Jadavpur University
মহানগর ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে ২৪ ডিসেম্বর হতে চলা ৬৬তম বার্ষিক সমাবর্তন নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকল। বৃহস্পতিবার উচ্চশিক্ষা দপ্তর কর্মসমিতির বৈঠক করার অনুমোদন দেওয়ার পরই ডাকা হয় বৈঠক।যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের তরফে শুক্রবার বৈঠক ডেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ নভেম্বরের স্থগিত হওয়া কর্মসমিতির বৈঠকটি হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর, সোমবার সকাল ১০টা থেকে।সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, একটি অ্যাজেন্ডা নিয়েই উচ্চশিক্ষা দপ্তর অনুমতি দিয়েছে কর্মসমিতির বৈঠক করার।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর আগে দুবার কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছিল। কিন্তু, উচ্চশিক্ষা দপ্তর দুবারই বৈঠক করার অনুমতি দেয়নি। আর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া বৈঠক করলে তা বেআইনি হবে বলেও জানানো হয়েছিল।যার জেরে, যাদবপুরের সমাবর্তনের ভবিষ্যৎ দপ্তরের নিষেধাজ্ঞায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।
এর কারণ হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, সমাবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে বাধ্যতামূলক কর্মসমিতির বৈঠক করা।গত ৮ ডিসেম্বর এই পরিস্থিতিতে বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আচার্য নিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ও অন্যান্য আধিকারিকরা।সেখানে আলোচনা হয় সমাবর্তন, কর্মসমিতির বৈঠক সংক্রান্ত বিষয়ে।তার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আলোচনার ভিত্তিতে কর্মসমিতির বৈঠক আয়োজনের আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছিল দপ্তরকে।
মহানগর ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং গাইডলাইনের ৯টি বিধি মানা হয়নি।ইউজিসি সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব তলব করেছে ১৫ দিনের মধ্যে।বি শ্ববিদ্যালয়কে আগামীতে এই নিয়মগুলি মানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা কী, কবে এবং কীভাবে কার্যকর করা হবে, তাও জানাতে বলা হয়েছে । জানা গিয়েছে,র্যাগিং প্রতিরোধের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইউজিসি বেশ কিছু সুপারিশও করেছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছিল । ইউজিসির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল সেই ঘটনাতেই চলতি মাসের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে গিয়েছিল।ইউজিসি সেই পরিদর্শনের ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্ট কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠিয়েছে । তাতেই উল্লেখ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোন বিধি মানা হয়নি । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাহু এ প্রসঙ্গে বলেন, “যে যে ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি, সেগুলো যাতে কার্যকর করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন ওরা। তার রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন। ওনারা ১৫ দিন সময় দিয়েছেন।”
তবে, নিয়ম কার্যকরের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন বুদ্ধদেববাবু। বলেন, “নানা ধরনের ঝামেলা হচ্ছে। কিছুতেই একটা মতে পৌঁছানো যাচ্ছে না। আমরা এতদিনে অনেকটাই এগিয়ে যেতাম। সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, প্রাক্তন সেনাকর্মী বা দক্ষ নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে। সিসিটিভিতে বাধা কেন? দক্ষ নিরাপত্তারক্ষীতে কেন ভয় পাবে ছাত্ররা? ভয় তারাই পায়, যারা ভয় পাওয়ার মতো কাজ করে।”
যাদবপুর কাণ্ডে অভিযুক্ত পড়ুয়াকে আদালতের সম্মুখে থাপ্পড় এক মহিলা আইনজীবীর
মহানগর ডেস্ক: যাদবপুরের র্যাগিংকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন পড়ুয়াকে আলিপুর আদালতের সম্মুখে কলার ধরে চড় মারলেন এক আইনজীবী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন অভিযুক্তকে সোমবার আদালতে পেশ করা হয়। তাদের আদালতের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার সময় আইনজীবী রমা ঘোষ সত্যব্রত নামে একজন ধৃতকে মারতে থাকেন।
এই ঘটনার জেরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আইনজীবী রমা ঘোষ সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন অভিযুক্তরা, নাহলে গলায় পা দিয়ে মাটিতে ফেলে নলি টিপে ধরতাম’। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই কারণে অভিযুক্তদের আগেই মার দেওয়া উচিত ছিল। গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেল এর তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়, প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। হোস্টেলের নিচে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায়। এই মামলায় পুলিশ পকসো ধারা যোগ করেন।
