মহানগর ডেস্ক: আবারও পরকীয়ায় প্রাণ গেল ২৪ বছরের এক নিরীহ গৃহবধূর। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মাসুল গুণতে হলো তাঁকে । প্রতিদিনের দুঃখ কষ্ট একেবারে শেষ করতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তরুণী। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ক্যানিং এর মাতলা ২নং মিঠাখালী এলাকায় ঘটেছে, ক্যানিং থানার অন্তর্গত এই অঞ্চলটি। ওই মৃতা গৃহবধূর নাম অর্পিতা অধিকারী, বয়স ২৪বছর। অভিযুক্ত স্বামীর নাম কৌশিক অধিকারী। মৃতার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত এই ঘটনা যবে থেকে অর্পিতা জানতে পারেন ওই তৃতীয় মহিলা কে নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া লেগেই থাকতো। আর যখনই অর্পিতা ঝামেলা করতেন তাঁর স্বামী কৌশিক তাঁকে মারধোর করতেন। দীর্ঘদিন ধরে মনের মধ্যে কষ্ট জমে ছিল, এই দুঃখে আর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দেন অর্পিতা।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরে কৌশিক অন্য মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত আছেন। ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই বাড়ি ফিরতেন না, ওই মহিলার সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত থাকতেন। অর্পিতা একদিন পুরো বিষয়টা জানতে পেরে যান, তারপর থেকে চলে ঝামেলা অশান্তি, কারণ অর্পিতা তাঁদের জঘন্য সম্পর্কের প্রতিবাদ করতেন প্রায় সময়। মৃতার মা বলেন, যখনই অর্পিতা প্রতিবাদ করতেন তখনই মারধোর করতেন কৌশিক। এমনকি মৃতার মা এর দাবি এই দিনও অর্পিতাকে মারা হয়েছিল, যার জন্য মাথায় আঘাত লাগে। এই রাগ অভিমান অভিমানে অর্পিতা সামলাতে আর না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা যাচ্ছে, শ্বশুরবাড়ির লোক অর্পিতাকে উদ্ধার করেন, তারপর তাঁকে ক্যানিং মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা। সেখানে অর্পিতার চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। অর্পিতা মারা গেছে এই কথা তাঁর পরিবার জানতে পারার পর, শোকের ছায়া নেমে আসে মৃতার পরিবারে। মৃতার পরিবার প্রথম থেকে ক্ষুব্ধ ছিলেন তার এমন কাজে, এরপর তাঁদের বাড়ির মেয়ে মারা যাওয়ায় মেয়ের পরিবার আরও বেশি ক্ষুব্ধ হন। মেয়ের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন জামাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মৃতার স্বামী কৌশিকক অধিকারীকে গ্রেফতার করে।