মহানগর ডেস্কঃ হিন্দু রীতিতে বিয়ে মানেই তার অন্যতম একটি নিয়ম হল কন্যাদান। যাকে ঘিরে তর্ক-বিতর্ক কম নেই। সন্তান যাকে ছোট থেকে বাবা-মা নিজেদের সমস্ত শখ আল্লাদ অপূর্ণ রেখে মানুষ করেন। তিলে তিলে বড় করেন সেই মেয়েকে কি আদও দান করে দেওয়া যায়। এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিয়েতে এই নিয়ন নিয়েই এবার বড় রায় দিল আদালত।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে বিবাহ অনুষ্ঠানে ‘কন্যাদান’ বাধ্যতামূলক নয়। শুধু সাত পাকে বাঁধাই নয় একটি অপরিহার্য অনুষ্ঠান। বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থীর একটি বেঞ্চ আশুতোষ যাদবের দায়ের করা একটি পুনর্বিবেচনা পিটিশনের শুনানির সময় আদালত এই কথা জানিয়েছে। তিনি বলেছেন যে বলেছেন হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে ‘কন্যাদান’ ( মেয়েকে অন্যের হাতে দানের অনুষ্ঠান) অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক। এমনকি এই নিয়ম বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী ক্ষেত্রে করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন।
২২ মার্চ বিচারপতির বেঞ্চ আদেশে জানিয়েছিল যে হিন্দু বিবাহ আইন শুধুমাত্র একটি বিবাহের একটি অনুষ্ঠান অপরিহার্য তা হল সাত পাকে ঘোরা। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আদালত বলেছে হিন্দু বিবাহের জন্য কন্যাদানের প্রয়োজন নেই। আদালত বলেছে, “কন্যাদান অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল কি না, মামলার ন্যায্য সিদ্ধান্তের জন্য অপরিহার্য হবে না এবং তাই, এই সত্যটি প্রমাণ করার জন্য 311 সিআরপিসি ধারার অধীনে একজন সাক্ষীকে তলব করা যাবে না।” উল্লেখ্য, হিন্দু বিবাহের ক্ষেত্রে বিয়ের সময় মেয়েকে বাবা বা মা ছেলে অর্থাৎ পাত্রের হাতে সম্প্রদান করেন। মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দেন জামাইয়ের হাতে। এই সময়ে অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।