মহানগর ডেস্ক : কোনও শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট পেতে এখন সেই পরিবারের ধর্ম কি সেটা উল্লেখ করতে হয়। তবে এবার থেকে এই নিয়মে পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই নিয়ম বদলের একটি খসড়া তৈরি করেছে। নতুন নিয়ম কার্যকর করার আগে প্রতিটি রাজ্যওয়ারি এই নিয়ে আলাদা নির্দেশিকা জারি করবে বলেও ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে এতদিন বাবা-মাকে তাদের পরিবারের ধর্ম জানাতে হত। তবে এবার থেকে নতুন নিয়মে বাবা এবং মায়ের ধর্ম আলাদা ভাবে জানাতে হবে সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটের আবেদনের সময়। এই নিয়ে একটি আদর্শ নিয়মের খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই নিয়মগুলি রাজ্য সরকারগুলি কার্যকর করার আগে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্থ সার্টিফিকেট পেতে ফর্ম নং ১ – বার্থ রিপোর্ট পূরণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের খসড়ায়। সেখানে শিশুর ধর্ম উল্লেখ করতে হবে। তার সঙ্গে বাবা ও মায়ের ধর্ম আলাদা আালদা ভাবে উল্লেখ করতে হবে ওই ফর্মে। দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম থাকছে। সেখানেও ফর্মে বাবা ও মায়ের ধর্ম আলাদা আলাদা ভাবে জানাতে হবে।
গত ২০২৩ সালের অগস্ট মাসেই সংসদে পাশ হয় ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’। এই বিল আইনেও পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয় সেই আইন। এর ফলে বর্তমানে বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিয়েই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথির জন্য আবেদন জানানো যায়।
কয়েক মাস আগেই কার্যকর হওয়া সেই আইন অনুযায়ী, একমাত্র বার্থ সার্টিফিকেটেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হওয়া যাবে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে, ভোটার তালিকা তৈরিতে কাজে লাগবে, আধার বা পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করবে, বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে ব্যবহার করা যাবে, সরকারি চারকিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। এখন থেকে প্রতিটি জন্মের তথ্য ব্যবহার করে এনপিআর আপডেট করা হবে। সেখানেই শিশুর বাবা-মায়ের তথ্যও সংরক্ষিত থাকবে।
জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন, ২০২৩’। এর ফলে জনসেবা, সামাজিক সুবিধা এবং ডিজিটাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে বলে দাবি সরকার পক্ষের। এর আগে জন্মের তারিখ এবং জন্মের স্থান প্রমাণ করতে একাধিক নথি পেশ করতে হত। নয়া নিয়মে সেই ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে।