মহানগর ডেস্ক : ২০২৩ সালে রামনবমীর দিন ব্যাপক অশান্তির গটনা ঘটেছিল বাংলায়। রক্তাক্ত হয়েছিল বাংলার মাটি। প্রাণ গিয়েছিল বেশ কয়েকজন রামভক্তদের। এবছর তাই অশান্তি মোকাবিলায় আগে থেকেই তৎপর আদালত। রাম নবমীর শোভা যাত্রায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন জানান, প্রতিটি মানুষের নিজের মত বা ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী অনুষ্ঠান করার অধিকার রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাদের সেই কাজে বাধা দেওয়া যায় না। সেই কারণে রাজ্যের দাবি মেনে এই শোভাযাত্রায় লোক কমানোর বা রুট পরিবর্তন করার যুক্তি নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টে।
হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলের রুট পরিবর্তনের ব্যাপারে রাজ্য যে আর্জি জানিয়েছিল কার্যত সেই আর্জি ধোপে টিকলো না। প্রয়োজনে বাহিনী দিয়ে রামনবমী করানোর নির্দেশ দিল আদালত। চারপতি বলেন,কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভিড় সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি হাওড়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম নবমীর শোভা যাত্রা নিয়ে রাজ্যের আপত্তিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তেরর বক্তব্য, রাজ্যের দাবি অনুযায়ী গত বছর এই শোভা যাত্রা ১০ থেকে ১২ হাজার লোক ছিল। একইসঙ্গে সেখানে মারাত্মক গোলমাল হওয়ায় এআইএ তদন্ত চলছে। কিন্তু এবার তারাই ২০০ লোক নিয়ে শোভা যাত্রার আয়োজন করেছে। তাই এখানে আর রুট বদল বা লোক কমানোর মতো শর্ত দিতে নারাজ হাইকোর্ট।
আগামী ১৭ এপ্রিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুধু হাওড়ায় ১৭ টি শোভাযাত্রার অনুমতি রয়েছে। রাজ্যের এত ফোর্স নেই বলেই জানানো হয়েছে।তাই এই শোভাযাত্রা বন্ধ করার আবেদন জানায় আদালতের কাছে।রাজ্যের বক্তব্য শুনে উচ্চ আদালত জানায়, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে রাম নবমীর ওই শোভা যাত্রার ব্যবস্থা করবে রাজ্য। অন্যদিকে, ২০০ লোক নিয়েই শোভাযাত্রা যাতে নিশ্চিত করা যায়, তার জন্য আগাম ঘোষণা করতে হবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে। প্রয়োজনে লিফলেট বিলি করে এই কথা জানাতে হবে। শোভাযাত্রায় যাতে অতিরিক্ত লোক সমাগম না হয় সে ব্যাপারে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আদালতের পর্যবেক্ষণ, মাত্র ২০০ লোকের শোভাযাত্রা যদি পুলিশ সামাল দিতে না পারে, তাহলে কিছু বলার নেই।