নয়াদিল্লি: G20 সম্মেলনের শেষ প্রস্তুতি তুঙ্গে। নয়া দিল্লিতে বসবে বৈঠক। এর মধ্যেই কাশ্মীর বা অরুণাচল প্রদেশে G20 সম্মেলন হওয়া নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের আপত্তির গুজব উড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। দেশের সব অংশেই বৈঠক করাটা খুবই স্বাভাবিক বিষয় বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ২২ মে কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত G20 ট্যুরিজম মিটিংয়ের বিরোধিতা করেছিল চিন ও পাকিস্তান। জানিয়ে রাখা ভাল, ২৬ মার্চ অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে G20 শীর্ষক একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকে যোগ দেয়নি চিন। কারণ, অরুণাচলে ভারতের সার্বভৌমত্ব চিন স্বীকার করে না। এদিকে তাদের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট রাজ্যটি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। প্রধানমন্ত্রী G20 নিয়ে বলেন, “G20-তে আমাদের কথাবার্তা এবং দৃষ্টিভঙ্গির দিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। শুধুমাত্র আইডিয়া নয়, এতে রয়েছে রোডম্যাপ।” তিনি মনে করেন, “বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনা এবং কূটনীতির প্রয়োজন আছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবার G20-তে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার আফ্রিকা। সবার কথা না শোনা হলে পৃথিবীকে নিয়ে ভবিষ্যতের কোনও পরিকল্পনাই সফল হবে না। ” এর পাশাপাশি তিনি আত্মবিশ্বাসী, “G20-তে ভারতের সভাপতিত্ব তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বীজ বপন করেছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে বড় ইস্যু মুদ্রাস্ফীতি এবং G20-তে ভারতের সভাপতিত্ব এটা বোঝায়, কোনও দেশের মুদ্রস্ফীতি-বিরোধী নীতি অন্যদের ক্ষতি করতে পারে না। বৃদ্ধির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের বড় সুযোগ আছে ভারতের। যা আগামী হাজার বছর ধরে স্মরণ করে হবে।” মোদী আরও বলেন, “আমাদের দেশের মানুষের জীবনের গুণগত মান হবে বিশ্বের সেরা দেশগুলির মত। সবথেকে বড় বিষয় হল, প্রকৃতি ও সংস্কৃতির যত্ন নিয়েই আমরা এইসব সাফল্য অর্জন করব। আমাদের জাতীয় জীবনে দুর্নীতি, জাতপাত এবং সাম্প্রদায়িকতার কোনও জায়গা নেই।”