মহানগর ডেস্ক : ২ সপ্তাহের কম সময়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডের ডাক দিয়েছিলাম। আমরা ১২ দিনে ব্রিগেড করলাম। অন্যদের এটা করতে ৬ মাস লাগবে। এই সভার সাফল্যের জন্য জনতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। কেউ বলেছিলেন, তৃণমূল দলটা থাকবে না। ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে। আমরা বলেছিলাম ওদের কাছে ইডি, সিবিআই আছে, আমাদের সঙ্গে মানুষ আছে। আজকের ব্রিগেড বুঝিয়ে দিচ্ছে আগামীর রায় বহিরাগতরা বিদায়, আগামীর রায় অত্যাচারিদের বিদায়। ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক এদিন বিজেপি কতটা বাংলা বিরোধী সেই বিষয়টি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। অভিষেক বলেন, ” ইডি, সিবিআই ভোট দেবে না। ভোট দেবেন মানুষ। আপনারা থাকুন, আমি আপনাদের পাশে আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। আমি এক কথার মানুষ।”
এদিন অভিষেক নরেন্দ্র মোদীর নাম তুলে বলেন, “২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বলেছিলেন প্রত্যেক ভারতবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেবে, দিয়েছে? এটাই হচ্ছে মোদীর গ্যারিন্টি। আর একজন মহিলা, যিনি ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী, টালির বাড়িতে থাকেন, তিনি মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। কার গ্যারিন্টি মানুষ চায় মোদী না দিদি?” অভিষেকের এই কথার পর পুরো ব্রিগেড সমস্বরে বলে “দিদির গ্যারিন্টি চাই।”
অভিষেক বলেন, “এখন নরেন্দ্র মোদী বারবার বাংলায় আসছেন, গত লোকসভা নির্বাচের পর থেকে এই সময় পর্যন্ত কতবার এসেছেন?”
নেতাজি, বীবেকানন্দ না থাকলে যেমন বাংলি, হিন্দু, ভারত থাকত না, রামমোহন না থাকলে যেমন সতীদাহ প্রথা রদ হত না, তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে জঙ্গল, পাহাড় শান্ত হত না বলে অভিষেক এদিন দাবি করেন।
এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম মা করে অভিষেক বলেন, “আগে বিচারপতিদের কাছে চোর, খুনিদের বিচার হত। এখন চোরেরা, খুনিরা বিচারপতিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে। এখন অধীর চৌধুরী, সিপিএম, বিচার বিভাগের একাংশ, বিজেপি এক হয়েছে। তাও আমরাই জিতব, কারণ আমরা মানুষের পাশে। কার পক্ষে থাকবেন যে ভাষণ দেয় না রেশন দেয়? কার পাশে থাকবে জনগনের গর্জন?” পুরো ব্রিগেড সমস্বরে বলে ওঠে তৃণমূলের পাশে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে।
অভিষেক বলেন, “বাংলা মাথানত করবে না। ভারতের সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী বলে গেছেন গত ৩ বছরে বাংলার জন্য ৪২ হাজার কেটি টাকা দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী যদি প্রমাণ করতে পারেগ গত ৩ টি অর্থবছরে আবাসে একটা টাকা দিয়েছে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন প্রধানমন্ত্রী। আমি আপনার সঙ্গে আপনার পছন্দের জায়গায়, চ্যানেলে বিতর্কে বসব। আমি মিথ্যা বলি না।”
অভিষেক এদিন নির্বাচনের সুর তৃণমূলের পক্ষে বেধে দিতে বারংবার বলেন, “বহিরাগতদের বিসর্জন দিতে হবে।”
অভিষেক এদিন ১০ মিনিটের একটি ভিডিও দেখিয়ে বলেন, দেখুন কেন্দ্র বাংলাকে কি ভাবে ভাতে মারতে চাইছে, আধার-প্যান লিংক করে, আধার কার্ড বন্ধ করে বাংলাকে ভাতে মারতে চাইছে।
তৈরী থাকো পদ্ম উপরে ফেলে জোড়াফুল ফুটবে। বজ ট্রেলার দেখালাম। মানুষ ভোটে ফাইনাল খেলা দেখাবে।”