মহানগর ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সকালে এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিএএ ইস্যুতে তীব্র স্বরে আক্রমণ করেছেন। রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মতো বিরোধী নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ জানালেও অমিত শাহের আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহের অভিযোগ, বাংলায় অনুপ্রবেশ চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ এবং শরনার্থীর পার্থক্য বোঝেন না। অমিত শাহর এই মন্তব্যে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সীমান্ত পাহারায় নিযুক্ত, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন বিএসএফ ব্যর্থতাকেই দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
ওই সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার অমিত শাহ দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে শীঘ্রই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। অসমের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান যে, পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “যদি আপনি ( পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ) জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এই ধরনের রাজনীতি করেন, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ চলতে দেন, তা হলে মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন না, কাকে শরণার্থী আর কাকে অনুপ্রবেশকারী বলে।” একই সঙ্গে শাহ জানান সিএএ-তে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও সংস্থান নেই বলেও দাবি করেন। সিএএ নিয়ে মমতার উদ্দেশে অমিত শাহর বার্তা, “হাতজোড় করে বলছি, সিএএ নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”
অমিত শাহের এই কড়া সমালোচনার জবাবে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। বিএসএফ অমিত শাহের অধীন। অনুপ্রবেশের দায় অমিত শাহের। তাঁর বিএসএফ ব্যর্থ বলেই এখন তিনি উল্টো কথা বলছেন। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদের রাজনীতি করছেন। উনি পরোক্ষে মেনে নিলেন বিএসএফ ব্যর্থ।” “মানুষ মমতার সঙ্গে থাকবে না”, অমিত শাহের এই কটাক্ষের জবাবে কুণাল বলেন, “২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের সময়েও অমিত শাহ অনেক কথা বলেছিলেন। বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন। মানুষ কার পাশে আছেন, উনি ভালই জানেন।”