মহানগর ডেস্ক : চাপ বাড়ছে বিজেপির। জেলায় জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিক্ষুব্ধ নেতারা নানা জায়গায় গোঁজ প্রার্থী থেকে শুরু করে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনে। এদিকে দলের ক্ষতি হচ্ছে জেনেও চুপ দলের নেতৃত্বরা। ভোটের ফল প্রকাশের পর এর বিহিত করা হবে বলে খবর।
ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার বিরুদ্ধে দলেরই বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা দাঁড়িয়ে পড়েছেন। বীরভূমে আবার প্রার্থী ঘোষণা করে শেষ মুহূর্তে আর একজনকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এবার এমন একই ছবি দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে। ফলে এই সব কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচনে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে দলের বিক্ষুব্ধদের হাতে তালাবন্দি হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে। তারপরও তাঁকেই প্রার্থী করে বিজেপি। নীচুতলার কর্মীদের কথা না শোনায় এবার সেখানে গোঁজ প্রার্থী দিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এর আগে বাঁকুড়া শহর সহ ছাতনা এবং শালতোড়া এলাকায় সুভাষ সরকারের ছবিতে কালি মাখিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। আর তা করেছিল বিজেপির বিক্ষুব্ধ অংশ। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার প্রাক্কালে শীর্ষ নেতাদের জানানো হয়েছিল, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করা হোক। না হলে জেতা সম্ভব নয় বলে সূত্রের খবর। কিন্তু বিজেপি সেই কথায় কর্ণপাত না করে সেই সুভাষ সরকারকেই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে। তাতেই ক্ষেপে ওঠে দলের ওই বিক্ষুব্ধ অংশ। এবার সুভাষ সরকারের বিপরীতে দাঁড় করানো হল নির্দল গোঁজ প্রার্থীকে।বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী। জীবনবাবুর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। সুভাষের বিরুদ্ধে তিনি প্রার্থী হওয়ায় ভোট কাটবে বিজেপির।