ED
মহানগর ডেস্ক : আবেদন প্রত্যাহার ইডির। সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।গোপনীয়তা রক্ষা সংক্রান্ত মামলায় আজ বৃহস্পতিবার স্বস্তি পেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট রুজিরা ও তাঁর পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। সেই আবেদন এদিন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ১৭ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, তদন্তে ‘সার্চ অ্যান্ড সিজার’-এর সময় অর্থাৎ তল্লাশি চালানোর সময় কোনও লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে না।ইডি তার অভিযানের আগে সংবাদমাধ্যমকে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারবে না। বিচারপতর সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করেছল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যদিও ইডির সেই আবেদন শুনতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। আবেদন খারিজ করার আগে প্রত্যাহার করার পরামর্শ দেন বিচারপতি ঋষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চ। এরপরই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
গোপনীয়তার অধিকার খর্বের অভিযোগ করেছিলেন অভিষেক পত্নী রুজিরা। সেক্ষেত্রে আদালতের কাছে রক্ষাকবচের আবেদন জানান।সেই আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ ইডি ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। নির্দেশ ছিল, সংবাদমাধ্যমে কোনও খবর প্রকাশ করলে সেখানে অভিযুক্তের ছবি ব্যবহার করা যাবে না। চার্জশিটের আগে কোনওরকম ছবি ছাপা যাবে না।
মহানগর ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় তিহারে আজও বন্দী ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল। মামলার তদন্ত চলছে। এবার ইডির নজরে কেষ্টর মা কালীর গয়না। প্রতিবছর বীরভূমে তৃণমূল পার্টি অফিসে মহা সাড়ম্বরে কালীপুজোর আয়োজন করা হয় যার প্রধান উদ্যোক্তা অনুব্রত। প্রতিমা সজ্জা নজর কাড়ার মতোই। গা ভর্তি থাকতো গয়না, সেই গয়না নিজের হাতে পরিয়ে দিতেন মাকে। সেই গয়না যে ব্যাঙ্কের লকারে রয়েছে সেই ব্যাঙ্কে বুধবার হানা দিল ইডি।
জানা যাচ্ছে,বোলপুরে প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে নির্মিত হয়েছিল তৃণমূলের জেলা কার্যালয়টি। অর্থের উৎস জানতে, সেই সঙ্গে প্রায় ৮০০ ভরি গয়নার হিসাব নিতেই বোলপুর ইউনিয়ন ব্যাঙ্কে অভিযান চালান ইডির আধিকারিকরা। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি যে ওয়ার্ডে অর্থাৎ নিচুপট্টি এলাকার কালিকাপুর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবনাথ রায়কে নিয়ে ব্যাঙ্কে হানা দেয় ইডি।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। মাঝে কেটে গিয়েছে গোটা একটা বছর।গ্রেফতারির পর দীর্ঘ সময় অনুব্রত মণ্ডলকে রাখা হয়েছিল আসানসোল সংশোধনাগারে। এরপর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি এবং তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তাঁর ঠিকানা তিহাড়।
মহানগর ডেস্ক : তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। তারপর আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে। কোন দলে আছেন নিজেও সুস্পষ্টভাবে উত্তর দিতে পারেন না। দীর্ঘদিন ধরে বাবা অসুস্থ বলে দাবি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফাঁপড়ে তৃণমূলের চাণক্য? অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড মামলায় মামলায় আগই ই মুকুল রায়কে নোটিশ দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে দিল্লিকে তলব করা হয়। যদিও মুকুলের শারীরিক পরিস্থিতির কথা বলে, তাঁর পক্ষে যে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়, এমনটাই জানিয়েছিল পরিবার। এবার মুকুল রায়কে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় আড়াই – তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, সোমবার অ্যাককেমিস্ট চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে মুকুল রায়ের বাড়িতে পৌঁছোন ইডির আধিকারিরা। তাঁর কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে গিয়ে বয়ান রেকর্ড করেন ইডির দিল্লির আধিকারিকরা। তবে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুখে ভুগছেন। তাঁর পরিবারের দাবি, বেশির ভাগ কথাই স্মরণে থাকে না তাঁর। উপরন্তু কথা-বার্তায় অসংলগ্নতাও রয়েছে। তাই বেশিরভাগ প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেনি মুকুল রায়, এমনটাই জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে। প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটির দুর্নীতি মামলায় আগেই অ্যালকেমিস্ট কর্তা কে ডি সিংহকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই মামলার তদন্তে মেলা তথ্যের ভিত্তিতেই তলব করা হয় মুকুল রায়কে। তবে মুকুল- পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানান, ‘বাবার শরীর খারাপ, হাঁটাচলা করতে পারেন না, কিছু মনেও রাখতে পারেন না, ইডি বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে করতে পারে, সহযোগিতা করব’। তারপরই সম্ভবত তাঁর কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে এসে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থা ।
উল্লখ্য, অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই বিগত কয়েক বছরে একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করা হয়েছে। আর তাতে বারবার উঠে এসেছে মুকুল রায়ের নাম। সেই সঙ্গে মুকুল রায়ের পরামর্শে অ্যালকেমিস্ট অনেককে টাকা দেয় বলে অভিযোগ। সেই তদন্তের স্বার্থেই মুকুলের বয়ান গুরুন্তপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি। যেহেতু মুকুল রায় অসুস্থ,স্মরণে থাকে না কিছুই, পরিবারের দাবি অনুযায়ী, সেক্ষেত্রে বয়ান কতটা কার্যকরী হবে সেটাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
মহানগর ডেস্ক : আর্থিক তছরূপের অভিযোগে এবার ইডির সপ্তম সমন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কেজরিরে ষষ্ঠতম সমন জারি করেছিল ইডি এই আর্থিক দুর্নীতি মামলায়। দিল্লি আবগারী নীতি ২০২১-২২ মামলায় আপ সুপ্রিমোকে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।
২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সমন এড়ানোর পর কেজরির জন্য নতুন সমন জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু পর পর পাঁচটি সমন এড়িয়ে যান কেজরি। গোটা ঘটনাকে অবৈধ ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এখন দেখার সপ্তম সমনে কেজরি ইডির দফথরে হাজিরা দেন কিনা।
মহানগর ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের সকাল থেকেই অতি তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। তবে, এবার দুর্নীতি মামলায় নয়, প্রতারণা মামলা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ইডির আধিকারিকরা। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা মামলার তদন্তে বেনিয়াপুকুরে হানা দিয়েছে ইডি। মূল অভিযুক্ত কুণাল গুপ্ত গ্রেফতার হয়েছে ইতিমধ্যেই। মূল অভিযুক্ত সহ তার ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় চলছে চিরুণি তল্লাশি।
কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৫-এ ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি হাতিয়েছে।সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীন কয়েকজন সহযোগীকে ফোন করে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
প্রসঙ্গত, শহরের বুকে যেন প্রতারণার ঘটনা দিন দিন কমার বদলে বেড়েই চলেছে। এর আগেও ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল শহরের নানা প্রান্ত থেকে। বেনিয়া পুকুরে সকাল থেকেই রয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। নতুন কোন তথ্য উঠে আসে এই মামলায় সেটাই এখন দেখার।
মহানগর ডেস্ক: হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে অব্যহতি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব হারানোর পরেই এবার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়েছেন বালু। সূত্রের খবর বালু বিশেষ ইডি আদালতে এই আবেদন করেছেন।
এই প্রথম জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জামিনের আবেদন করেছেন। তাঁর আইনজীবী আগে জানিয়েছিলেন বালুর শরীর অসুস্থ তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে সেই সময়ে জামিনের আবেদন করা হয়নি। মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার পরেই জামিনের আবেদন করলেন বালু। জানিয়ে রাখা ভাল, শুক্রবার রাজ্যপাল রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সংবিধানের ১৬৬ (৩) অনুচ্ছেদ মেনে অব্যাহতি দিয়েছেন। এও জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শের ভিত্তিতেই পার্থ ভৌমিক ও বীরবাহা হাঁসদাকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতরগুলি রাজ্যপাল পুনঃবন্টন করেছেন। জ্যোতিপ্রিয়কে অব্যহতি দেওয়ার পর রাজ্যপাল পার্থ ভৌমিককে সেচ ও জলপথ দফতর, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতর দিয়েছেন