মহানগর ডেস্কঃ সমাজ মাধ্যমের দৌলতে প্রতিভা, লড়াই ও সাকসেস এর গল্প এসেছে প্রকাশ্যে। খুব কম সময়ের মধ্যে সাফল্যের শিখরে উঠেছেন অনেকেই। সময়ের স্রোতে ভেসে গেলেও। আবার ফিরে আসতে হয়েছে একই জায়গায়। খুব কম সময়ে যারা সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন হয়ে উঠেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল নন্দিনী। ব্ল্যাক টি শার্ট, জিন্স, ইয়ারফোন গলায়। এক ঝলকেই স্মার্ট ভাইরাল নন্দিনী দি। কলকাতার অলিতে গলিতে যাকে সবাই এক ডাকে চেনে। কলকতার অফিস পাড়া তার হাতের যাদুতেই বিখ্যাত। ডালহৌসির ফুটপাতে ছোট্ট ভাতের হোটেল সেখান থেকে শুরু নাম ছড়ানো। সম্প্রতি এক কাস্টমার খাবারের দাম জানতে চাওয়াই রেগে যান নিন্দিনী দি। সেসময় চরম ট্রোলড হন তিনি। তবে এবার নিজেই ফাঁস করলেন খাবারের আগুন দামের কারণ!
খুবই অসন্তোষজনক অভিজ্ঞতা।’ কাস্টমারের ক্ষোভের উত্তর নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন নন্দিনী।কি বলেছেন তিনি ? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দিদিকে দেওয়া হয় অহিংকারী তকমা। ফুড ব্লগারদের দৌরাত্ম নিয়ে মেজাজ হারানো নতুন কিছু ঘটনা নয় পাইস হোটেলের। সময়ে অসময়ে নিন্দিনী কথা বার্তা বলেন প্রশ্নকর্তাদের সাথে। সম্প্রতি নিউটাউনের আকাঙ্খা মোড়ে খোলা নন্দিনী দিদির নতুন হোটেলে আসেন ‘মস্তি ভ্লগ বাঙালি’ নামের পেজের একজন ব্লগার। আর সেখানেই ঘটে যায় এক বিতর্কিত ঘটনা। ওই ব্লগার নন্দিনীর হোটেলে খাওয়া শেষ করার পর, কোল্ড ড্রিংকস খেতে খেতে সে হোটেলের মাছের দাম নিয়ে অভিযোগ জানায়। আর সেটা শুনেই রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে যায় নন্দিনীর। সপাটে ব্লগারকে জবাব দিতে নন্দিনী বলেন, “আমার ব্যবসা আমি করব… আমি কাউকে গিয়ে জিগ্গেস করছি এত কম দামে কেন বিক্রি করছে। যার খাওয়ার সে খাবে, যে পারবে না সে খাবে না।” এছাড়াও একইসঙ্গে নন্দিনী বলেন, “সব ব্যবসায়ী এক ধরণের ব্যবসা করে কম্পিটিশন কোথায় হবে, তারা খেতে পারলে খাবে, না হলে আসবে না। কম দামের তো অনেক দোকান রয়েছে সেখানে খাবে। সহ্যের সীমা অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পর এবার নিজেই ক্যমেরার সামনে সপাটে জবাব দিলেন নন্দিনী।
সম্প্রতি, এক ফুড ব্লগারের ভিডিওতে এই উত্তর দিয়েছেন তিনি। এই ভিডিও সম্প্রতি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এই ভিডিওতে নন্দিনী বলেন, “আমার বাবা যায় নিজে বাজার করতে। আমাদের মাছ নিয়ে আসা হয় মানিকতলা বাজার থেকে। যাঁরা কলকাতা ভালো মতো চেনেন, তাঁরা জানেন, ডালহৌসি থেকে মানিকতলা কত দূর! আমার বাবা সকাল ৫টা থেকে নিয়ে বেলা ১০টা অবধি বাজারে যায় আর আসে। বাবা তিনবার যায়, তিনবার আসে, এই বয়সে! আমার বাবা এখনও পর্যন্ত বাজারটা কারোর হাতে ছাড়েন নাা। আমার উপরও না। আমি পারিও না, আমাকে যেতেও দেওয়া হয় না।”
নন্দিনীর খাবারের হোটেলে খাবারের দাম নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই নানা ভিডিও ঘুরছে সোশ্যালে। এর মধ্যে এই পোস্ট সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়। পোস্টদাতা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা পোলাও মটন কম্বো অর্ডার করেছিলাম সঙ্গে তিন পিস রুটি। মটনের চার পিসের সাইজ যা তাতে বড় জোর ১০০ গ্রাম হবে সেটার দাম নাকি ৪০০ টাকা। ভেজ পোলাও ৮০ টাকা। কোনও মেনু চার্ট নেই, দাম উল্লেখ নেই। আমার বিশ্বাস ওদের নির্দিষ্ট কোনও দাম নেই। তাই এমন একটা দোকানে গিয়ে এত দাম দিয়ে কেন এই খাবার খাব?