স্পোর্টস ডেস্ক: কলিঙ্গ সুপার কাপের ডার্বিতে (East Bengal vs Mohun Bagan) ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। গত তিন চার বছর ধরে খাতায় কলমে পিছিয়ে থাকলেও, এইবার এগিয়ে ছিল কুয়াদ্রাত বাহিনী। আর সেই মতোই সুপার কাপের ডার্বিতে ৩-১ গোলে জয়লাভ করল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান দলে খেলেনি সিনিয়র জাতীয় দলের ফুটবলাররা, সেই কারণেই যেন আরও একটু বেশিই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার গ্রুপ এ-র শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল।
কলিঙ্গ সুপার কাপের সেমিফাইনালের টিকিট পেতে হলে জয় দরকার ছিল মোহনবাগানের। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের ড্র করলেও চলত। বছরের প্রথম ডার্বিকে ঘিরে কলকাতা থেকে একাধিক আবেগপ্রবণ সমর্থক ভিড় করেছিল কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। এই ডার্বির লড়াইয়ে জিতল যেন ফুটবল। ম্যাচের শুরু থেকেই লড়াকু মেজাজে বাংলার দুই প্রধান। দুই মিনিটে বাগানের আর্মান্দো সাদিকুর শটে গোল এলেও, তা অফসাইড ঘোষণা সহকারী রেফারির। প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক খেলছিল মোহনবাগান। ম্যাচের ১৯ মিনিটে সেটপিস থেকে হেক্টর ইউস্তের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
ডার্বির (East Bengal vs Mohun Bagan) আগের দিন অনুশীলনে এই সেটপিসেই জোর দিচ্ছিলেন মোহনবাগানের নবনিযুক্ত কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস। পিছিয়ে পড়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ২৪ মিনিটে অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভার শটে সমতায় ফিরল ইস্টবেঙ্গল। ২৯ মিনিটে নন্দকুমারকে ফাউল করা হলেও পেনাল্টির আবেদন নাকচ করেন রেফারি। এরপর থেকেই রেফারিং নিয়ে ডাগআউট থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গল কোচকে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে কিয়ান নাসিরির শট হিজাজির হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। দিমিত্রি পেত্রাতোসের শট প্রথমে গোল হলেও, তা বাতিল করে রেফারি পুনরায় শট নিতে বলে। দ্বিতীয়বার দিমির শট পোস্টে লাগে।
৬৩ মিনিটে মোহনবাগানের রবি রানার সঙ্গে বল দখলে বোরহা, তাঁর শট পোস্টে লাগে। সেই ফিরতি বল থেকে গোল নন্দকুমার। ডুরান্ডের গ্রুপ লিগের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের তিনিই ছিলেন নায়ক। ৮০ মিনিটে ফের বল পেয়েই গোলে করেন ক্লেইটন সিলভা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। ম্যাচের শেষ মূহুর্তে অজয় ছেত্রী ও পিভি বিষ্ণুর জোড়া আক্রমণ, আর্শ আনোয়ারের সেভে বাঁচল মোহমবাগান। এই জয়ের ফলে কলিঙ্গ সুপার কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ জামসেদপুর এফসি। অন্যদিকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হল মোহনবাগানকে।