এবং প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বন দফতর (স্বাধীন দায়িত্ব), স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী এবং স্ব-কর্মসংস্থান বিভাগ (স্বাধীন দায়িত্ব)-এর দায়িত্ব দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গত ২৭ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু-কে ইডি গ্রেফতার করে। সেই ঘটনার তিন মাস পর তাকে অব্যহতি দেওয়া হল। রেশন দুর্নীতি মামলায় জল গড়িয়েছে বহুদূর। কেন তাকে বরখাস্ত করা হয়নি এই প্রশ্নও তুলেছে বিরোধীরা। রাজ্যপালের এই সিদ্ধন্তের পর কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর ব্যাপারে আমরা আগেই দাবি তুলেছিলাম। আজ তাঁকে সরানো হয়েছে। কাল বক্তৃত্বা শুনব, এটা বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি রাজনীতিতে না পেরে ইডি, সিবিআই-কে ব্যবহার করছে। কাকে সরালেন আর কাকে সরালেন না, তা নিয়ে বাংলার মানুষ ভাবে না। বাংলার মানুষ জেনে গিয়েছে, যিনি জ্যোতিপ্রিয়, তিনিই শাহজাহান।”
ইডিকে দেখেই মোবাইল ছুঁড়ে ফেললেন হানিস, জীবনকৃষ্ণর পথে বাকিবুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী
মহানগর ডেস্ক: মঙ্গলবার সকাল থেকে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সল্টলেক, বাগুইআটি, কৈখালি, নিউ আলিপুর সহ কলকাতা ৬ জায়গায় দলে দলে ভাগ হয়ে ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরাই এই মুহূর্তে ইডির স্ক্যানারে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের জট খুলতে ইডির এই অভিযান বলে জানা যাচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে দেখেই অপ্রত্যাশিত কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন কৈখালির এক ব্যবসায়ী হানিস। নিজের মোবাইল দুটি তিনি ছুঁড়ে মারলেন পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে। এর আগে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও তথ্য লুকোতে একই কাণ্ড করেছিলেন। পরে তিনি গ্রেপ্তার হন সিবিআইয়ের হাতে। হানিসের ক্ষেত্রেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইডির সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর মোবাইল দুটি পাশের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার কৈখালির এক অভিজাত আবাসনে তল্লাশি অভিযানে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটটি বাকিবুরের নামে রয়েছে। তবে এই ফ্ল্যাটে বাকিবুর নয় থাকেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। তাঁর ফ্ল্যাটেই এদিন যায় ইডি। তদন্তকারীদের দেখেই নিজের দুটি মোবাইল ছুঁড়ে দেন হানিস। পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে মোবাইল দুটি পড়ে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোবাইল উদ্ধার করেছে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে অভিযান। হানিস ফ্ল্যাটেই আছেন। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
গত বছর একই ঘটনা ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় তদন্তকারীদের হাত থেকে তথ্য গোপন করতে জীবনকৃষ্ণ শৌচালয়ে ঢুকে পাশের পুকুরে নিজের মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন। পরে পুকুর ছেঁচে বিশেষজ্ঞরা সেই মোবাইল উদ্ধার করেন। একই কাণ্ড ঘটালেন এবার বাকিবুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। ইডির অনুমান সন্দেহজনক তথ্য লুকোতেই মোবাই ছুঁড়ে ফেলেন হানিস।
রাজ্য পুলিশে আপত্তি ইডির, সন্দেশখালি কাণ্ডে SIT-এর তদন্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট
মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের তদন্তের উপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালতে ইডি জানায়, “CBI এবং রাজ্য পুলিশকে দিয়ে গঠন করে দেওয়া হয় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এর আমরা বিরোধিতা করছি। ইডির যুক্তি, রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী অভিযুক্ত। জেলে আছেন। রাজ্য পুলিশ এই তদন্তের ক্ষেত্রে একেবারেই যোগ্য সংস্থা নয়।” নথি বিকৃত করা হতে পারে, তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলে অনুমান ইডির।
