মহানগর ডেস্ক: রাজধানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। দিল্লির শাস্ত্রী নগরে বৃহস্পতিবার ভোররাতে একটি চারতলা আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে ৪ মহিলা ৩ পুরুষ ও দুই শিশুসহ নয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
fire
ব্যস্ত শহরের বহুতল ফ্ল্যাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, বেশ কয়েকজনের আটকে পড়ার আশঙ্কা
মহানগর ডেস্ক: লক্ষ্মীবারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডা পশ্চিমের গৌড় শহরের ১৬ অ্যাভিনিউ সোসাইটির একটি অ্যাপার্টমেন্টে একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বহু মানুষের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মহানগর ডেস্কঃ সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হওয়ার দরুন, উত্তরপ্রদেশে নয় জনের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ৫জনের মধ্যে তিন জনই শিশু।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে কারোকরি এলাকায়, রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ। বিস্ফোরণের জেরে যেই ৫জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন, হিনা ২, উমা (৪), রাইয়া (৭), মুশির (৫০), হুসন বানো (৪৫) । বাকি ৪জন এখনও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। দমকলের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে,মঙ্গলবার রাতে এলাকার একটি বাড়ি তে দুটি সিলিন্ডার পর পর ফাটে । আগুনের গতিবিধি বাড়তে থাকায় আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল কর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেছে।
স্থানীয়দের মতে, তারা আচমকাই একটি বিকট আওআজ শুনতে পেয়ে, তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে দেখেন একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। যেই বাড়িতে বিস্ফোরণের জেরে আগুন লেগেছিল, ওই পরিবারে নজন বসবাস করতেন । আগুনের দাবানল যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য নিজেদের চেষ্টায় আগুন নেভানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরা পৌঁছে যান।
স্থানীয়লোকজন এবং দমকল কর্মীদের সহায়তায় ঘটনাস্থলে আগুন নিভিয়ে ৯ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে, চিকিৎসকেরা ৯জনের মধ্যে ৫জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের ঢাকায় বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে মৃত ৪৩, আহত বহু
মহানগর ডেস্ক: ভয়াবহ, মর্মান্তিক বললেও কম বলা হবে। বাংলাদেশের ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি বহুতলে আগুন লেগেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে।
বিধ্বংসী আগুনের কবলে কলকাতার জুটমিল, প্রায় ২ কোটির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
মহানগর ডেস্ক: ফের জুট মিলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। সকাল সকাল বিধ্বংসী আগুন লাগলো কাদাপাড়া জুটমিলে। প্রচুর ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে স্বস্তির খবর এটাই যে কেউ আহত বা নিহত হননি । আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
মঙ্গলবার, সকাল পৌনে আট’টা নাগাদ জুটমিলের ৩নম্বর গুদাম ঘর থেকে আগুন ছড়ায়। বেলেঘাটা ইএম বাইপাসের ধারে কাদাপাড়া এলাকায় এই জুটমিল অবস্থিত। জুটমিলের জন্য এখানে অনেকগুলি গুদামঘর রয়েছে, এই সবকটি গুদামেই কাঁচা পাট সহ পাটের বিভিন্ন জিনিসপত্র এখানে মজুত ছিল। আগুন লাগার পর আগুনের শিখা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে জুটমিলের একাংশ আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। জানা গিয়েছে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা পাট মজুত ছিল যার জেরেই আরও দ্রুত গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে । আগুনের লাগার পর আগুনের শিখা এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিপাশে যে, আগুনের শিখা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে দমকল কর্মীদের। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে গিয়েছে । আগুন এতটাই ভয়ংকর আকার নিয়েছিল যে ওই আগুনের বেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনা স্থলে যায়। তবে, আহত বা নিহতের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা যাচ্ছে।
