মহানগর ডেস্ক : উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “সিএএ ভাঁওতা, এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। নির্বাচনের আগে প্রতারণা, ছলনা, বঞ্চনা, নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি। যে সিএএ-র কথা কেন্দ্রের সরকার ঘোষণা করেছে, আদৌ তা বৈধ কি না সন্দেহ আছে। পুরোপুরি ভাঁওতা। ২০১৯ সালে অসমে ১৩ লক্ষ বাঙালি হিন্দুকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। অনেকে আত্মহত্য করেন।’’
সোমবার সন্ধ্যায় মমতা বলেছিলেন, ” আমি সিএএ-র রুল ফ্রেম দেখে কাল হাবড়া থেকে বলব, মঙ্গলবার হাবড়া থেকে তিনি সিএএ-র বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। মমতা এদিন বলেন, “সিএএ বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা। সিএএতে আবেদন করার পর এনআরসি করা হবে। ডিটেনশেন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি বাংলা থেকে তা করতে দেব না।’’
সিএএ এনআরসির সঙ্গে যুক্ত এই বক্তব্যের স্বপক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘মনে রাখবেন সব হারাবেন। ওরা ভাঁওতা দিচ্ছে। সব দিক যাবে। ইচ্ছা করে কালকের দিনটা বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ কাল থেকে রমজান শুরু হয়েছে। এই সিএএ, এনআরসির সঙ্গে যুক্ত মনে রাখবেন। শুধুমাত্র আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আনা হবে। শ্রীলঙ্কা, মায়নমার বাদ। এমন অনেক পরিবার রয়েছেন, যাঁদের এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় বিয়ে হয়েছে। তাঁরা যোগাযোগ করতে পারবেন না। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব কখনও কেউ শুনেছেন? আমাদের সংবিধানে এসব নেই। সিএএ-র জন্য কেউ আবেদন করলেই তাঁর সব অধিকার চলে যাবে। আপনি এখন নাগরিক আঋেন। সিএএতে আবেদন করার মানে আপনি মেনে নিচ্ছেন আপনি নাগরিক নয়। রেশন, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার সব থেকে বঞ্চিত হবেন। এর পর আপনাকে অনুপ্রবেশকারী বলা হবে। আপনার নতুন করে কাস্ট সার্টিফিকেট করতে হবে। এটা হচ্ছে বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত। বিজেপি নির্বাচনের আগে ভাঁওতা দেয়। ভোটের আগে বলে ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্কে দেবে দিয়েছে? ১০০ টাকা গ্যাসের দাম কমিয়েছে, ভোটের পর আবার বাড়াবে।’’
মমতা এদিন বলেন, “তৃণমূলের সবাই চোর নয়। একটা-দুটো লোক সিপিএম থেকে এসেছে তারা। বিজেপি নেতাদের কত সম্পত্তি খোঁজ নিয়ে দেখুন। তৃণমূলের সবাই চোর আর বিজেপি হলেই সব ওয়াশিং মেশিন? বিজেপি নারী বিরোধী, হিন্দু ধর্ম, রামকৃষ্ণ, সারদা, মতুয়াদের মানে না। ভারতের ঐতিহ্য ওরা নষ্ট করতে চায়। ওরা শুধু আামার সঙ্গে পারে না। জানে ওরা লাঠি দেখালে আমি ডান্ডা দেখাবো।” এদিন মমতা ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা না দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “আজ থেকে রাজ্যে কর্মশ্রী চালু হয়ে গেল।”