মহানগর ডেস্কঃ কাগজের বিয়ে সেরেছিলেন ৩রা জানুয়ারি। তারপর ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হয় একের পর এক অনুষ্ঠান। উদয়পুরে তাজ আরাভিল রিসর্টে রাজকীয় ভাবে বসে বিয়ের আসর। পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নিয়ে পা রাখেন নতুন জীবনে। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৩ তারিখ অবধি চলে ইরা-নুপুরের বিবাহ পর্ব। তাদের বিয়ের স্টোরি সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল। সব কিছু মিটিয়ে বাবার শরীর চর্চার প্রশিক্ষকের সাথে বেশ মন দিয়ে সংসার করছেন ইরা। এক কথায় দুসপ্তাহ ধরে ম্যারাথন বিয়ে হয় ইরা-নূপুরের। আইনি বিয়ে থেকে উদয়পুরের হোয়াইট ওয়েডিং। একদম শেষে মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড রিসেপশন কিছুই বাদ দেননি।
ইরা-নূপুরের বিয়ে আর পাঁচটা বিয়ের থেকে অনেকটাই আলাদা। মুম্বইতে আইনি বিয়ের দিন প্রায় ৮ কিলোমিটার দৌড়ে ইরাকে বিয়ে করতে যান আমির জামাই। শরীর চর্চার পোশাকেই নূপুর সেদিন বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান। সকলেই যে বেশ শরীর চর্চায় পারদর্শী। তাই এমন দৃশ্যে বেশ অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। তবে অভিনবত্ব শুধু বিয়ে অবধি আটকে থাকলো না। ধারা বজায় থাকলো হানিমুনে গিয়েও। ইরা-নূপুরের শরীর জুড়ে আঁকা উল্কি দেখে হতবাক অনুগামীরা।
বিয়ে পর্ব মিটিয়ে যুগল পৌঁছে যান সোজা বালিয়াড়িতে। কারণ দুজনেরই যে পছন্দের জায়গা সমুদ্র। ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পথে বিমানের ভেতরেও তারা একসাথে ছবি দেন। একদম সাদামাঠা সাজগোজে স্বামী স্ত্রী একসাথে ছবি তোলেন। বিমনাবন্দরে একসঙ্গে ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়িয়েও মুহূর্ত বন্দি করতে ভুলেননি ইরা। স্বামীর সাথে সেলফি তুলে পোস্ট করেন ভক্তদের জন্য। তবে বালি থেকে খালি হাতে ফেরেননি জুটি। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন কচ্ছপের উল্কি। নূপুরের সাথে মিল রেখে নিজের শরীর জুড়েও করেছেন কচ্ছপের ট্যাটু। ইরা লেখেন আমি সারা দিন দেখছি ওদের, এক টুকরো দীপ সঙ্গে নিয়ে ফিরেছি। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে জানিয়েছেন আমির কন্যা। দেখুন আমির কন্যা ও জামাইয়ের হানিমুন লুক।