মহানগর ডেস্কঃ কৃষক আন্দোলন নিয়ে বর্তমানে উতপ্ত দিল্লি সীমান্ত। এরমধ্যেই ফের অশান্তি শুরু হয়েছে সেখানে। এদিন সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে পুলিশ৷ যদিও পঞ্চম বারের মতো কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিমন্ত্রীর তরফ থেকে কৃষকদের আলোচনায় ডাকা হয়েছে৷ এ বিষয়ে অর্জুন মুন্ডা বলেছেন, ‘চতূর্থবারের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় সরকার আপাতত বিদ্রোহী কৃষকদের নিয়ে পঞ্চম সভায় এমএসপি নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত৷ আমি সমস্ত কৃষক নেতাদের আলোচনায় ডাকছি ও শান্তি বজায় রাখতে আবেদন জানাচ্ছি৷’
আজ, বুধবার সকালে আন্দোলন শুরু করে কৃষকেরা, সঙ্গে ছিল বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর৷ কৃষক নেতাদের পক্ষ থেকে সরওয়ান সিং পান্ধের বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছি, কৃষকদের মধ্যে যুবক-যুবতীরা আর আগে যাবেন না৷ আমাদের নেতারা আগে যাবেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ পথে এগিয়ে যাবেন৷ এই সবই শেষ হবে যদি কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়৷’ অপরদিকে হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে আপাতত শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় আন্দোলনে যেন কোনও বড় অস্ত্র বা অন্য কোন কিছু ব্যবহার না করা হয়৷ তবে এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে কোনও খবর পৌছয়নি বলেই জানায় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। এদিন তিনি প্রাথমিক ভাবে আলোচনা ডাকার বেশ কিছুক্ষণ পর বলেন, ‘কোনও তথ্য এখনও কৃষকদের তরফ থেকে এসে পৌঁছয়নি৷ আমরা আবেদন করছি, আমাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ সরকারও এর একটি স্থায়ী সমাধান চায়৷’
এ বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ‘আমরা এখনই সরাসরি ঘোষণা করছি, কৃষকদের সমস্ত ন্যায্য দাবি এখনই মেনে নেওয়া উচিত৷ আমাদের নির্বাচনী ইস্তাহারেও এই বিষয়টি থাকবে ও আমরা এর নিশ্চয়তা দেব৷ সমস্ত শষ্যকে হয়ত এর আওতায় আনা যাবে না, কিন্তু আবশ্যিক পণ্যগুলিকে অবশ্যই আনা উচিত৷’