মহানগর ডেস্ক: ফের কৃষক আন্দোলনের ঢেউ রাজধানীতে। আজ দিল্লি চলোর ডাক একাধিক কৃষক সংগঠনের। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, কৃষিঋণ মকুব, কৃষক-শ্রমিকদের পেনশন-সহ বিভিন্ন দাবিতে। মঙ্গলবার তাদের ‘দিল্লি চলো’ প্রতিবাদ মিছিল শুরু করার পরে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে শম্ভুর কাছে যাওয়ার সময় পুলিশ বিক্ষোভকারী কৃষকদের উপর টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
সোমবার গভীর রাতে কৃষক নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষ হওয়ার পরে ২০০ টিরও বেশি কৃষক ইউনিয়ন একসঙ্গে পদযাত্রা শুরু করে। কৃষক বিক্ষোভে অশান্তির আশঙ্কায় একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। দিল্লি সীমানায় রয়েছে কড়া পাহাড়া। দিল্লিতে আন্দোলনের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আগেই সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যা চলবে ১২ ই মার্চ পর্যন্ত। দিল্লি পুলিস কমিশনার সঞ্জয় আরোরার বক্তব্য, “একমাস ব্যাপী রাজধানীতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। যে কোনও বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করা যাবে না। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করলেই গ্রেফতার”।
এদিন সিরসার চৌধুরী দলবীর সিং স্টেডিয়াম ও ডাবওয়ালির গুরু গোবিন্দ সিং স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার কৃষকদেরর দিল্লি চলো মিছিলের কারণে সমস্ত সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদী কৃষকদের বুঝিয়ে আন্দোলনের পথ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র। সোমবার মধ্যরাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এরপরই মঙ্গলবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে ২০০টির বেশি কৃষক সংগঠন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়। কমপক্ষে ২০ হাজার কৃষক এই অভিযানে সামিল হয়েছে।কৃষকদের দু’টি বড় সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা গত ডিসেম্বরেই দাবি আদায়ে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয়।