মহানগর ডেস্ক : ইন্ডিয়া জোট নিয়ে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বাইরে থেকে তিনি ইন্ডিয়া জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন করে সরকার গড়ে দেব।” বৃহস্পতিবার মমতা বললেন, “ইন্ডিয়া জোটে আমরা থাকব।”
২৪ ঘণ্টার মধ্যে তমলুকের জনসভা থেকে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভাবে নিজের বয়ান বদল নেওয়াকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “<span;>‘উনি জোট থেকে পালিয়ে গিয়েছেন! ওঁর কোনও কথায় আমি ভরসা করি না। এখন দেখছেন হাওয়া বদলাচ্ছে, তাই এ দিকে ভিড়তে চাইছেন। বিজেপির দিকে পাল্লাভারী দেখলে ও দিকে যাবেন।’’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মমতার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘আমরা তো গোড়া থেকেই বলছি, বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে মমতার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এই দোদুল্যমানতা স্পষ্ট করে দিয়েছে, আসলে উনি বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন, ভাইপো যেন ভিতরে না যায়। দু’নৌকোয় পা দিয়ে চলতে চাইছেন।’’
বাম-কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল যে, মমতা দু’দিকই খোলা রাখতে চাইছেন। মমতার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ওঁর ( পড়ুন মমতার) সহায়তা আর স্যান্ডো গেঞ্জির বুকপকেট একই ব্যাপার!’’
তমলিকের জনসভা থেকে মমতা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘অল ইন্ডিয়া লেভেলে (পড়ুন সর্বভারতীয় স্তরে) আমরা বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি করেছিলাম। আমরা জোটে থাকব। অনেকে আমাকে ভুল বুঝেছে। আমি জোটে আছি। আমি ওই জোট তৈরি করেছি। আমি জোটে থাকবও। এখানকার সিপিএম নেই। এখানকার কংগ্রেস নেই। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে আমরা জোটে থাকব। ভুল বোঝাবুঝির কোনও জায়গা নেই। ভুল খবর ছড়িয়েছে। এতে বিভ্রান্তি হচ্ছে। ’’
তবে মমতার এই কথা কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন না মমতা টদিন বলেছেন, “আমি জোটে থাকব। এখানকার সিপিএম নেই। এখানকার কংগ্রেস নেই।” বাংলায় কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের শর্ত মেনে সিপিএম, কংগ্রেস যৌথভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, এই লড়াই থেকে বাংলায় মমতা নিজেকে আলাদা করে নিয়েছেন।