জুটমিলের কর্তৃপক্ষের দাবি, আগুন লাগার জেরে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জুটমিলের শ্রমিকরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলেই জানা গিয়েছে। সকালে এমন ভাবে আগুন লাগার কারণ কেউ বুঝে উঠতে পারছেননা। জুটমিলে আগুন কীভাবে লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয় কারও ছেই। মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট হয়েছিল, তার জেরে হয়ত এমন দুর্ঘটনার ঘটেছে। তবে কি কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
দাউদাউ করে জ্বলছে বস্তি, কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে ছাই বহু প্রয়োজনীয় জিনিস
আলিপুরে রঙের কারখানায় ভয়াবহ আগুন, উদ্ধার এক পুলিশকর্মী সহ ১১ জনের দগ্ধ দেহ
মহানগর ডেস্ক: মর্মান্তিক, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির আলিপুরের একটি বাজার এলাকায় আগুন লেগে প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে একজন পুলিশকর্মীর দেহ। জানা গিয়েছে এটি একটি রঙের কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। তারপরেই আগুন দুটি গোডাউন এবং একটি নেশামুক্ত কেন্দ্রকে গ্রাস করে। দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
#WATCH | Delhi: A fire broke out at the main market of Alipur. Fire tenders at the spot, efforts to douse the fire underway. pic.twitter.com/M5dvY3Q6er
— ANI (@ANI) February 15, 2024
ফের অশান্ত সন্দেশখালি-জেলিয়াখালি, গণরোষে পুড়ছে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার বাড়ি, পোল্ট্রি ফার্ম, অধরা শিবু
মহানগর ডেস্ক : শুক্রবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে ফের উত্তেজনা, জ্বলছে আগুন। সন্দেশখালি থেকে জেলিয়াখালি তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্ম, বাড়িতে আগুন। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা। শুক্রবার সকাল থেকেই গণরোষে অগ্নিগর্ভ জেলিয়াখালিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় জনতা। ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ, কাটারি হাতে বিক্ষোভে নামেন মহিলাদের।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ পয়সা না দিয়ে কাজ করানো হতো শিবু হাজরার ফার্মে। পয়সা চাইলে ভয় দেখানো হতো, মারধরও করা হতো, তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে মেরে কোমর ভেঙে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এদিন ক্ষুব্ধ জনতা আগুন লাগিয়ে দেন পোলট্রি ফার্মে। জেলিয়াখালির শিবু হাজরার তিনতলা বাগান বাড়িতে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শিবু হাজরা জোর করে তাঁদের জমি দখল করেছে, তাঁদের জমি থেকে বেদখল করেছে। সেই জমিতেই শিবু হাজরা তার সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। রোষানলে জ্বলছে স্থানীয় বাসিন্দা শিবু হাজরার বাড়ি।
সন্দেশখালির ঘটনায় শতাধিক অভিযুক্তের নামে এফআইআর দায়ের করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা বা শিবু হাজরা। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই এফআইআরের তালিকায় ১ নম্বরে নাম রয়েছে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারের। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে, আগে সন্দেশখালির ঘটনার পিছনে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে যৌথ চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। আর এবার, তৃণমূল নেতার এফআইআরের তালিকায় ১ নম্বরে নাম প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের। অথচ যারা বুধবার থেকে সন্দেশখালি জুড়ে শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তারা নিজেরাই বলছেন, “আমরা তৃণমূল করি।” তাহলে শিবু হাজরার এই অভিযোগের ভিত্তি কি? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
সন্দেশখালির গন্ডগোল কি এবার ছড়িয়ে পড়তে পারে অন্য এলাকাতেও! এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তাঁর দাবি, সন্দেশখালির মণিপুর থেকে খুলনা যাওয়ার গোপালের ফেরিঘাটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, কম চললেও চালু রয়েছে ফেরি সার্ভিস। বিধায়কের অভিযোগ নিয়ে তারপর থেকে প্রশ্ন উঠছে। আসলে গোপালের ঘাটের পরিচালনা সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরে কিছুটা প্রভাব পড়েছে ফেরি চলাচলে। এই ঘটনাকেই দুস্কৃতীদের উপর সুযোগ বুঝে চাপিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের হাত গ্রেফতার মোট ৫ জন। সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের আবহেই, বুধবার রাতে, সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার পলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে, ৩ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে, তাঁদের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে ২ তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা উত্তম সর্দারের নামে, সন্দেশখালি থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় এক মহিলা।
