মহানগর ডেস্কঃ একটা ভুলের মাসুল যে এমনও দিতে হতে পারে হয়ত এই ব্যক্তির ধারণা ছিলনা। এক ব্যক্তির দিল্লি থেকে কাজের সূত্রে, সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির বিদেশ যাওয়া হল না। ব্যক্তিকে বিমান থেকে নামিয়ে সটাং তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হল। বিমান সূত্রে খবর, বিমান যখন মাঝপথে এমন সময়ে বিমানের শৌচাগারে ব্যক্তি ধূমপান করছিলেন। সেই দোষে মুম্বই বিমানবন্দরে যখন বিমান থামে, ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রশ্ন হচ্ছে, বিমানবন্দরে এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও লাইটার ও বিড়ি নিয়ে ওই ব্যক্তি কিভাবে বিমানে চাপলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মহম্মদ আম্মুরুদ্দিন নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। পেশায় তিনি একজন শ্রমিক। দিল্লির বাসিন্দা। তিনি কাজের সূ্ত্রে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন । দিল্লি থেকে মুম্বই, তারপর মুম্বাই হয়ে রিয়াদগামী ইন্ডিগোর বিমানে চেপে পারি দেওয়ার কথা ছিল বিদেশ। সেই মতো মহম্মদ আম্মুরুদ্দিন, বিমানে বসেন। এদিকে যে ব্যক্তির কাছে লাইটার সহ বিড়ি লুকোনো আছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পেলেন না দিল্লি বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। ইন্ডিগো বিমান এর এক কর্মকর্তা জানান, ‘ যখন বিমান ওড়া চালু হয়, তার কিছুক্ষণ পরই আম্মুরুদ্দিন শৌচাগারে যান। আম্মুরুদ্দিন শৌচাগার থেকে যখন বেরোন, তারপর সেই শৌচাগারেই এক বিমানকর্মী সেখানে ঢোকেন, কিন্তু ঢুকে ওই কর্মী ধোঁয়া দেখতে পায়, সাথে বিড়ির গন্ধ । তখনই ঐ ব্যক্তির ওপর বিমান কর্মীর সন্দেহ জাগে, তারপর তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন পদে নিযুক্ত কর্তাকে বিষয়টি বলেন। তারপর ওই অভিযুক্ত যাত্রীকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করে বিড়ি খাওয়ার কথা জানতে পারেন। তাকে আটক করে রাখা হয়, তারপর মুম্বই বিমানবন্দরে বিমান নামতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’
বিমানবন্দরের এক কর্তৃপক্ষ জানান, ওই অভিযুক্ত যাত্রীকে জিজ্ঞাসা বাদ করে পুলিশ জানতে পারেন ওই ব্যক্তির পকেটে বিড়ি ও লাইটার ছিল। তারপর ওই ব্যক্তি তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে বিড়ির প্যাকেট ও লাইটার বার করে পুলিশকে দেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে শুধু মাত্র একটি ভুলের দোষে। ব্যক্তির বিদেশ যাওয়া আর হলোনা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতো নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও এতো জনের চোখ এড়িয়ে ওই ব্যক্তি কী ভাবে বিড়ির প্যাকেট ও লাইটার নিয়ে বিমানে চেপে বসলেন পারি দেওয়ার জন্য তা ভাববার বিষয়।