নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন দেশের একের পর এক দাপুটে নেতা। লোকসভা ভোটের আগে জনতা দল সেকুলার অর্থাৎ JDS খেল জোর ধাক্কা। সূত্র অনুযায়ী, শনিবার JDS-এর কর্ণাটক ইউনিটের প্রবীণ সভাপতি, সৈয়দ শফিউল্লা সাহেব শনিবার দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। যা কিনা রীতিমতো জোর ধাক্কা দিয়েছে JDS বাহিনীকে। এদিন তিনি দলের অন্যান্য মুসলিম নেতাদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে বৈঠকও সেরেছেন।
শুক্রবার JDS দলের সুপ্রিমো জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটে (এনডিএ) অংশ নেওয়ার পরেই দলের প্রবীণ নেতা সৈয়দ শফিউল্লা পদত্যাগ করলেন। সূত্রের মতে, রাজ্যের বেশিরভাগ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ কংগ্রেসের চেয়ে জেডিএস-কে বেছে নিচ্ছে। সেই কারণে প্রবীণ মুসলিম নেতার দলছুট জেডি-এস দলের কাছে একটি বিশাল ধাক্কার সমান। বিশেষ করে, আসন্ন লোকসভা (২০২৪) নির্বাচনের আগে জেডি (এস)-এর প্রবীণ নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রীতিমতো দলের উপর প্রভাব ফেলছে । তাই একপ্রকার বিরক্ত হয়েই JDS-থেকে পদত্যাগ করলেন প্রবীণ মুসলিম নেতা। এই প্রসঙ্গে সফিউল্লা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “আমি গত ৩০ বছর ধরে দলের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু আমাদের দল ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণের উপর দাঁড়িয়ে আছে, এবং আমরা সর্বদা নীতির প্রচার করেছি। এখন যদি আমার দল এমন একটি দলের সঙ্গে হাত মেলায় যা সম্প্রদায় এবং বর্ণের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে চলেছে অনবরত, তার বিরোধিতা করি আমি।”
সফিউল্লা তাঁর পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, “আমি সর্বদা সমাজ ও সম্প্রদায়ের সেবা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং পার্টির সেবা করেছি। শুধুমাত্র এই কারণে যে, আমাদের দল সবসময় ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণপত্রে বিশ্বাস করে এসেছে। কুমারস্বামী একসময় রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই সর্বনাশ করে দিয়েছিল। আমি এটাও উল্লেখ করতে চাই যে, আমি সেই সময়ে দলের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যখন আমাদের পার্টির রাজ্য ইউনিট রাজ্য সরকার গঠনের জন্য বিজেপির সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। যেহেতু দলের সিনিয়র নেতারা এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাই রাজ্যের দলের সিনিয়র সহ-সভাপতির কার্যালয় এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আমার পদত্যাগ করা ছাড়া আমার আর কোনও বিকল্প উপায় নেই।” ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর চিঠিটি জেডি-এস কর্ণাটক ইউনিটের সভাপতি সিএম ইব্রাহিম এবং জেডি-এস-এর জাতীয় সভাপতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়াকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ দলের জন্য স্বাভাবিকভাবেই জোর ধাক্কা। সূত্রের খবর, কর্ণাটকের জেডি-এস বিধায়কদের অনেকেই লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন।