মহানগর ডেস্ক: আধুনিক ভারতের নয়া সংযোজন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, যা ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) এক উচ্চতর মান দিয়েছে। আধুনিকতা থেকে আরামদায়কে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ট্রেন। শুধু তাই নয়, ভারতীয় প্রযুক্তিকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এই ট্রেন। দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতার সময়ই ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালনের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী আগামী ২০২৩ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যেই ৭৫ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন। মোদীর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে প্রাণপাত পরিশ্রম করে এই ট্রেন প্রস্তত করেছেন দেশের ইঞ্জিনিয়াররা।
উল্লেখ্য প্রথম দিল্লী-বারাণসী পথে শুরু হয় এই ট্রেনের যাত্রা। তারপর ধীরে ধীরে হিমাচলপ্রদেশ ও গুজরাতের ভাগ্যে জোটে এই ট্রেন। বাদ পড়েনি দক্ষিণ ভারত। কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকে এই ট্রেন চালু হয়েছে। সেই তালিকায় হয়েছে গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে মুম্বাই সেন্ট্রাল, হিমাচলের অস্ব অন্দৌরা থেকে দিল্লি এবং দক্ষিণে মাইসুরু থেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল পর্যন্ত। এই তিনখানা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস শুরুর পাশাপাশি এবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে ছুটতে চলেছে অন্ততপক্ষে ৫ খানা বুলেট ট্রেন। এমনই জানা যাচ্ছে রেলমন্ত্রক সূত্রে। এভাবেই ধীরে ধীরে সারাভারত ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এই রেল।
বাঙলায় যে পথে বুলেট ট্রেন ছুটতে পারে : প্রস্তাবিত রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে
১) হাওড়া/শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি
২) হাওড়া-পটনা
৩) হাওড়া-রাঁচী
৪) হাওড়া-ঝাড়সুগুদা
৫) হাওড়া-ভুবনেশ্বর
রেল মন্ত্রকের এক কর্তা এই সম্পর্কে জানান যে, “মূলত পর্যটক ও সময় বাঁচাতে চাওয়া ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা। তা ছাড়া, ওই রুটগুলিতে বিমান পরিষেবা রয়েছে ঠিকিই কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।”
প্রসঙ্গত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ১৮০ কিমি স্পিডে ছুটতে সক্ষম হলেও ট্র্যাক আপডেট না থাকায় দূর্ঘটনা এড়াতে অনেক জায়গায় ট্রেনটির গতি কমিয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা করা হয়েছে। এই ট্রেন নিয়ে অবশ্য রাজনীতি করতে ছাড়েনি বিরোধী দল কংগ্রেস সহ বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং বিদেশীলবির অর্থে মদতপুষ্ট সংবাদমাধ্যম আর তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা। তবে বহু চর্চিত এই ট্রেন ভারতীয় রেলের নতুন উন্নয়নের দ্বার খুলে দিয়েছে।