মহানগর ডেস্ক : ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পরই ১ জুলাই থেকে দেশে কার্যকর হয়ে যাবে নয়া দণ্ডসংহিতা আইন। শনিবার এমনই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। গত ২০২৩-এর শেষদিকে দেশের পুরনো ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল সংসদে পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। বিরোধীরা এই বিলগুলি কার্যকর করা নিয়ে বিস্তর আপত্তি জানিয়েছে। তবে কিন্তু সেসব আপত্তি উড়িয়ে ১ জুলাই ওই তিন আইন কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা বদল করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর বা সিআরপিসি, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট এই তিন আইনের বদলের জন্য বিল পাশ হয়েছে সংসদে। ১৮৬০ সালের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি এবার হতে চলেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। সিআরপিসি বদলে গিয়ে হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট বদলে হবে ভারতীয় সাক্ষ্য আইন।
এই তিনটি বিল নিয়ে একত্রে আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোটের তরফে অভিযোগ করা হয়, সরকার এই আইন নিয়ে বড্ড তাড়াহুড়ো করছে। এই আইনের বিরোধিতায় সরব ছিলেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। মমতার বক্তব্য ছিল, “এই তিন বিল ভারতের সামগ্রিক নীতির উপর শুধু প্রভাব ফেলবে, তাই নয়। ভারতের জনজীবনের উপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। এই তিনটি বিল নিয়ে সব পক্ষে সঙ্গে যতবেশি সম্ভব আলোচনা করা উচিত।” নয়া দণ্ড সংহিতায় ঘুরপথে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে আরও প্রবলভাবে কার্যকর করা হবে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করে।
এই পরিস্থিতিতে দণ্ডসংহিতা আইন প্রনয়ণ সম্পর্কে লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রের এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদীর সরকার বলছে, ভোট মেটার পর কার্যকর হবে এই “বিতর্কিত” দণ্ডসংহিতা আইন। কেন্দ্রের এই ঘোষণা বুঝিয়ে দিচ্ছে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতায় আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।