মহানগর ডেস্কঃ কথায় আছে বিপদ কখনো বলে আসেনা। বাবা চেয়েছিল ছেলেকে সাঁতার শেখাবে। কিন্তু সাঁতার কাটা শেখাতে গিয়ে ঘটে গেল চরম বিপত্তি। জলে ডুবে প্রাণ গেল বাবা-ছেলের। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃত দেহ উদ্ধার করেন।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে, হুগলি স্টেশনের কৃষ্ণপুর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম গোবিন্দ নাগ, বয়স ৩০ বছর। মৃত ছেলের নাম গৌরব নাগ, বয়স ৭ বছর। রবীন্দ্রনগর কালিতলায় চত্বরে, সমর হালদারের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন পরিবারের সঙ্গে। গোবিন্দ নাগ পেশায় এলাকার নামকরা একজকন রাঁধুনী ছিলেন। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ কাজ থেকে ফেরেন, তখন ঠিক করলেন ছেলেকে নিয়ে পাশের পুকুরে সাঁতার শেখাতে যাবেন। তারপর সেখানেই ঘটে গেল বিপত্তি। জলে ডুবে মারা যান বাবা- ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে খবর, ‘মৃত গোবিন্দ নাগ এলাকার নামকরা রাঁধুনী ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ ছেলে গৌরবকে পাশের পুকুরে সাঁতার শেখাতে নিয়ে যান। কিন্তু সন্ধে নেমে এলেও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেননি গোবিন্দ। তারপর বাবা ছেলেকে খুঁজতে থাকেন পরিবার এবং এলাকার লোকজন। কিন্তু কোথাও দেখতে পাওয়া যায়নি। অধু পুকুরের ধারে জুতো রাখা আছে, তা দেখতে পাওয়া যায়। তখনই মনে সন্দেহ জাগে স্থানীয়লোকজনের। তারপর দেরি না করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগে বাবা-পুত্রের খোঁজে পুকুরে তল্লাশি পর্ব চালায় মোকাবিলা বাহিনী, জোরদার তল্লাসী পর্ব চালানো হয়। শেষমেশ রাত ১১টা নাগাদ বাবা-ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় জল থেকে। তারপর পুলিশ তাঁদের দেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠান।এই ঘটনার জেরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসীরাও দুঃখিত এমন ঘটনা ঘটার জন্য।
কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃণমূল সদস্য পরিতোষ মজুমদার বলেন, “বাবা ছেলেকে নিয়ে পুকুরে নেমেছিল তখন ঘাটে কয়েকজন দেখেছে। তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজা হয়। দু’জনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।স্থানীয়দের অনুমান, শিশুটির বাবা মদ্যপান করেছিলেন।”