কলকাতা: এবার যাদবপুর ক্যাম্পাসে বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রত্যেকটা গেটেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে যে, চলতি সপ্তাহে যাদবপুর ক্যাম্পাসে এগারোটা সিসিটিভি ক্যামেরা বসতে চলেছে। সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ক্ষেত্র অরবিন্দ ভবনকে। হস্টেলের গেটেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ জায়গাতেই কোন সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। ইউজিসির কড়া নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও সে বিষয়ে হেলদোল ছিল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসছে সিসিটিভি। অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, বেশ কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে সিসিটিভি বসানোর জন্য। পরীক্ষামূলকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে সেখানে। তবে আপাতত হস্টেলের সামনে বসতে চলেছে সিসি ক্যামেরা। এরপর ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অংশও বসানো হবে।
আরও পড়ুন: BRICS সম্মেলনে ভারতকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন PM Modi
ইতিমধ্যেই, WEBEL-কে জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। যাদবপুর বিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। এত বড় একটা বিশ্ববিদ্যালয়, এত বড় ক্যাম্পাস, বহু ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করে। তবুও ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেশিরভাগ অংশেই কেন সিসিটিভি ক্যামেরা নেই? ক্যাম্পাসের মধ্যে অপরাধমূলক কার্যকলাপ ঘটলে তাহলে তার দায়ী কার?
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর বিরোধিতা করে নিজেদের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে একাংশ। যদিও মৃত ছাত্রের পরিবার অবশ্য তাদের কোনোভাবেই সমর্থন করতে নারাজ। মৃত ছাত্রের মামা জানান, “৯ দিন হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগাতে পারল না, কেন পারছে না। আজ যদি সিসিটিভি থাকত, তাহলে আমার ভাগ্নেকে যারা খুন করেছে, তা জানা যেত, কেনই বা এর বিরোধিতা করা হচ্ছে?” তবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পক্ষে সায় দিয়েছেন অনেকেই।