এরপর সোমবার আলিপুর আদালতে পেশ করার সময় উক্ত ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, এই সত্যব্রত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি নদীয়ার হরিণঘাটা পৌরসভার অন্তর্গত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লেখাপড়াতে ছোট থেকেই তিনজনের মধ্যেই থাকতেন তিনি।
ইসরোর কিছু দল মিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে গিয়েছে।সূত্রের খবর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করার পর ইসরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু গবেষণা করার বার্তা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর পর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইসরোর চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন।এই আলোচনার পর ইসরো জোট বেঁধে বিপুল নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আয়োজনের জন্য মাঠে নেমে পড়েন।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে যাদবপুরের নিরাপত্তা নিয়ে ইসরো গবেষণা করতে গিয়ে ভিডিও অনালেটিক্স, টার্গেট ফিক্সিং,রেডিও ফ্রিকয়েন্সির মত প্রযুক্তিগুলো সামনে নিয়ে আসে।তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এই প্রযুক্তিগুলো তাদের ক্যাম্পাসে বাস্তবায়িত করতে উৎসাহী।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে এই প্রযুক্তিগুলোকে বাস্তবায়িত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কিছু টাকা অবাদন হবে।রাজ্য সরকার রাজি না হলে তারা কেন্দ্রের শরণাপন্ন হবে বলে দাবি করেছে।উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন যে অর্থের জন্য রাজ্য সরকার না দিলে তাদের কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে হবে।কারণ যাদবপুরের আলাদা করে কোনো রকম রোজগারের ব্যাবস্থা নেই।পড়ুয়াদের অ্যাডমিশন ফিস থেকে তাদের অর্থ আসে এবং তা দিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়।
সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি’র বিশেষ টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকী র্যাগিং করার জেরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে সিলমোহর পড়েছে তদন্তে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইউজিসি টিম নিজেরা আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয় ইউজিসি। সেই চিঠির সাধ্যমত উত্তরও দিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও তাতে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি। সেই কারণেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল। এমনটাই জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো রিপোর্টে খুশি না হয়েই হয়েই ক্যাম্পাসে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসির বিশেষ প্রতিনিধি দল। ক্যাম্পাসের সামগ্রিক অবস্থা এবং ছাত্র মৃত্যুর পরের পরিবেশ সরেজমিনে খতিয়ে দেখারও চেষ্টা করবেন তাঁরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে একজন জামিনে মুক্ত হয়েছে। আলাদা করে তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি। এই ঘটনার পরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দফায় দফায় চিঠি দেয় ইউজিসি। এমনকী তাদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তাঁরা। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
তবে এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে ইউজিসির কোন গাইডলাইন মানছে না বিশ্ববিদ্যালয়। তাই তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয় ইউজিসি। সেই চিঠির উত্তরও দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে ইউজিসি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবে ইউজিসি’র বিশেষ দল। এমনটাই সূত্রে জানা গিয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনার পোশাক পরা বাহিনী! পুলিশের হাতে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নকল সেনা কাণ্ডে গ্রেফতার মূল চক্রী। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি বলে দাবি করা কাজী সাদেক হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। যাদবপুর থানার পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তিকে হাজিরার কথা বলা হলেও তিনি কোনভাবেই যাদবপুর থানায় গিয়ে উপস্থিত হননি। তার পরেই গ্রেফতার।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে কিছু যুবক-যুবতী হঠাৎ করেই প্রবেশ করে। অনেকের অবশ্য তাদের দেখে সেনাবাহিনী বলেই ভুল করেছিলেন। তাদের চালচলন থেকে শুরু করে কথাবার্তা সবটাই ছিল সেনাবাহিনীর মত। নিজেদের বিশ্ব শান্তি সেনা হিসেবে পরিচয় দিয়ে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অশান্তি বাতাবরণ তৈরি হয়েছে শুনে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এসেছেন বলে দাবি করেন তারা। তাদের পরিচয় নিয়ে এর মধ্যে এবার দলের কর্মকর্তা কাজী সাদেক হোসেনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পদে মোদী বিরোধী মুখ কে! ঘোষণা অশোক গেহলটের