এই ঘটনায় সন্দেশখালি থানার ওসির অপসারণ দাবি করেছেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। বিরোধীদের প্রশ্ন কোথায় শেখ শাহজাহান, কোথায় উত্তম সর্দার, কোথায় শিবু হাজরা! এদিকে জেলিয়াখালির পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, “দলেরই একটি অংশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” এদিকে স্থানীয় বাসীন্দারা বলছেন, “শিবু হাজরা আমাদের সম্পত্তি জোর করে কেরে নিয়েছে। আমাদের জমিতে আমাদের খাটিয়ে পয়সা দেয়নি। জমিতে খাটিয়ে টাকা চাইলে কোদালের বাট দিয়ে মারা হয়েছে। আমরা সবাই তৃণমূল করি। এখানে কোনও অন্য কেউ নেই। আমাদের টাকা, জমি, ইজ্জত সব কেড়ে নিয়েছে শেখ শাজাহান, তার চ্যালা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরা। ওদের পুলিশ গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে।”
বহুতলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভয়াবহ আগুন, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত ৯ মাসের শিশু সহ ৪
মহানগর ডেস্ক: শুক্রবার দিল্লির শাহদারা এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় একটি বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ৯ মাস বয়সী একটি মেয়ে সহ ৪ জনের শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় দুজন আহত হয়েছে বলেই পুলিশ জানিয়েছে।
ফায়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শাহদারা এলাকার একটি বাড়িতে আগুন লাগার বিষয়ে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে একটি কল আসে।দিল্লি ফায়ার সার্ভিসেস ( ডিএফএস) প্রধান অতুল গর্গ বলেছেন, “পাঁচটি ফায়ার টেন্ডার ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সন্ধ্যা ৬:৫৫ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। বিল্ডিংয়ের নিচতলায় একটি বাড়িতে রাখা রাবার সামগ্রী এবং একটি রাবার কাটার মেশিনে আগুন লেগেছিল।” পুলিশ ও দমকল কর্মীরা অই বাড়ি থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুসহ আরও তিনজনকে উদ্ধার করে। যাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা অর্ধ-চেতন অবস্থায় ছিল এবং তাদের দ্রুত জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। ২৮ এবং ৪০ বছর বয়সী দুই মহিলা, ৯ মাস বয়সী একটি মেয়ে এবং একটি ১৭ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আরও ২ জনের চিকিৎসা চলছে।
মহানগর ডেস্কঃ হাসপাতালে রোগীরা আসেন চিকিৎসা করাতে। কখনও কি শুনেছেনন আসে হাসপাতালে বসে সুখটান দিচ্ছেন রোগী। সুখটান দিলেও ঠিক ছিল কিন্তু ধূমপান করতে গিয়ে পোড়ালেন মুখ। অবাক হলেও এমনটাই ঘটনা ঘটেছে। কড়া নজরদারির ভিতর রোগী থাকেন নিরাপদ ভাবে। তবে এবার এই নিরাপত্তা নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠল হাবরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর শ্বাসকষ্টজনিত কিছু সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন এক মহিলা। পরে রাতে সবার চোখ এড়িয়ে হাসপাতালের বেডে বসেই ধূমপান করেন তিনি। ধূমপান করা কালীন কোন কারণে তাঁর মুখে ধরে যায় আগুন। সেই সময়েই পাশের বেডে থাকা অনান্য রোগীদের চিৎকারে ছুটে আসেন মহিলা ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মহিলার মুখের ৭০ শতাংশ অংশই পুড়ে যায়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের কর্মীদের গাফিলতি নিয়ে। কীভাবে একজন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালের অভ্যন্তরে ধূমপান করার সুযোগ পায় এবং সেই তামাকজাত দ্রব্য কিকরেই বা সেই মহিলার কাছে আসল তা গোটাটাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ।
রোগীর পরিবার সূত্রের খবর রোগী বরাবরই তামাকজাত দ্রব্যে আসক্ত। তাই রাতে সবার অগোচরেই ওই মহিলা ধূমপান করার চেষ্টা করে। তবে এই ব্যাপারে হাসপাতাল কতৃপক্ষ মুখ না খুললেও রোগী কল্যাণ সমতির চেয়ারম্যান এর বক্তব্য রাতের দিকে এই ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালের অধিকাংশ কতৃপক্ষ ঘুমিয়ে পরার কারণে কীভাবে ওই তামাকজাত দ্রব্য রোগীর কাছে এল তা স্পষ্ট নয়, তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দ্রুত আসল দোষীর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান। এদিন ঘটনার পর রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।