মহানগর ডেস্কঃ দেশের প্রথম একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে যেই ব্যক্তি হত্যা করেছিলেন সেই হত্যাকারীর ছেলে, ২০২৪ এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। পঞ্জাবের ফরিদকোট কেন্দ্র থেকে লড়বেন সরবজিৎ সিং।
কে এই সরবজিৎ সিং?
ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সব থেকে বড়ো বিশ্বাসঘাতকতা যিনি করেছিলেন তিনি হলেন এই বিয়ন্ত সিং। বিয়ন্ত সিং-এর ছেলে হচ্ছেন এই সরবজিৎ সিং। ২০২৪ এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পঞ্জাবের ফরিদকোট কেন্দ্র থেকে লড়বেন তিনি। সর্বজিৎ নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। সরবজিৎ এর বয়স ৪৫ বছর, মোহালির বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে গ্রাজুয়েশনের জন্য চণ্ডীগড়ের খালসা কলেজে সর্বজিৎ ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি কোর্স শেষ করেননি। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাটিন্ডা থেকে সর্বজিৎ এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১.১৩ লক্ষ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি ২০০৭ সালে আবার বার্নালার ভাদৌর আসন থেকে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন কিন্তু সেখানেও জয়ের মুখ দেখতে পাননি। এরপর সর্বজিৎ ২০১৪ সালে, ফতেহগড় সাহিব আসন থেকে লড়ার জন্য দাঁড়ান। কিন্তু ভাগ্য সেবারেও সাথ দেয়নি তাঁর, সরবজিৎ সেখানেও হেরে গেছিলেন। তিনি আবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, বহুজন সমাজ পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু তিনি সেখানেও হেরে যান। তবে, সরবজিৎ সিংয়ের মা বিমল কৌর, তিনি ১৯৮৯ সালে রোপার আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পঞ্জাবের ১৩ টি লোকসভা আসনের জন্য ভোট গ্রহণ ১ জুন শুরু হবে। জানা যাচ্ছে, ফরিদকোট লোকসভা আসন থেকে সরবজিৎ নির্দল প্রার্থীর হয়ে লড়বেন। এই আসনে আম আদমি পার্টি তাদের প্রার্থী হিসেবে করমজিৎ আনমোলকে মনোনীত করেছেন। বিজেপি তাদের প্রার্থী হিসেবে গায়ক হংস রাজ হংসকে মনোনীত করেছেন, তবে এই আসনে বর্তমানে প্রতিনিধিত্ব করছেন কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ সাদিক।
সরবজিৎ সিং জানিয়েছেন ‘ফরিদকোটের লোকেরা তাঁকে ২০২৪ এর ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য, লড়ার জন্য বহুবার আবেদন করেছে। তাঁদের সবার কথা রাখতে ভোটের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধী যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখনকার সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করতেন বিয়ন্ত সিং এবং সতবন্ত সিং। সুযোগের আর বিশ্বাসের অপব্যবহার করে তাঁরাই দেহরক্ষীর বেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালের ৩১অক্টোবর আজও কেউ ভোলেননি। এই দিন দেশের প্রথম একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন তাঁরই দেহরক্ষীরা। সেই অপরাধে বিয়ন্তকে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে হত্যা করে দেওয়া হয়। আরেক দেহরক্ষী সতবন্তকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।