রাজ্য পুলিশের তদন্তে প্রধান বিচারপতির একটি ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করা নিরপেক্ষতা বা সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগের ইঙ্গিত দিয়েছে বলেই অনেকে মনে করছেন। প্রভাবশালী মন্ত্রীদের সম্পৃক্ততা এবং আসামিদের আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ মামলাকে ঘিরে সন্দেহ আরও গভীর করে। ইডির আরও দাবি, রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, ED-র আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় CBI এবং রাজ্য পুলিশকে দিয়ে SIT গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ও ইডি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৬ মার্চ। প্রায় ৩৩ দিন হয়ে গেলেও রাজ্য পুলিশ এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারেনি, রাজ্য পুলিশের তদন্তে ‘ত্রুটি’ রয়েছে বলে মনে করছে ইডি। সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের সমন্বয়ে একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠনের লক্ষ্য এই উদ্বেগগুলি সমাধান করা, কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর বিরোধিতা সংস্থাগুলির মধ্যে আস্থার অভাবকে নির্দেশ করে৷ ডকুমেন্ট টেম্পারিং এবং প্রমাণ ধ্বংসের বিষয়ে ED-এর আশঙ্কা অভিযোগগুলির গুরুতরতা এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্তের প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরদার করে৷
এসআইটি গঠনের আদেশ দেওয়ার জন্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিদ্ধান্ত একটি ন্যায্য এবং কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে, তবে রাজ্য এবং ইডি উভয়েরই চ্যালেঞ্জগুলি এখতিয়ার এবং পদ্ধতি নিয়ে চলমান বিরোধ নির্দেশ করে। শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তারে বিলম্ব বিষয়টিকে জরুরী যোগ করে এবং রাজ্য পুলিশের প্রচেষ্টায় অনুভূত ঘাটতিগুলিকে জোর করে।সামগ্রিকভাবে, পরিস্থিতি রাজনৈতিক, আইনি এবং অনুসন্ধানী জটিলতায় পরিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে, ৬ই মার্চের শুনানি সামনের পথ এবং এই বিতর্কিত বিষয়গুলির সমাধানের বিষয়ে আরও স্পষ্টতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।
মহানগর ডেস্ক: রাজ্যে এই প্রথম ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED) । মঙ্গলবার সকালেই একসঙ্গে রাজ্যের চার জেলায় হানা দিয়েছে ইডির তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের এক সরকারি আধিকারিকের কোয়ার্টারে, হুগলির চুঁচুড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি সল্টলেকের একটি আবাসনেও তল্লাশি চলাচ্ছে ইডির তদন্তকারীরা। এই সরকারি আধিকারিকের নাম শ্যামল পান।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেই ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির বিষয়ে হুগলির ধনেখালি এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় এইআইআর দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রসঙ্গত, এই প্রথম রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝাড়গ্রামের একটি সরকারি আবাসনেও হানা দিয়েছে ইডি। পরে জানা যায়, জেলার সংখ্যালঘু দফতরের এক প্রশাসনিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ ইডির ছ’জন আধিকারিকের একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হানা দেন ওই আধিকারিকের সরকারি আবাসনে পৌঁছয়। ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকায় রয়েছে ওই আবাসনটি রয়েছে। ওই আবাসন ঘিরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে পৌঁছয়। তবে পুলিশ আধিকারিকদের আবাসনের ভিতর ঢুকতে দেয়নি ইডি। ইডি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে ‘দুর্নীতি’র বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা। জানা গিয়েছে নকল নথি বানিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। দুর্নীতি টকার অঙ্কে কয়েকশো কোটি টাকার।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল নেতাদের কাছে ফেক জবকার্ড থাকছে, আছে। তারা সেই কার্ড থেকে টাকা তুলে সেই টাকা চুরি করেছে। তবে ১০০ দিনের কাজের এই দুর্নীতি নিয়ে আমরা শুরু থেকে বলছি। তৃণমূল ১০০ দিনের কাজের বিরোধীতা করেছিল এক সময়। এখন সেই ১০০ দিনের টাকা চুরি করে নিজেদের তহবিল ভরছে।” এদিকে এই ঘটনাকে বিজেপির চক্রান্ত বলে এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “গতকাল শুভেন্দু অধিকারী তাঁর রাজনৈতিক পিতা অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে বলেন, দেখুন কি অ্যাকশন হয়। তারপরই মঙ্গলবার সকালে বিনা নোটিশে ইডি ঝাঁপিয়ে পড়ল। সবটাই হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর অঙ্গুলি হেলনে।” এদিকে বিজেপি নেতা সজাল ঘোষ বলেন, “আরও আগে হলে আরও ভালো হত। তবে দেখুন কি হয়, আরও অনেক রাঘব বোয়াল জালে উঠবে।”