মহানগর ডেস্ক: রাজ্যে এই প্রথম ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED) । মঙ্গলবার সকালেই একসঙ্গে রাজ্যের চার জেলায় হানা দিয়েছে ইডির তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের এক সরকারি আধিকারিকের কোয়ার্টারে, হুগলির চুঁচুড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি সল্টলেকের একটি আবাসনেও তল্লাশি চলাচ্ছে ইডির তদন্তকারীরা। এই সরকারি আধিকারিকের নাম শ্যামল পান।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেই ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির বিষয়ে হুগলির ধনেখালি এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় এইআইআর দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রসঙ্গত, এই প্রথম রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝাড়গ্রামের একটি সরকারি আবাসনেও হানা দিয়েছে ইডি। পরে জানা যায়, জেলার সংখ্যালঘু দফতরের এক প্রশাসনিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ ইডির ছ’জন আধিকারিকের একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হানা দেন ওই আধিকারিকের সরকারি আবাসনে পৌঁছয়। ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকায় রয়েছে ওই আবাসনটি রয়েছে। ওই আবাসন ঘিরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে পৌঁছয়। তবে পুলিশ আধিকারিকদের আবাসনের ভিতর ঢুকতে দেয়নি ইডি। ইডি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে ‘দুর্নীতি’র বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা। জানা গিয়েছে নকল নথি বানিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। দুর্নীতি টকার অঙ্কে কয়েকশো কোটি টাকার।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল নেতাদের কাছে ফেক জবকার্ড থাকছে, আছে। তারা সেই কার্ড থেকে টাকা তুলে সেই টাকা চুরি করেছে। তবে ১০০ দিনের কাজের এই দুর্নীতি নিয়ে আমরা শুরু থেকে বলছি। তৃণমূল ১০০ দিনের কাজের বিরোধীতা করেছিল এক সময়। এখন সেই ১০০ দিনের টাকা চুরি করে নিজেদের তহবিল ভরছে।” এদিকে এই ঘটনাকে বিজেপির চক্রান্ত বলে এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “গতকাল শুভেন্দু অধিকারী তাঁর রাজনৈতিক পিতা অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে বলেন, দেখুন কি অ্যাকশন হয়। তারপরই মঙ্গলবার সকালে বিনা নোটিশে ইডি ঝাঁপিয়ে পড়ল। সবটাই হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর অঙ্গুলি হেলনে।” এদিকে বিজেপি নেতা সজাল ঘোষ বলেন, “আরও আগে হলে আরও ভালো হত। তবে দেখুন কি হয়, আরও অনেক রাঘব বোয়াল জালে উঠবে।”