মহানগর ডেস্ক: বিগত কয়েকদিন ধরেই অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছিলেন যে, রাজ্য জেহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এবার অসমের গোয়ালপুর থেকে গ্রেফতার করা হল ৩৪ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে, তাদের সঙ্গে জঙ্গি-গোষ্ঠী (Terrorist) আল-কায়েদার যোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গে রাজ্যের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত জানিয়েছেন, “৩৪ জনের বেশি ব্যক্তি যারা আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছ। এই ধরনের চক্রান্ত কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বাংলাদেশিরা বেশ কিছু প্রশিক্ষণ শিবির খুলে বসেছে। পাশাপাশি নানা ধরনের মাদ্রাসা রয়েছে অসমে। কিছু নতুন গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছে। তারা এর ফায়দা তুলছে”। ডিজিপির বক্তব্য, বাংলাদেশ ও আল কায়দার শাখা সংগঠনগুলি রাজ্যে যুবসমাজকে উস্কানি দিচ্ছে। তাদেরকে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে লাগানো হচ্ছে।
Assam | There are different types of groups of Madrasas in Assam… Some new groups are sprouting up & taking advantage. Conspiracy hatching from outside Assam, currently from Bangladesh & Al-Qaeda-affiliated groups, influencing youth to spread radicalization: DGP BJ Mahanta pic.twitter.com/PPbaf9TgCs
— ANI (@ANI) August 25, 2022
সম্প্রতি হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অভিযোগ করেন, রাজ্যে বাইরের লোক ঢুকে মাদ্রাসায় ছাত্রদের মগজ ধোলাই দিচ্ছে। জেহাদে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে তাদের। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জঙ্গি কার্যকলাপ ও জেহাদি কাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে মগজ ধোলাই দেওয়া হয় বিষয়টি নিয়ে। এরপর ইসলামী মৌলবাদের প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সবশেষে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। তাঁর কথায়, ২০১৬-১৭ সালে যারা অবৈধভাবে রাজ্যে ঢুকেছে তারা কোভিডের সময় জনসংযোগের জন্য অনেক ক্যাম্প করেছে। এই মাসের শুরুতে একটি অবৈধ মাদ্রাসা বুলডোজারের সাহায্যে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে চক্রান্তের জাল কতদূর বোনা হয়েছে। একসঙ্গে এতজনের গ্রেফতারিতে হতবাক পুলিশ প্রশাসন।