মহানগর ডেস্ক: এ যেন অলৌকিক কাহিনী। বাথরুমে জল ঢাললেই একটা হাত দেখা যাচ্ছে দরজার আশেপাশে। কখনও এক জায়গায়। আবার কখনও বা নড়াচড়া করছে। সেই সঙ্গে বাথরুমের পাশ থেকে রাত হলেই শিশুর কান্না ভেসে আসছে। শোনা যাচ্ছে বিড়ালের ডাকও। পুরুলিয়ার খনি অঞ্চল নিতুড়িয়ার গার্লস হাই স্কুলের কস্তুরবা হোস্টেলের আবাসিকরা বছরখানেক ধরে এমন সব অলৌকিক কাণ্ড কারখানায় ভয়ে সিটিয়ে গিয়েছে। ভূতের ভয়ে ত্রস্ত সকলে।
তারা হস্টেল কর্তৃপক্ষ-সহ বারেবারে স্কুলের শিক্ষিকাদেরকে বললেও অভয় দেওয়া যায়নি ওই পড়ুয়াদের। বরং ভূতের আতঙ্ক ক্রমশ চেপে বসছে দিন দিন।যার দরুন হস্টেল ছাড়তে ছাড়তে ৮৩ জন আবাসিকের মধ্যে আবাসিকের সংখ্যা বর্তমানে ৫৩ জনে ঠেকেছে।
স্কুলের পরিচালন সমিতি এই জটিল পরিস্থিতিতে পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের দ্বারস্থ হয়। পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক-সহ প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার সেখানে গিয়ে প্রচার করেন সচেতনতার বার্তা।তাঁরা অভয় দেন যে ভূত বলে কিছু নেই।নানান মজা-মশকরা করেন ওই হাতের গল্প শুনে। হাত দেখলে আবাসিকদেরকে টেনে ধরতে বলেন। ঝাঁটা নিয়ে মারতে বলেন। যাতে আতঙ্ক কাটে। কিন্তু সেই ভয় কাটেনি বিজ্ঞান মঞ্চ যাওয়ার একদিন পরেও।এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা চক্রবর্তী জানান, “আমি বুধবার স্কুলে যায়নি। বৃহস্পতিবার গিয়ে বুঝতে পারব ওই হস্টেলের কী অবস্থা। আমরা ধারাবাহিকভাবে ছাত্রীদের বোঝাচ্ছি ভূত বলে কিছু নেই।”