এদিকে শুক্রবার নোটিশ পাঠানো হলেও যাদবপুর থানায় হাজিরা দেননি সাদেক হোসেন। প্রথমে তাঁর খোঁজ না মিললেও রাতের দিকে গার্ডেনরিচ থানায় গিয়ে পুলিশের ওই নোটিস হাতে নেন তিনি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার রাতে প্রথমে গার্ডেনরিচ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সাদেক হোসেনকে। সেখান থেকে যাদবপুর থানায় আনা হয়। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
সেনার পোশাকে কারা সেদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিল, তাদের উদ্দেশ্য কি? নিজেকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি বলে দাবি করা কাজী সাদেক হোসেনের আসল পরিচয়ই বা কি, সেটি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কলকাতা: যাদবপুর ক্যাম্পাস থেকে প্রচুর পরিমাণে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। ওপেন এয়ার থিয়েটার থেকে এই মদের বোতল উদ্ধার করেন সাফাই কর্মীরা। শনিবার সাফাই কর্মীরা ওপেন এয়ার থিয়েটার পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময় ওই জায়গা থেকে এক বস্তা ভর্তি মদের বোতল আবিষ্কার করেন তাঁরা। যাদবপুর ক্যাম্পাসে নজরদারি ক্যামেরা নিয়ে টালবাহানার মধ্যে মদের বোতল উদ্ধার হওয়া থেকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মদের বোতল উদ্ধার হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন,”বুঝতেই পারছেন কেন নিরাপত্তা দরকার। এজন্য আচার্যও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে মাদক ঢোকা বন্ধ করা যায় কি না, সেই চেষ্টা চলছে।” যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে এই প্রথমবার মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে এমনটা নয়। এক সাফাই কর্মী এই প্রসঙ্গে বলেন, একমাস আগে ওপেন থিয়েটার পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে মদের বোতল উদ্ধার করেছিলেন তাই কর্মীরা। মদের বোতল উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বর্তমান উপাচার্যের মধ্যে তরজা।
একদিকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “বিভিন্ন ধরনের মাদক মেলে ক্যাম্পাসে। নেশা করিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ার শেষ করে দেওয়া হয়।” অন্যদিকে, বর্তমান উপাচার্য বলছেন,”আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে কী হয়েছে তা বলতে পারব না। সেটা তখনকার কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। তবে আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন নিরাপত্তার প্রযোজন কেন? রাজ্যপালও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কী ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাদবপুরে মাদকের প্রবেশ রোখা যায় তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি”। যাদবপুর ক্যাম্পাসে মদের বোতল উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গে আরেক সাফাই কর্মী জানান, প্রতি মাসে একবার করে ওপেন এয়ার থিয়েটার সাফাই হয়। এটা নতুন কিছু নয়। প্রতি মাসেই এখান থেকে বস্তা বস্তা বিয়ারের বোতল উদ্ধার হয়। এবার বরং একটু কম হয়েছে।
বাম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যর নাম নকল আর্মি প্যাডে, আরএসএস জড়িত, সন্দেহ তৃণমূলের
কলকাতা: সেনাবাহিনীর সাজ পোশাকে হঠাৎ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হানা একদল যুবক যুবতীর। “এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি”র বাহিনী বলে নিজেদের পরিচয় দেয় তাঁরা। বিশ্ব শান্তি সেনা বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁরা বলে, দেশের যেখানেই ঝামেলা হয় সেখানে পৌঁছে শান্তির আবহ তৈরি করাই হলো তাঁদের কাজ। সেনার পোশাকে কেন তারা? এই প্রশ্ন উঠতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবার নতুন যোগসূত্র খুঁজছে।
হঠাৎ করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেনাবাহিনীর পোশাকে সজ্জিত একদল যুবক যুবতীর আগমনের বিষয়ে মামলা রুজু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ আর্টসকে ইতিমধ্যেই তলব করার পাশাপাশি, নিজেকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি বলে দাবি করা কাজী সাদেক হুসেনকেও ডাকা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, হিউম্যান রাইটস সোসাইটির লেটার প্যাডে চিফ প্যাট্রন ও সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজার হিসেবে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-এর মুন ল্যান্ডিং স্পটের নাম শিবশক্তি! বললেন নমো
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যাদবপুর ইউনিটের চেয়ারপার্সন সঞ্জীব প্রামানিক বলেন, “বুধবার এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পক্ষ থেকে কিছু যুবক-যুবতী ভারতীয় সেনার নকল পোশাক পরে ক্যাম্পাসে ঢোকে। তাঁরা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি স্থাপন করতে এসেছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই আমরা সূত্র মারফত ওই সংগঠনের যে প্যাড আমরা পেয়েছি সেখানে চিফ অ্যাডভাইজার হিসাবে লেখা রয়েছে সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম। আমাদের আশঙ্কা, বিকাশবাবু কী তাহলে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত? এসব বজরং দল, শান্তিরক্ষা বাহিনী তো বিজেপি করে থাকে। তাহলে কী বিজেপি আর সিপিএম কী যাদবপুরে আঁতাত করেছে? আমাদের দাবি, যে তদন্ত চলছে সেখানে যেন বিকাশবাবুকে জেরা করা হয়।”
এদিকে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, “আমি তো এটা প্রথম জানলাম। প্যাডের কথাও প্রথম শুনলাম। এটা দেখে তো আমি অবাক। আমার নাম বিভিন্ন লোক বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করছে, টাকা তুলছে, মানবাধিকার সংগঠনের লোক বলছে! আমি বিস্মৃত পুরো ব্যাপরে। কী করব বলুন। আমি তো আর সবার পিছনে দৌড়ে বেড়াতে পারব না। আমি খুব একটা পাত্তা দিই না এসব ব্যাপারে। তবে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর পিছনে চক্রান্ত আছে বলে মনে হয়। আর আমি চাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ লালবাজার ধরে ব্যাপক তদন্ত করুক। তদন্তটা করে রিপোর্টটা জনসমক্ষে দিয়ে দিক।”
কলকাতা: যাদবপুরের হস্টেলে মদ গাঁজা খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তাই বলে গাঁজার চাষ? পড়ুয়া মৃত্যুর পর তদন্তের গতি যত এগিয়েছে ততই এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। হস্টেলে থাকা আবাসিকদের মধ্যে কেউ চাইছেন, এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ হোক। আবার কেউ বলছেন, দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে সেখানে তাদের অধিকার আছে মদ গাঁজা সেবনের। এবার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য সামনে এলো, যা শুনে রীতিমতো হতভম্ভ সকলেই। মেইন হস্টেলের এ২ ব্লকে নাকি গাঁজার চাষ হতো! ধৃত ছাত্রদের মোবাইল ফোন থেকেই মিলেছে সেই সব ছবি। এমনই অভিযোগ পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, হস্টেলের এ-টু ব্লকের বারান্দায় টবে গাঁজা চাষ হত। বারন্দায় যে টবগুলি রয়েছে সেখানেই নাকি হতো গাঁজার চাষ। গাঁজা চাষের ছবি তুলে রেখেছিল অভিযুক্তরা। অভিযোগ, যদিও ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর সেই সমস্ত ছবি ডিলিট করে দেওয়া হয় ফোন থেকে। সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাট করতেই মরিয়া চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। যদিও তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ মেইন হস্টেলে কোনো গাঁজার সন্ধান পায়নি। ধৃত ছাত্রদের মোবাইল ঘেঁটে ডেটা রিকভারি করেই শেষ পর্যন্ত গাঁজা চাষের তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন: গরম থেকে মুক্তি দেবে স্বস্তির বৃষ্টি, বৃহস্পতিবার থেকেই হাওয়া বদল তিলোত্তমায়
এদিন মঙ্গলবার ১০৪ নম্বর ঘরের ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। ঠিক তার পরের দিন কমিটির ৪ জনকে ডাকা হয়। সাথে তৃতীয় বর্ষের ৩ জন পড়ুয়াকেও ডাকা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে একটি whatsapp গ্রুপের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। জেইউ এমএইচ নামের ওই whatsapp গ্রুপটি বেশ পুরনো বলে দাবি পুলিশের। ওই গ্রুপে সৌরভের খুব কাছের লোকজনও অ্যাড ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। সরকার পক্ষের আইনজীবী ধৃত অঙ্ক বিভাগের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকেই গোটা ঘটনার ‘কিংপিন’ বলে আদালতে দাবি করেছেন।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার দিনেই ওই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়। সদস্য সংখ্যা খুব কমই ছিল ওই হোয়াটস্যাপ গ্রুপে। ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার দিনেই জিবি বৈঠকে ওই গ্রুপটিতে ডিলিট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অপরাধীর অপরাধ ঢাকতে এই whatsapp গ্রুপকে ব্যবহার করা হতো বলেই মনে করা হচ্ছে। যাদবপুর হস্টেলে গাঁজা চাষের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।