মহানগর ডেস্ক : সময় টা এক দুদিনের নয়, প্রায় আরাই বছর ধরে স্টেশনে পা রাখেনি যাত্রীরা। এমনকি একটি যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল করেনি। প্ল্যাটফর্মের বসার জায়গা গুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। স্টেশন চত্বরের জানালার কাঁচ গুলো অর্ধেক আছে। স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রের জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় পশুদের। চারিদিকে স্মহিমায় বিরাজ করেছে ময়লা, শ্যাওলা ও ঘাস। বিল্ডিং জুড়ে সংসার পেতেছে মাকড়সা ভায়া। তারমধ্যে মাঝে মাঝে প্ল্যাটফর্মে শিশুদের সাইকেল চালাতে এবং খেলতে দেখা যায়। স্টেশনের দিকে তাকালে মনে হয় জারি রয়েছে যেন এক নিষিদ্ধ পরোয়ানা। এমনই এক স্টেশন
রাঁচি রেলওয়ে বিভাগ থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে (Indian Railways) অবস্থিত মেসরা স্টেশন। কিন্তু আড়াই বছর আগেই এখানকার ছবিটা একেবারে ছিল অন্যান্য আর পাঁচটা স্টেশনের মতো। লোক গমগম করত। ট্রেন চালানোর সিগন্যালিং ব্যবস্থা ভেসে আসত কানে। কিন্তু হঠাৎ কি এমন ঘটল? চলুন বাকি প্রতিবেদন পড়া যাক।
এই স্টেশন খুব একটা বয়স্ক নয়, মাত্র কয়েক বছর আগেই এখানে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। মূলত কোভিড মহামারীর সময় থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তারপরে আর পরিষেবা শুরু করা যায়নি। দুই মাস আগেও সেখানে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হলেও অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়। তারপর আর সেই ষ্টেশনের পুরনো ছন্দ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও।
অন্যদিকে, সানকি থেকে সিদেশ্বর পর্যন্ত রেললাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় বারকানা পর্যন্ত রেললাইনের সংযোগও শিকেয় উঠেছে। যদিও এ বছরের শেষ নাগাদ নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ধানবাদ রেলওয়ে বিভাগের সিনিয়র ডিসিএম অমরেশ কুমার জানিয়েছেন যে, সানকি থেকে সিদেশ্বর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। অতি শীঘ্রই এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তার কিছু মাসের মধ্যেই ট্রেনের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।