বিক্রম ব্যানার্জী: চলতি আইএসএল মরশুমে একের পর এক ম্যাচ হেরে পরাজয়ের অপবাদ ঘোচাতে শনিবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লাল হলুদের মাঠ ছিল যুবভারতী। তবে খেলোয়াড়দের খাপছাড়া মনোভাব ও মাঝ মাঠে আলগা হয়ে যাওয়া দুর্বল রক্ষণভাগের কারণে সবুজ মেরুনের কাছে 2 গোল খেয়ে শূন্যতেই ফিরতে হল বাংলার ঐতিহ্যবাহী দল ইস্টবেঙ্গলকে। এদিকে টানা 9 ডার্বির মধ্যে 8 টিতেই জয়ী মোহনবাগান। কাজেই সেই স্মৃতি যেন লাল হলুদকে হারানোর পর আরও বেশি করে উসকে দিচ্ছিল গঙ্গা পাড়ের দল।
শনিবার 2-0 তেই ডার্বি ফেরত ইস্টবেঙ্গল
গতকাল রাতে ইস্টবেঙ্গলকে জোড়া গোলের মারা পরিয়ে মাঠ ছেড়েছে মোলিনার ছেলেরা। আর তাতেই আনন্দের জোয়ার সমর্থক মহলে। যদিও ম্যাচের শুরুটা যে ফর্ম নিয়ে করেছিল মোহনবাগান তাতে যে খুব একটা জায়গা করতে পারবে না একথা বুঝে গিয়েছিলেন লাল হলুদের ছেলেরা। বল পায়ে একপ্রকার মাঠ দখল করে রেখেছিল সবুজ মেরুন। তবে আক্রমণের বিরুদ্ধে যে পাল্টা আক্রমণ করতে হয় একথা শনিবার প্রায় ভুলেই গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দলের খেলোয়াড়দের ছন্নছাড়া ফুটবল দেখে বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচ গড়াবে মোহনবাগানের দিকেই। আর তাই হল।
ইস্টবেঙ্গলের দুই সাইডব্যাক এক প্রকার উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের সামনে। যদিও রক্ষণ ক্ষেত্র সামলে গোলের সুযোগ তৈরি করতে বারবার লাল হলুদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বাগান প্লেয়ার মনবীর সিংহরা। এদিকে ইস্টবেঙ্গলের সদ্যনিযুক্ত কোচ অস্কার ব্রুজ়ো চাইছিলেন নিজেদের পায়ে বল রেখে বিপরীত পক্ষকে চাপে রাখুক লাল হলুদ। কিন্তু সেই আশায় প্রতিবার জল খেয়েছে বাগান। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাস খেলতেই এক প্রকার গলদঘর্ম অবস্থা হয় তাদের। আর সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করেছেন জিমি ম্যাকলেরন।
বেশ কয়েকবার ডান দিক থেকে আক্রমণ শানানো মোহনবাগানকে গোল খাওয়াতে মরিয়া হয়ে ওঠা ম্যাকলেরন নিজের কাঙ্খিত সাফল্য আদায় করেন 41 মিনিটে। এরপর আক্রমণ প্রতি আক্রমণের মধ্যে দিয়ে ম্যাচ গড়াচ্ছিল। লাল হলুদের দিকেই। 89 মিনিটের মাথায় সেই সম্ভাবনায় নতুন পালক যোগ করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। পেনাল্টি পেতেই তা গোলে পরিণত করেন খেলোয়াড়। সেই সাথে, অতিরিক্ত সময়ের লড়াই শেষে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গল বাহিনীকে। একই সঙ্গে চেনা ডার্বিতে লাল হলুদের অচেনা ছন্দ হয়ে ওঠে লাখ লাখ সমর্থকের হতাশার কারণ।
আরও পড়ুন: নবরাত্রির অনুষ্ঠান চলাকালীন উদোম মারামারি এক দল যুবকের, ভাইরাল ভিডিও