মহানগর ডেস্ক: রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) বলেন, “তিরঙ্গা আমাদের পরিচয় এবং আমাদের সভ্যতার প্রতীক”। রাত পোহালেই গোটা দেশ পালন করবে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। আর তার আগে তিরঙ্গাকে সভ্যতার প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “মুঘল ও আহমেদ শাহ আবদালির মত বিদেশী হানাদাররা বহুবার ভারত আক্রমণ করেছে। কিন্তু ভারতীয়রা তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। তিরঙ্গা আমাদের পরিচয় এবং গর্ব। এটা আমাদের আত্মত্যাগের প্রমাণ। এটি সভ্যতার প্রতীক”।
এদিন গোয়ালিয়রে একটি অনুষ্ঠানে রানী লক্ষীবাঈ ও দেশের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সিন্ধিয়া। পাশাপাশি ‘পার্টিশন হররস রিমেমব্রেন্স ডে’-র একটি প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি সকল জনগণকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচারে যোগ দিতে অনুরোধ করেছেন এবং তাঁদের বাড়িতে তিরঙ্গা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন।
মূলত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে সকলের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সরকার আগামী ১৩-১৫ আগস্ট দেশজুড়ে বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছে। নমোর কথায়, আগামীকাল ১৫ আগস্ট ভারতের ইতিহাসে এক মাহেন্দ্রক্ষণ। ওই দিন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হিসেবে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালন করবে ভারত। এদিকে আজ দেশ ‘বিভাজন বিভীষিকা দিবস’ পালন করছে।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ ১৪ আগস্ট ‘বিভাজন বিভীষিকা দিবস, পালন করা হবে। যাঁরা দেশ বিভাগের দরুন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদেরকে শ্রদ্ধা জানানো হবে এই দিন। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য, এই জাতীয় দিবস ভারতের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশভাগের সময় জনগণের যন্ত্রণা দুর্ভোগের কথা মনে করিয়ে দেবে।
নমোর কথায়, “দেশভাগের বেদনা কখনও ভোলা যায় না। আমাদের লক্ষাধিক ভাই-বোন বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অনেকে ঘৃণা ও সহিংসতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে। আমাদের জনগণের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের স্মরণে ১৪ আগস্টকে দেশ ভাগের ভয়াবহ স্মরণ দিবস হিসেবে পালন করা হবে”।