মহানগর ডেস্ক: সাপ বিষয়টি আমাদের কাছে বেশ ভয়ানক কিন্তু আকর্ষণের। অ্যানিমাল প্ল্যানেট কিংবা ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জুড়ে এরম অজস্র রকমারী সাপ দেখেছি। তেমনই একটি সবুজ সাপ। যারা গাছের পাতার মতো দেখতে। গোটা গা এদের সবুজ থাকায় সহজে বোঝা যায়না। অনেকে আবার বলেন, এই ধরনের সাপ উড়তেও পারে। আজকাল সুবজ এই সাপগুলির অনেক ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। খালি চোখে এদের দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ এরা গাছের সবুজ পাতায় বা মাটিতে ঘাসের সঙ্গে মিশে হারিয়ে যায়। আবার এগুলি এক গাছ থেকে আর একটিতে এমন ভাবে লাফ দেয় যে তখন তাদের শরীরের ৮০-৯০ শতাংশ বাতাসেই থাকে। দেখে মনে হয় তারা উড়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই এদের ‘উড়ন্ত সাপ’ও বলা হয়।
কিন্তু সত্যিই এরা উড়তে পারে না। গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ দেওয়া কালীন শরীরকে মোচড় দিলেই বাতাসে লাফ দিতে সক্ষম হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সবুজ রঙের সাপগুলো কম বিষাক্ত। সাধারণত এদের খাবার মাছ, ব্যাঙ, পাখি ও বাদুড় খায়। ভারত, চিন, শ্রীলঙ্কা সহ আশপাশের দেশের গাছের একেবালে মকডালে বসে থাকে। কারণ এরা কাণ্ড বা পুরু ডালে বাস করতে পছন্দ করে না। এরা সহজেই নিজেদের শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম।
ফলে লাফিয়ে একেবারে গাছের চূড়ায় পৌঁছায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাফানোর পর এরা এদের মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত শরীরকে চ্যাপ্টা করে নেয়, তখন এদের বেশ চওড়া লাগে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে সাপ কীভাবে লাফ দিয়ে গাছ পরিবর্তন করে? সাপের তো পা নেই। হ্যাঁ একদম ঠিক। কিন্তু এদের পেশি এবং ত্বক ভীষন দৃঢ় হওয়ার দরুন সেটাকেই ভর করে লাফ দেয়। এর মাধ্যমে তারা ঢেউয়ের আকারে সোজা হয়ে শরীরকে সামান্য তুলে হাঁটে। এই সাপের পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে এবং তারা সবই ক্রিসোপেলিয়ার অন্তর্গত। বলা হয়, এই সাপগুলো প্রায় ১০-১২ ফুট লাফ দিতে পারে। তাদের পালানোর গতি আলোর গতিকেও হার মানায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সময় গাছে ও পাতার মাঝে থাকার কারণে এদের রং সবুজ হয়। তবে উড়ন্ত সাপ কালো এবং গাঢ় ধূসর রঙেরও হতে পারে। এরা ভীতু ও লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় মানুষকে দেখে ঘাবড়ে গিয়ে দ্রুত লাফিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।