাজ্যের সার্বিক চিত্রটি যাতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া যায় তাই আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক। লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগে শনিবারের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে কথা ছিল আগামী ৪ মার্চ রাজ্যে আসবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তবে শুক্রবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসছে। শুক্রবার কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে থাকছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। দেশের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক রাজীব কুমারের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে থাকছেন এবং রাজ্যে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।
আগামী ৩ মার্চ রাজীব কুমারের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে পৌঁছেই প্রথমে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব এবং নোডাল অফিসারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। ৪ মার্চ সকাল থেকে দফায় দফায় চলবে বৈঠক। ৪ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জাতীয় এবং আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ১৫ মিনিট করে সময় দেওয়া হবে। ৪ মার্চ দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সাড়ে ১১টার ওর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সমস্ত নির্বাচনী আধিকারিক, এসপি, সিপি, ডিভিশনাল কমিশনার, আইজিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির সঙ্গে বৈঠক করবেন নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ৫ মার্চ বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সাংবাদিক বৈঠক করবেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে রাজ্য ছেড়ে দিল্লি রওনা হবেন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সদস্যরা।
স্বাধিকার রক্ষা কমিটির নির্দেশে শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশ, হাজিরায় যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব, ডিজিপি সহ ৫ প্রশাসনিক প্রধান
মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিজেপি সাংসদ ও বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলার অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক-সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির এই ডাকে সোমবার স্থগিতাদেশ দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবারই সংসদীয় কমিটির তলবের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভাগবতীপ্রসাদ গোপালিকা।সোমবার বিষয়টিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও একই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতির। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে ভারতের শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের তরফে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এই নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধিকার রক্ষা কমিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব ছাড়াও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বসিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করেছিল, নির্দেশ ছিল সোমবারই সকাল ১০টায় এদের হাজিরার। তবে তার আগেই সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব। তারপরই শীর্ষ আদালত এই স্থগিতাদেশ জারি করে।
প্রসঙ্গত যেদিন লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি রাজ্যের পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করেছিল সেদিন থেকেই জল্পনা চলছিল, এই পাঁচ প্রশাসনিক কর্তা সংসদীয় স্বাধিকার রক্ষা কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাবেন কী? গত শনিবার রাজীব কুমারের কাছে সংসদীয় কমিটির তলব নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। রবিবার রাত পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে সরকারি ভাবেও এই প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়নি। সোমবার মুখ্যসচিব শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরেই নবান্ন সূত্রে কানা যায় রাজীব কুমার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির ডাকে সাড়া দেবেন না। সে কথা তিনি চিঠি দিয়ে লোকসভার সচিবালয়কে জানিয়েও দেন।